খুঁজুন
শনিবার, ১১ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৬শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বর্ষার প্রকৃতি জুড়ে হাসছে বর্ষাদূত কদম

রিপন কান্তি গুণ, নেত্রকোনা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন, ২০২৫, ২:১৫ অপরাহ্ণ
বর্ষার প্রকৃতি জুড়ে হাসছে বর্ষাদূত কদম

‘বাদল-দিনের প্রথম কদম ফুল করেছ দান, আমি দিতে এসেছি শ্রাবণের গান…..।’ বর্ষার শুরুতে চিরচেনা মিষ্টি একটা গন্ধে মেতে উঠেছে গ্রামীণ সবুজ শ্যামল প্রকৃতি। ঋতুচক্রে বাংলার প্রকৃতিতে বর্ষা এলেই প্রকৃতির পরতে পরতে যে ফুলটি নীরবে জানান দেয় তার আগমন, সেটি হলো বর্ষাদূত কদম ফুল।

গাছের ডালে ডালে ফুটে থাকা কদম ফুল মনে করিয়ে দিচ্ছে ঋতুর আবর্তে বাংলার প্রকৃতিতে চলছে বর্ষাকাল। জুন থেকে সেপ্টেম্বর মাস হচ্ছে বর্ষাকাল। বর্ষাকালের আরেক সৌন্দর্যের নাম হলুদ আর সাদার আভায় বের হওয়া কদম ফুল। বাংলা কবিতা আর গানেও সমভাবে সমাদৃত হয়েছে বর্ষাকাল ও কদম। বর্ষার সঙ্গে কদম ফুলের যেন এক নিবিড় সম্পর্ক প্রাকৃতিকভাবেই আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে আছে। তাইতো পল্লীকবি জসিম উদ্দিন বর্ষা ও কদমের সম্পর্ক নিয়ে লিখেছেন- ‘প্রাণ সখিরে…ঐ শোন কদম্বতলে বংশী বাজায় কে।’

সরেজমিনে জেলা সদরসহ কয়েকটি উপজেলার বিভিন্ন গ্রামাঞ্চল ঘুরে দেখাগেছে, গ্রীষ্মের শেষে বর্ষার শুরুতে সড়কের পাশে, মেঠোপথের ধারে, বসতবাড়ির আশপাশে, পুকুর ও দিঘির পাড়ের কদম গাছ ছেয়ে আছে মিষ্টি গন্ধেভরা হলুদ আর সাদার আভায় তুলতুলে কদম ফুলে। এসব ফুলের মন ভোলানো সৌন্দর্যে আকৃষ্ট হচ্ছেন শিশু-কিশোরসহ নানা বয়সী মানুষ। শিশুরা এসব ফুল তাদের খেলার অনুষঙ্গ হিসেবেও ব্যবহার করছে। আবার কিশোরীদের চুলের খোপা ও বেনিতেও শোভা পাচ্ছে বর্ষাদূত কদম ফুল। উঠতি বয়সী কিশোর-কিশোরীদের হাতেও শোভা পাচ্ছে এই ফুল। প্রতিটি সড়ক দিয়ে যেতে যেতে কদম ফুলের গন্ধ ও সৌন্দর্য উপভোগ করছেন সবাই। কদম ফুলের গন্ধে যেনো গ্রাম বাংলার চিরচেনা গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। চকচকে উজ্জ্বল সবুজ পাতার ফাঁকে ফাঁকে ঝুলে থাকা কদম ফুলের সৌন্দর্যে প্রকৃতিতে এক নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে। কদম ফুলের সতেজ নির্মল সৌন্দর্য আর মোহনীয় ঘ্রাণ প্রকৃতিপ্রেমীসহ সকলের মনে সৃষ্টি করেছে ভিন্ন এক সম্মোহনী অনুভূতি।

