খুঁজুন
শনিবার, ১১ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৬শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

প্রকৃতিতে নান্দনিক সৌন্ধর্য নিয়ে এলো বর্ষা

রিপন কান্তি গুণ, নেত্রকোনা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন, ২০২৫, ২:৪৬ অপরাহ্ণ
প্রকৃতিতে নান্দনিক সৌন্ধর্য নিয়ে এলো বর্ষা

বর্ষা মানে আকাশ জুড়ে ঘন কালো মেঘ, রিম-ঝিম বৃষ্টি, নতুন প্রাণে জেগে ওঠার গান। সৃষ্টির খেলায় উন্মত্ত হয়ে বর্ষায় প্রকৃতি ফিরে পেয়েছে যৌবন, মানবমনে জেগে ওঠেছে সুখ-বিরহের নতুন পরশ।

ষড়ঋতুর পালা বদলে বৈশিষ্ট্য ও বৈচিত্র্যে বর্ষাকাল সবচেয়ে আকর্ষণীয়। বাংলা দিনপঞ্জিকা অনুসারে আষাঢ় ও শ্রাবণ দুই মাস বর্ষাকাল। প্রকৃতিতে সবুজ আর সতেজ করার মূলমন্ত্র নিয়ে চালায় নিজের রাজত্ব। গ্রীষ্মের দাবদাহে জীবন যখন ওষ্ঠাগত, তখন বর্ষার রিম-বৃষ্টি স্বস্তি হয়ে নেমে আসে। প্রবল বর্ষণে নদী-নালা, খাল-বিল পানিতে ভরে পূর্ণ যৌবনা হয়ে ওঠে এ সময়। বিলে-ঝিলে ফুটন্ত শাপলা-শালুক বিমোহিত করে মনপ্রাণ। প্রকৃতিতে বর্ষা মানে নব জীবনের সঞ্চার। পাখি বা মানুষের ছড়ানো বীজ মাটি ফুঁড়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়ায় বৃষ্টির নিমন্ত্রণে। গায়ক থেকে কবি, কিংবা লেখক- বর্ষার রূপে মুগ্ধ হয়েছেন সবাই। নিজেদের কণ্ঠ আর লেখনিতে করেছেন বৃষ্টি বন্দনা। ‘নীল নবঘনে আষাঢ় গগনে, তিল ঠাঁই আর নাহিরে; ওগো আজ তোরা যাসনে ঘরের বাহিরে।’ কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘আষাঢ়’ কবিতায়ও ফুটে উঠেছে বর্ষার প্রথম মাস আষাঢ়ের ছন্দময় সাহিত্য-কথামালা। কবিতায় প্রস্ফুটিত হয়েছে গ্রাম-বাংলার বর্ষার রূপ-লাবণ্য। বর্ষা বন্দনায় সতীনাথ মুখোপাধ্যায় গেয়েছেন, ‘এলো বরষা যে সহসা মনে তাই; রিম ঝিম ঝিম, রিম ঝিম ঝিম…গান গেয়ে যাই।’ প্রেম ও দ্রোহের কবি কাজী নজরুল ইসলাম বর্ষার সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে লিখেছেন- ‘রিমঝিম রিমঝিম ঘন দেয়া বরষে; কাজরি নাচিয়া চল, পুর-নারী হরষে; কদম তমাল ডালে দোলনা দোলে; কুহু পাপিয়া ময়ূর বোলে; মনের বনের মুকুল খোলে; নট-শ্যাম সুন্দর মেঘ পরশে।’ ষড়ঋতুর মাঝে বর্ষাকালকে নিয়েই সবচেয়ে বেশি গান, কবিতা রচিত হয়েছে।