বারহাট্টা সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত সহকারী অধ্যাপক লুৎফুন্নাহার লায়লা জানান, কদম ফুল সাধারণত আষাঢ় মাসে দেখা যাওয়ার কথা থাকলেও প্রকৃতিতে জৈষ্ঠ্য মাস থেকেই প্রকৃতিতে শোভা পায় কদম ফুল। ‘কদম’ এসেছে সংস্কৃত নাম ‘কদম্ব’ থেকে। এই ফুলের আরেক নাম নীপ। এছাড়াও এ ফুলের আরও কতগুলো নাম রয়েছে যেমন- সর্ষপ, সুরভি, পুলকি, মেঘাগমপ্রিয়, বৃত্তপুষ্প, সিন্ধুপুষ্প, ললনাপ্রিয়, মঞ্জুকেশিনী ইত্যাদি। এ দেশের ফুলগুলোর নামের মধ্যে কদম ফুল অন্যতম।

তিনি বলেন, যা বিরহীকে ব্যথিত করে, তা-ই কদম্ব। ‘নির্জন যমুনার কূলে, বসিয়া কদম্ব ডালে…বাজায় বাঁশি বন্ধু শ্যামরায়।’ সেই বাঁশির সুরে রাধার মন ব্যাকুল। বৈষ্ণব সাহিত্য রাধা-কৃষ্ণের বিরহ-বেদনায় একাকার হয়ে আছে কদমের সুরভি। এ কারণেই বুঝি কদমের আরেক নাম সুরভি। বর্ষার প্রকৃতি বাংলা সাহিত্যে এনে দিয়েছে স্নিগ্ধতা। বর্ষার উপহার সোনা রঙের কদম ফুল নিয়ে রচিত হয়েছে নানা গল্প, উপন্যাস, কবিতা আর গান।

নেত্রকোনা সরকারি কলেজের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জায়েদা মেহের নিগারের সাথে কথা বললে তিনি জানান, কদম গাছের বৈজ্ঞানিক নাম- Anthocephalus indicus এবং ইংরেজি নাম- Burflower tree। কদম Rubiaceae পরিবারের Neolamarckia গণের একটি বৃক্ষ। কদমগাছ সাধারণত ৩০ থেকে ৪০ ফুট লম্বা হয়। প্রস্থ ঊর্ধ্বে ৫ থেকে ৭ ফুট হয়। এর আদি নিবাস ভারতের উষ্ণ অঞ্চল, মালয় ও চীনে। এই গাছের পাতা লম্বা, চকচকে উজ্জ্বল সবুজ। শীতকালে এই গাছের পাতা ঝরে গেলেও বসন্ত এলেই এই গাছে পাতা নতুন পাতা গজাতে শুরু করে। কদম ফুল গোলাকার। ফুলটিকে একটি ফুল মনে হলেও আসলে এটি অসংখ্য ফুলের একটি গুচ্ছ। এর ভেতরে মাংসল পুষ্পাধার রয়েছে, যাতে হলুদ রংয়ের ফানেলের মতো নরম সাদা পাপড়িগুলো আটকে থাকে। কদম গাছের ফল বাদুড় ও কাঠবিড়ালির প্রিয় খাদ্য। এরাই ভিন্ন ভিন্ন জায়গায় এই গাছের বংশবিস্তারে সাহায্য করে থাকে।

তিনি বলেন, ভেষজ ঔষধিগুণে ভরা কদম পাতা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী। এর ব্যবহারে ডায়াবেটিস রোগীদের শরীরে ইনসুলিনের উৎপাদন নিয়ন্ত্রণে রাখে। এটি ব্যথানাশক হিসেবেও ব্যবহৃত হয়। কদমের ছাল জ্বরের ওষুধ হিসেবেও ব্যবহৃত হয়। পায়ের তালু জ্বলা, ব্রণসৃষ্ট ক্ষত ও গ্রন্থিস্ফীতি রোগে এর ব্যবহার প্রাচীনকাল থেকেই চলে আসছে। এ ছাড়া কদম ফুল সেদ্ধ করা পানি দিয়ে কুলকুচি করলে মুখের দুর্গন্ধ দূর হয়।

দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি সাংবাদিক শ্যামলেন্দু পাল বলেন, ছোট বেলায় কদমফুল নিয়ে অনেক খেলাধুলা করেছি, সে-সময় যত গাছ দেখেছি বর্তমানে এতো গাছ আর চোখে পড়ে না। মূলত বর্ষাকালে প্রকৃতিতে কদম ফুল ফোটে। এই ফুলের সঙ্গে গ্রামবাংলার এক নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। তবে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে এখন অসময়েও কদম ফুল ফুটতে দেখা যায়। শিমুল ফুলসহ অনেক ফুলেরই এখন বাণিজ্যিক চাষ হচ্ছে কিন্তু কদমফুলের গাছ রোপনে এখন পর্যন্ত সরকারী উদ্যোগের পাশাপাশি ব্যক্তি উদ্যোগও গ্রহণ করা হয় না। অবহেলিত ভাবে এখানে-সেখানে প্রাকৃতিক ভাবে যা হয়। কদম ফুল অন্যরকম একটা ফুল যেটি দেখলে মন ভালো হয়ে যায়। আমাদের গাছটিকে রক্ষা করতে বেশি বেশি রোপন করা উচিৎ। গাছের বৃদ্ধি অত্যন্ত দ্রুত বলে জ্বালানি কাঠের জন্য রোপণ করা যেতে পারে। নরম কাঠ বলে সহজেই নানা কাজে ব্যবহার করা হয়।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোহাম্মদ নুরুজ্জামান বলেন, কদম ফুল শুভ্রতার প্রতীক। বাংলাদেশে কদমফুল বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টিস্নাতক দিনে বাঙালীদের মনে অন্য রকম অনূভূতি এনে দেয়। কদম ফুল ও বাংলার প্রকৃতিতে বর্ষা মৌসুমের সৌন্দর্য ওতপ্রোত ভাবে জড়িত। কদম গাছের কাঠ জ্বালানির কাজে ব্যবহার করা হয়। কদমের অনেক ঔষধিগুণ রয়েছে। সরকারী ভাবে এই গাছ রোপনের জন্য কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।

গাইবান্ধায় জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের উদ্যোগে বিশ্ব ডিম দিবস- ২০২৫ পালিত হয়েছে

শাহ্ পারভেজ সংগ্রাম,‎গাইবান্ধা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১০ অক্টোবর, ২০২৫, ১১:০৮ অপরাহ্ণ
   
গাইবান্ধায় জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের উদ্যোগে বিশ্ব ডিম দিবস- ২০২৫ পালিত হয়েছে
‎ডিমে আছে প্রোটিন, খেতে হবে প্রতিদিন-এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে উৎসবমুখর পরিবেশে গাইবান্ধায় পালিত হয়েছে বিশ্ব ডিম দিবস-২০২৫।
‎শুক্রবার (১০ অক্টোবর) সকালে জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের উদ্যোগে এ দিবসটি নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে উদযাপিত হয়েছে।
‎দিনটি উপলক্ষে সকাল ১০টায় জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর প্রাঙ্গণ থেকে একটি বর্ণাঢ্য র‍্যালি বের করা হয়। র‍্যালিটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় দপ্তর প্রাঙ্গণে এসে শেষ হয়। র‍্যালিতে অংশ নেন বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা, খামারি, কৃষক, শিক্ষার্থী ও পুষ্টিবিদসহ নানা শ্রেণিপেশার মানুষ।
‎পরে দপ্তরের সম্মেলন কক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
‎সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার ডাঃ মোঃ আব্দুর রাজ্জাক। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গাইবান্ধা সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার তরুণ কুমার দত্ত। এছাড়াও অনুষ্ঠানে প্রাণিসম্পদ দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, খামার মালিক ও গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
‎বক্তারা বলেন, ডিম একটি সাশ্রয়ী, পুষ্টিকর ও সহজলভ্য খাদ্য যা শরীরের প্রোটিন চাহিদা পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। প্রতিদিন একটি ডিম খাওয়ার অভ্যাস শিশুদের বুদ্ধি ও শারীরিক বিকাশে সহায়ক এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতেও কার্যকর।
‎অনুষ্ঠানে আরও বলা হয়, বাংলাদেশে বর্তমানে ডিম উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের পথে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। স্থানীয় খামারিদের আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর উৎপাদন ব্যবস্থার সঙ্গে সম্পৃক্ত করে ডিমের মান ও পরিমাণ আরও বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
‎আলোচনা শেষে অংশগ্রহণকারীদের মাঝে ডিমের পুষ্টিগুণ সম্পর্কিত লিফলেট, ব্যানার ও প্রচারপত্র বিতরণ করা হয়।