বর্ষার প্রথম মাস আষাঢ়ের প্রথম সপ্তাহ জুড়ে নেত্রকোনা জেলা  সদরসহ কয়েকটি উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখাগেছে, প্রকৃতিতে বর্ষার আবির্ভাবে গ্রীষ্মের তীব্র তাপদাহে জীর্ণ-শীর্ণ গাছপালাগুলো সতেজ হয়ে ওঠেছে। শুকিয়ে যাওয়া নদ-নদী, খাল-বিল ফিরে পেয়েছে হারানো যৌবন। প্রকৃতিতে এখন কেবলই নতুন সৃষ্টির জয়জয়কার। গাছে গাছে শোভা পাচ্ছে কদম, বেলি, টগর, হাস্নাহেনা, বকুল, শাপলা, পদ্ম, দোলনচাঁপা, কেয়া, কামিনী, রঙ্গন, দোপাটি, কলাবতী, সন্ধ্যামালতি, বনতুলসী, কলমিসহ নানান রঙের বাহারি ফুল। বর্ষায় প্রকৃতিতে দেখা মিলছে- করমচা, জামরুল, পেয়ারা, ডেওয়া, কাউ, গাবসহ বিভিন্ন জাতের ফল। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বর্ষার জমা পানিতে জমে উঠেছে মাছ ধরার উৎসব। রাতে ফসলের মাঠে জমা পানিতে লাইট আর কোঁচ দিয়ে মাছ শিকারের ব্যস্ততা। বর্ষায় নগরজীবনে দিনে রাস্তা-ঘাটে মানুষের আনাগোনা থাকলেও গ্রামে সে চিত্র কিছুটা ভিন্ন। গ্রামের হাট-বাজারগুলোতে প্রতিদিন সন্ধ্যায় মানুষের সংখ্যা বাড়তে থাকে। বৃষ্টির রিম-ঝিম শব্দে চায়ের কাপে চুমুক দিতে দিতে টেলিভিশনে খবরের চ্যানেল আর খোশগল্পে মেতে ওঠে গ্রামবাসী।

জেলা সদরের সাতপাই এলাকার বাসিন্দা বাংলা বিষয়ের সিনিয়র প্রভাষক ও দৈনিক খবরের কাগজ পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি বিজয় চন্দ্র দাসের সাথে বর্ষার অনুভূতি নিয়ে কথা বললে তিনি বলেন, বর্ষা মানেই সময়ে-অসময়ে বৃষ্টি। বর্ষা মানেই নাগরিক জীবনে স্বস্তি-শান্তি। বর্ষা বিহীন বাংলার প্রকৃতির সৌন্দর্য কল্পনাও করা যায় না। বর্ষা ঋতু তার স্বকীয় বৈশিষ্ট্যের জন্য অনন্য, স্বতন্ত্র ও অন্যতম। বর্ষাকাল কবি-সাহিত্যিকদের কাছে অত্যন্ত আবেগময়, কাব্যময় ও প্রেমময়। রহস্যময়ী বর্ষার রূপ ও বৈচিত্রে রয়েছে নীরব কোমলতা-মাদকতা। আকাশ-প্রকৃতির গভীর মিতালিতে শিল্প-সাহিত্যের উপকরণ খুঁজে ফিরেন শিল্পী, কবি ও সাহিত্যিকরা। তারা এই অনুষঙ্গ থেকে আবহমানকাল ধরে অনুপ্রাণিত ও স্পন্দিত হয়ে আসছেন। সাহিত্য-সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের সমৃদ্ধভারে বর্ষার অপরূপ রূপের বর্ণনা চিরকালীন-অমলীন।

কথা হয় কবি ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনের সাথে জড়িত এনামুল হক পলাশের সাথে তিনি তার অনুভূতিতে জানান, বর্ষার মহিমা উজ্জীবিত করেছে সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে। গ্রামের প্রকৃতিতে যখন বৃষ্টি নামে, তখন মানবমন কিছুটা ভাবুক হওয়াই স্বাভাবিক। অজান্তেই তখন মন ছুটে যায় ফেলে আসা দিনগুলোর সুখময় স্মৃতির আঙ্গিনায়। রবি ঠাকুরের ভাষায়, “আজি ঝর ঝর মুখর বাদল দিনে, জানিনে জানিনে, কিছুতে কেন যে মন লাগে না লাগে না।” বর্ষার আসল রূপ ফুটে ওঠে গ্রামীণ পরিবেশে।

তিনি আরও বলেন, বর্ষা শহুরে জনজীবনে ভোগান্তি নিয়ে এলেও গ্রামে সে আসে আনন্দ উচ্ছ্বাসের কারণ হয়ে। বর্ষা নব জীবনের বার্তা নিয়ে এলেও হঠাৎ বিষাদের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। অতিরিক্ত বৃষ্টিতে থমকে যায় জনজীবন। যদিও নানান কারণে প্রকৃতি দিন দিন রুক্ষ ও রুদ্র হয়ে উঠছে। ষঢ়ঋতু হারাচ্ছে তার স্বকীয় বৈশিষ্ট। তবুও ষঢ়ঋতুর বাংলাদেশে প্রকৃতিতে বিরাজ করে অপার সৌন্ধর্য। ফুলে, ফলে আর সবুজের স্নিগ্ধতায় প্রস্ফুটিত হয় রূপসী বাংলা।

বারহাট্টা প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক কালেরকন্ঠ পত্রিকার সাংবাদিক ফেরদৌস আহমেদ বলেন, বসন্তকে ঋতুরাজ বলা হলেও প্রকৃতিতে নান্দনিক সৌন্ধর্য নিয়ে আসে বর্ষাকাল। বিশেষ করে গ্রামীণ প্রকৃতিতে বর্ষা আসে অন্যরকম সজিবতা নিয়ে। শৈশবে বর্ষায় বৃষ্টিতে ভিজে ফুটবল খেলেনি এমন বালক খুব কমই আছে। শহর কিংবা গ্রাম উভয় জায়গাতেই বৃষ্টির দিনে এ খেলাটি একটি নিজস্ব সংস্কৃতিতে পরিণত হয়েছে। এছাড়াও গ্রামে-গঞ্জে এসময় প্রায়ই কিশোরদের বাংলাদেশের জাতীয় খেলা কাবাডি খেলতে দেখা যায়। এ সময় হরহামেশাই ছোট ছেলেমেয়েরা ঘরে বসে দলবেঁধে বিভিন্ন ঘরোয়া খেলায় অংশ নিয়ে থাকে।

গাইবান্ধায় জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের উদ্যোগে বিশ্ব ডিম দিবস- ২০২৫ পালিত হয়েছে

শাহ্ পারভেজ সংগ্রাম,‎গাইবান্ধা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১০ অক্টোবর, ২০২৫, ১১:০৮ অপরাহ্ণ
   
গাইবান্ধায় জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের উদ্যোগে বিশ্ব ডিম দিবস- ২০২৫ পালিত হয়েছে
‎ডিমে আছে প্রোটিন, খেতে হবে প্রতিদিন-এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে উৎসবমুখর পরিবেশে গাইবান্ধায় পালিত হয়েছে বিশ্ব ডিম দিবস-২০২৫।
‎শুক্রবার (১০ অক্টোবর) সকালে জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের উদ্যোগে এ দিবসটি নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে উদযাপিত হয়েছে।
‎দিনটি উপলক্ষে সকাল ১০টায় জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর প্রাঙ্গণ থেকে একটি বর্ণাঢ্য র‍্যালি বের করা হয়। র‍্যালিটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় দপ্তর প্রাঙ্গণে এসে শেষ হয়। র‍্যালিতে অংশ নেন বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা, খামারি, কৃষক, শিক্ষার্থী ও পুষ্টিবিদসহ নানা শ্রেণিপেশার মানুষ।
‎পরে দপ্তরের সম্মেলন কক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
‎সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার ডাঃ মোঃ আব্দুর রাজ্জাক। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গাইবান্ধা সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার তরুণ কুমার দত্ত। এছাড়াও অনুষ্ঠানে প্রাণিসম্পদ দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, খামার মালিক ও গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
‎বক্তারা বলেন, ডিম একটি সাশ্রয়ী, পুষ্টিকর ও সহজলভ্য খাদ্য যা শরীরের প্রোটিন চাহিদা পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। প্রতিদিন একটি ডিম খাওয়ার অভ্যাস শিশুদের বুদ্ধি ও শারীরিক বিকাশে সহায়ক এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতেও কার্যকর।
‎অনুষ্ঠানে আরও বলা হয়, বাংলাদেশে বর্তমানে ডিম উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের পথে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। স্থানীয় খামারিদের আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর উৎপাদন ব্যবস্থার সঙ্গে সম্পৃক্ত করে ডিমের মান ও পরিমাণ আরও বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
‎আলোচনা শেষে অংশগ্রহণকারীদের মাঝে ডিমের পুষ্টিগুণ সম্পর্কিত লিফলেট, ব্যানার ও প্রচারপত্র বিতরণ করা হয়।