ধানের সাথে এ কেমন শত্রুতা ট্রাক্টর দিয়ে ধান ক্ষেত নষ্ট করলো প্রতিপক্ষ

মোঃ জাকারিয়া হোসেন, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১০ অক্টোবর, ২০২৫, ৭:৩৭ অপরাহ্ণ
   
ধানের সাথে এ কেমন শত্রুতা ট্রাক্টর দিয়ে ধান ক্ষেত নষ্ট করলো প্রতিপক্ষ
জমি জমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারীতে ১০ বিঘা জমির রোপা আমন ফসলের ক্ষেত ট্রাক্টর দিয়ে নষ্ট করে দেওয়ার অভিযোগ ওঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ভুরুঙ্গামারী থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন ক্ষতিগ্রস্থ আব্দুল মান্নান। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার (৮ অক্টোবর) উপজেলার শিলখুড়ি ইউনিয়নের দক্ষিণ ধলডাঙ্গা গ্রামে ।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় ইব্রাহিম আলী মাস্টার গং দের সাথে একই এলাকার মৃত লোকমান আলীর ছেলে আব্দুল মান্নানের পরিবারের ১১ বিঘা জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিলো। দখলভোগের প্রেক্ষিতে চলতি আমন মৌসুমেও ওই জমিতে আব্দুল মান্নান রোপা আমন চাষ করেন। চাষকৃত ওই আমন ধান হওয়ার সময় হয়েছে। এ অবস্থায় মঙ্গলবার সকাল সাড়ে আটটার দিকে রুবেল, কামরুজ্জামান, ইব্রাহিম, হাবিবুর, আ: হাই, কুদ্দুছ , ছালাম, শওকত সহ ৩০-৪০ জন নারী-পুরুষ ও তাদের লোকজন লাঠি-শোঠা ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে জমি জবর দখলের চেষ্টা করে এবং ট্রাক্টর দিয়ে ১০ বিঘা জমির ফুল আসা ধান ক্ষেত ও ১ বিঘা কালাই ক্ষেত গুড়িয়ে নষ্ট করে দেয়। এ সময় মান্নানের পরিবারের লোকজন বাধা দেয়ার চেষ্টা করলে প্রতিপক্ষ অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে হত্যার হুমকি দিয়ে চলে যায়।
স্থানীয়রা জানান, দীঘদিন ধরে উভয় পক্ষের মধ্যে এই দ্বন্দ্ব চলে আসছে। প্রায় ধান আসা ফসলগুলো ট্রাক্টর দিয়ে নষ্ট করা হয়েছে। ঘটনাটা আসলে ন্যাক্কারজনক। এটা মানুষের উপর অত্যাচার করা ছাড়া আর কিছুই নয়। এটা মানুষের বিবেককে নাড়া দেওয়ার মতো একটা ঘটনা।
ভুক্তভোগী আব্দুল মালেক ও মাসাদুল ইসলাম বলেন, আমরা মোট ১০ বিঘা জমিতে আমন চাষ করেছি। ১ বিঘা জমিতে কালাই আবাদ করেছি। আর কিছুদিন পর ধান ঘরে তুলতে পারতাম। কিন্তু আমাদের সেই আশায় পানি ঢেলে দিলো।  ফুল আসা ধান গাছ ও কালাই ট্রাক্টর দিয়ে নষ্ট করে ফেলেছে তারা। এতে প্রায় তিন লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে। আমাদের সর্বশান্ত করে দিয়েছে। এর সুষ্ঠু বিচার কামনা করেন ভুক্তভোগী ও তার পরিবার।
এ বিষয়ে প্রতিপক্ষ ইব্রাহিম আলী মাস্টারের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।তিনি ফোনও রিসিভ করেন নি।
উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ আব্দুল জব্বার জানান, বিষয়টি জানার পর, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাকে জমিটি পরিদর্শন করে অফিসে রিপোর্ট করতে বলেছি।
ভুরুঙ্গামারী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আল হেলাল মাহমুদ বলেন, অভিযোগ এর বিষয়ে মামলা রুজু করা হয়েছে , মামলাটি তদন্তাধীন ।