ধানের সাথে এ কেমন শত্রুতা ট্রাক্টর দিয়ে ধান ক্ষেত নষ্ট করলো প্রতিপক্ষ

মোঃ জাকারিয়া হোসেন, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১০ অক্টোবর, ২০২৫, ৭:৩৭ অপরাহ্ণ
   
ধানের সাথে এ কেমন শত্রুতা ট্রাক্টর দিয়ে ধান ক্ষেত নষ্ট করলো প্রতিপক্ষ
জমি জমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারীতে ১০ বিঘা জমির রোপা আমন ফসলের ক্ষেত ট্রাক্টর দিয়ে নষ্ট করে দেওয়ার অভিযোগ ওঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ভুরুঙ্গামারী থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন ক্ষতিগ্রস্থ আব্দুল মান্নান। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার (৮ অক্টোবর) উপজেলার শিলখুড়ি ইউনিয়নের দক্ষিণ ধলডাঙ্গা গ্রামে ।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় ইব্রাহিম আলী মাস্টার গং দের সাথে একই এলাকার মৃত লোকমান আলীর ছেলে আব্দুল মান্নানের পরিবারের ১১ বিঘা জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিলো। দখলভোগের প্রেক্ষিতে চলতি আমন মৌসুমেও ওই জমিতে আব্দুল মান্নান রোপা আমন চাষ করেন। চাষকৃত ওই আমন ধান হওয়ার সময় হয়েছে। এ অবস্থায় মঙ্গলবার সকাল সাড়ে আটটার দিকে রুবেল, কামরুজ্জামান, ইব্রাহিম, হাবিবুর, আ: হাই, কুদ্দুছ , ছালাম, শওকত সহ ৩০-৪০ জন নারী-পুরুষ ও তাদের লোকজন লাঠি-শোঠা ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে জমি জবর দখলের চেষ্টা করে এবং ট্রাক্টর দিয়ে ১০ বিঘা জমির ফুল আসা ধান ক্ষেত ও ১ বিঘা কালাই ক্ষেত গুড়িয়ে নষ্ট করে দেয়। এ সময় মান্নানের পরিবারের লোকজন বাধা দেয়ার চেষ্টা করলে প্রতিপক্ষ অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে হত্যার হুমকি দিয়ে চলে যায়।
স্থানীয়রা জানান, দীঘদিন ধরে উভয় পক্ষের মধ্যে এই দ্বন্দ্ব চলে আসছে। প্রায় ধান আসা ফসলগুলো ট্রাক্টর দিয়ে নষ্ট করা হয়েছে। ঘটনাটা আসলে ন্যাক্কারজনক। এটা মানুষের উপর অত্যাচার করা ছাড়া আর কিছুই নয়। এটা মানুষের বিবেককে নাড়া দেওয়ার মতো একটা ঘটনা।
ভুক্তভোগী আব্দুল মালেক ও মাসাদুল ইসলাম বলেন, আমরা মোট ১০ বিঘা জমিতে আমন চাষ করেছি। ১ বিঘা জমিতে কালাই আবাদ করেছি। আর কিছুদিন পর ধান ঘরে তুলতে পারতাম। কিন্তু আমাদের সেই আশায় পানি ঢেলে দিলো।  ফুল আসা ধান গাছ ও কালাই ট্রাক্টর দিয়ে নষ্ট করে ফেলেছে তারা। এতে প্রায় তিন লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে। আমাদের সর্বশান্ত করে দিয়েছে। এর সুষ্ঠু বিচার কামনা করেন ভুক্তভোগী ও তার পরিবার।
এ বিষয়ে প্রতিপক্ষ ইব্রাহিম আলী মাস্টারের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।তিনি ফোনও রিসিভ করেন নি।
উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ আব্দুল জব্বার জানান, বিষয়টি জানার পর, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাকে জমিটি পরিদর্শন করে অফিসে রিপোর্ট করতে বলেছি।
ভুরুঙ্গামারী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আল হেলাল মাহমুদ বলেন, অভিযোগ এর বিষয়ে মামলা রুজু করা হয়েছে , মামলাটি তদন্তাধীন ।

আসাল মিশিগান চ্যাপ্টারের নতুন কমিটি গঠন : সভাপতি-নাইম লিয়ন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক- মিনহাজ রাসেল

নাসিম আহমেদ রিয়াদ
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১০ অক্টোবর, ২০২৫, ১:৫৭ পূর্বাহ্ণ
   
আসাল মিশিগান চ্যাপ্টারের নতুন কমিটি গঠন : সভাপতি-নাইম লিয়ন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক- মিনহাজ রাসেল

গত ৫ অক্টোবর, রবিবার দুপুরে যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান ষ্টেটের ওয়ারেন সিটির আলিফ রেষ্টুরেন্টে আসাল অ্যালায়েন্স অফ সাউথ এশিয়ান আমেরিকান লেবার মিশিগান চ্যাপ্টারের সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

উক্ত সভায় সভাপতিত্ব করেন আসাল মিশিগানের সভাপতি সৈয়দ আলী রেজা সংগঠনের সেক্রেটারি মিনহাজ রাসেলের সঞ্চালনায় আসাল মিশিগান চ্যাপ্টারের ২০২৬-২০২৭ বছরের জন্য সভাপতি হিসাবে নাইম লিয়ন চৌধুরীর নাম প্রস্তাব করেন এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মাহবুব রাব্বী খান। প্রস্তাবটি সমর্থন করেন চ্যাপ্টারের ভাইস প্রেসিডেন্ট তাওহীদ নেওয়াজ।

সবার সম্মতিক্রমে নাইম নিয়ন চৌধুরীকে পরবর্তী দুই বছরের জন্য সভাপতি প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়। বর্তমান সভাপতি সৈয়দ আলী রেজা ফুল দিয়ে বর্তমান সভাপতিকে বরণ করে নেন।

 

সভায় সর্বসম্মতিক্রমে সৈয়দ আলী রেজাকে প্রেসিডেন্ট এমিরেটস নির্বাচিত করা হয়। এছাড়াও কমিটিতে অন্যান্যদের মধ্যে রয়েছেন এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মাহবুব রাব্বী খান, এক্সিকিউটিভ ডাইরেক্টর শামীম আহসান এবং মিনহাজ রাসেলকে সাধারণ সম্পাদক করে ৩১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়। সভার দ্বিতীয় পর্বে হ্যামট্রামিক সিটি নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী অ্যাডাম আল-হারাবি এবং মুহিত মাহমুদকে আসালের পক্ষ থেকে এনডোর্সমেন্ট করা হয়। এছাড়াও কাউন্সিলর প্রার্থী নাইম লিওন চৌধুরী, ইউসুফ সাঈদ, মোতাহার ফাদেলকে কাউন্সিলর প্রার্থী হিসেবে এনডোর্সমেন্ট করা হয়। উক্ত ৫ জন প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার জন্য একটি বিশেষ কমিটি গঠন করা হয়। সভা শেষে মধ্যাহ্ন ভোজের মাধ্যমে সভার পরিসমাপ্তি ঘটে।