আসাল মিশিগান চ্যাপ্টারের নতুন কমিটি গঠন : সভাপতি-নাইম লিয়ন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক- মিনহাজ রাসেল

নাসিম আহমেদ রিয়াদ
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১০ অক্টোবর, ২০২৫, ১:৫৭ পূর্বাহ্ণ
   
আসাল মিশিগান চ্যাপ্টারের নতুন কমিটি গঠন : সভাপতি-নাইম লিয়ন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক- মিনহাজ রাসেল

গত ৫ অক্টোবর, রবিবার দুপুরে যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান ষ্টেটের ওয়ারেন সিটির আলিফ রেষ্টুরেন্টে আসাল অ্যালায়েন্স অফ সাউথ এশিয়ান আমেরিকান লেবার মিশিগান চ্যাপ্টারের সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

উক্ত সভায় সভাপতিত্ব করেন আসাল মিশিগানের সভাপতি সৈয়দ আলী রেজা সংগঠনের সেক্রেটারি মিনহাজ রাসেলের সঞ্চালনায় আসাল মিশিগান চ্যাপ্টারের ২০২৬-২০২৭ বছরের জন্য সভাপতি হিসাবে নাইম লিয়ন চৌধুরীর নাম প্রস্তাব করেন এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মাহবুব রাব্বী খান। প্রস্তাবটি সমর্থন করেন চ্যাপ্টারের ভাইস প্রেসিডেন্ট তাওহীদ নেওয়াজ।

সবার সম্মতিক্রমে নাইম নিয়ন চৌধুরীকে পরবর্তী দুই বছরের জন্য সভাপতি প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়। বর্তমান সভাপতি সৈয়দ আলী রেজা ফুল দিয়ে বর্তমান সভাপতিকে বরণ করে নেন।

 

সভায় সর্বসম্মতিক্রমে সৈয়দ আলী রেজাকে প্রেসিডেন্ট এমিরেটস নির্বাচিত করা হয়। এছাড়াও কমিটিতে অন্যান্যদের মধ্যে রয়েছেন এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মাহবুব রাব্বী খান, এক্সিকিউটিভ ডাইরেক্টর শামীম আহসান এবং মিনহাজ রাসেলকে সাধারণ সম্পাদক করে ৩১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়। সভার দ্বিতীয় পর্বে হ্যামট্রামিক সিটি নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী অ্যাডাম আল-হারাবি এবং মুহিত মাহমুদকে আসালের পক্ষ থেকে এনডোর্সমেন্ট করা হয়। এছাড়াও কাউন্সিলর প্রার্থী নাইম লিওন চৌধুরী, ইউসুফ সাঈদ, মোতাহার ফাদেলকে কাউন্সিলর প্রার্থী হিসেবে এনডোর্সমেন্ট করা হয়। উক্ত ৫ জন প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার জন্য একটি বিশেষ কমিটি গঠন করা হয়। সভা শেষে মধ্যাহ্ন ভোজের মাধ্যমে সভার পরিসমাপ্তি ঘটে।