খুঁজুন
শনিবার, ১১ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৬শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

প্রকৃতি থেকে হারিয়ে যাচ্ছে প্রাচীন প্রাণী কচ্ছপ

রিপন কান্তি গুণ, নেত্রকোনা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: শুক্রবার, ৪ জুলাই, ২০২৫, ৪:০৪ অপরাহ্ণ
প্রকৃতি থেকে হারিয়ে যাচ্ছে প্রাচীন প্রাণী কচ্ছপ

ধীর পায়ের হেঁটে যাওয়া চতুষ্পদী প্রাণী কচ্ছপ। একসময় সর্বত্রই পানিতে ও স্থলে এদের অবাধে বিচরণ করতে দেখা গেলেও মানব সৃষ্ট নানা কারণে বর্তমানে প্রকৃতি থেকে বিলীনের পথে বিপন্নপ্রায় সরীসৃপ শ্রেণির প্রাণী কচ্ছপ।

কয়েক দশক আগেও গ্রামবাংলায় দেশি কচ্ছপের দেখা পাওয়া অতি স্বাভাবিক ব্যাপার ছিল। তখন নদী-নালা, খাল-বিল, ঝোপ-ঝাড়, পুকুর–ডোবাসহ অনেক জলাশয়েই কচ্ছপের দেখা মিলতো। কিন্তু বাসস্থানের অভাব, প্রাকৃতিক বনভূমি ধ্বংস, কৃষিজমিতে কীটনাশক প্রয়োগ, চাষের জন্য বনভূমি পোড়ানো, জলাশয়ে নিষিদ্ধ জালের ব্যবহারসহ নানা কারণে হারিয়ে যাওয়ার শেষ প্রান্তে রয়েছে কচ্ছপ।

সরেজমিনে জেলা সদরসহ বিভিন্ন উপজেলার কয়েকটি গ্রাম ঘুরে ও প্রবীন ব্যাক্তিদের সাথে কথা বললে তারা জানান, বিগত প্রায় অর্ধশত বছর আগে উপজেলার অধিকাংশ ডোবা-নালা ও পুকুর প্রায় সময়ই পতিত থাকতো। ফলে সেখানে পানি, কচুরিপানা ও বিভিন্ন আগাছায় ভরে যেতো। আর সেই সুযোগে নির্ভয়ে পোকা-মাকরের পাশাপাশি বসবাস করতো কচ্ছপের মতো প্রাণী। তখন এসব খাল-বিল, পুকুর, ডোবা-নালা সেঁচ দিয়ে শুকালে সবার আগে চোখে পড়তো ছোট-বড় কচ্ছপ। কিন্তু বর্তমানে পানি দূষণ, খাদ্যাভাব ও মানুষের আক্রমণে দিন দিন প্রকৃতি থেকে হারিয়ে যাচ্ছে পরিবেশের বন্ধু কচ্ছপ।

নেত্রকোনা সরকারি কলেজের প্রাণিবিজ্ঞান  বিভাগের প্রভাষক তফাজ্জল হোসেন আকন্দর সাথে কথা বললে তিনি বলেন, কচ্ছপ হল সরীসৃপ (Reptiles) শ্রেণির একটি দল, যাদের বৈজ্ঞানিক নাম “Testudines”। এই বর্গের মধ্যে বিভিন্ন প্রজাতি অন্তর্ভুক্ত, যেমন- সমুদ্র কচ্ছপ, মিঠা পানির কচ্ছপ, এবং স্থল কচ্ছপ। কচ্ছপ সাপ গুইসাপ ও কুমির প্রজাতির সরীসৃপ প্রাণী। দেশের ২৭ প্রজাতির কাছিমের মধ্যে গোত্রে ৪টি Cheloniidae ও Dermochelyidaeগোত্রে এক প্রজাতির কাছিম এবং Bataguridae, Testudinidae ও Trionychidae গোত্রে ২২ প্রজাতি রয়েছে। মিঠাপিানির কাছিমসহ Freshwater Tortoise (Cyclemis dentata), অধিকাংশ কাছিম দেশের সর্বত্র ব্যাপক ছড়িয়ে আছে।বাংলাদেশে মিঠাপানিতে বেশ কয়েক ধরনের কচ্ছপ দেখা যায়। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হলো: লাল-মুকুটি কড়ি কাইট্টা (Red-roofed turtle), সন্ধি কচ্ছপ (Indian Flapshell Turtle), এবং বোস্তামী কচ্ছপ। এছাড়াও, পাহাড়ি শিলা কচ্ছপ ও হলুদ কেটো কচ্ছপও মিঠাপানির কচ্ছপ হিসেবে পরিচিত।

তিনি আরও বলেন, জল ও ডাঙা দুই জায়গায়ই এরা বাস করতে পারে। স্ত্রী কচ্ছপ মাটিতে গর্ত করে রাতের অন্ধকারে ১ থেকে ৩০টি পর্যন্ত ডিম পাড়ে। ডিম পাড়ার পর মা কচ্ছপ ডিমগুলো মাটি, বালু বা অন্য যেকোনো জৈব পদার্থ দিয়ে ঢেকে দেয়। ডিম ফুটে বাচ্চা বের হতে প্রজাতি বিশেষ ৬০ থেকে ১২০ দিন সময় লাগে। বেশির ভাগ প্রজাতির কচ্ছপের গড় আয়ু ১৫০ বছর হলেও এদের সর্বোচ্চ আয়ু ২৫০-৩০০ বছর।

দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার নেত্রকোনা জেলা প্রতিনিধি শ্যামলেন্দু পালের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমরা হাওরাঞ্চলের মানুষ। একসময়ে আমাদের এলাকায় পৌষ-মাঘের নিত্যকার দৃশ্য ছিলো নৌকার গলুইয়ে বসে রোদ পোহানো কচ্ছপের ছানা। শীতে নৌকা ব্যবহার হতো না, তাই ডিঙ্গি বা নৌকা ডুবিয়ে রেখে দেয়া হতো পুকুরে বা ডোবায়। সেই গলুই থেকে টুপ করে ডুব দিতো মানুষের সামান্য সাড়া পেলেই। অথচ এখন আমাদের এলাকাসহ সারা দেশে বিলুপ্ত প্রায় মিঠা পানির নিরীহ প্রাণী কচ্ছপ। বর্তমানে এই কচ্ছপের দেখা পেতে আমাদের এখন যেতে হবে দেশের বাইরে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় আশির দশকেও গ্রামগঞ্জের হাটগুলোর এক পাশে বিক্রি হতো শুধুই কচ্ছপ। চিৎ করে রাখা ছড়ানো সব কচ্ছপ। হিন্দু সম্প্রদায়ের মাংসের ভালো একটা যোগান আসতো কচ্ছপ থেকে। নব্বই দশকের পর হতে বিক্রয়ের জন্য আর বাজারে উঠতে দেখা যায়না কচ্ছপ। ফলে ক্রমেই হাওর-বাওর পুকুর-ডোবায় খাল-বিল থেকেও উধাও হয়ে যাচ্ছে কচ্ছপ। এখন কচ্ছপের দেখা মেলে কালেভাদ্রে।

জেলার দুর্গাপুর, পূর্বধলা, বারহাট্টা উপজেলার কয়েকজন কচছপ শিকারীর সাথে কথা বললে তারা জানান, বছরের কার্তিক মাস থেকে বৈশাখ পর্যন্ত (অক্টোবর থেকে এপ্রিল) কচ্ছপ শিকারের মৌসুম। আগে এসময় আমরা উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ঘুরে নদী-নালা, খাল-বিল, ও ডোবা থেকে কাউট্টা/কচ্ছপ শিকার করে বিভিন্ন হাট-বাজারে বিক্রি করে সংসার চালাতাম। তবে, এখন আর আগের মতো কচ্ছপ শিকার ও বিক্রিও হয় না।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ শহিদুল্লাহ বলেন, দেশে বন্যপ্রাণী আইনে যে কোনো বিলুপ্তপ্রায় প্রাণী হত্যা দণ্ডনীয় অপরাধ। ১৯৭৪ ও ২০১০ সালের আইনে এ ব্যাপারে সুস্পষ্ট দিক নির্দেশনা রয়েছে। এসব বিলুপ্তপ্রায় প্রাণী সংরক্ষণে যে আইন রয়েছে তাতে শাস্তির মাত্রা তুলনামূলকভাবে কম। যতটুকু শাস্তির ব্যবস্থা রয়েছে সেগুলো যদি কার্যকর করা হতো তাহলেও কচ্ছপ নিধন কমতো।

গাইবান্ধায় জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের উদ্যোগে বিশ্ব ডিম দিবস- ২০২৫ পালিত হয়েছে

শাহ্ পারভেজ সংগ্রাম,‎গাইবান্ধা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১০ অক্টোবর, ২০২৫, ১১:০৮ অপরাহ্ণ
   
গাইবান্ধায় জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের উদ্যোগে বিশ্ব ডিম দিবস- ২০২৫ পালিত হয়েছে
‎ডিমে আছে প্রোটিন, খেতে হবে প্রতিদিন-এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে উৎসবমুখর পরিবেশে গাইবান্ধায় পালিত হয়েছে বিশ্ব ডিম দিবস-২০২৫।
‎শুক্রবার (১০ অক্টোবর) সকালে জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের উদ্যোগে এ দিবসটি নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে উদযাপিত হয়েছে।
‎দিনটি উপলক্ষে সকাল ১০টায় জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর প্রাঙ্গণ থেকে একটি বর্ণাঢ্য র‍্যালি বের করা হয়। র‍্যালিটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় দপ্তর প্রাঙ্গণে এসে শেষ হয়। র‍্যালিতে অংশ নেন বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা, খামারি, কৃষক, শিক্ষার্থী ও পুষ্টিবিদসহ নানা শ্রেণিপেশার মানুষ।
‎পরে দপ্তরের সম্মেলন কক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
‎সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার ডাঃ মোঃ আব্দুর রাজ্জাক। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গাইবান্ধা সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার তরুণ কুমার দত্ত। এছাড়াও অনুষ্ঠানে প্রাণিসম্পদ দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, খামার মালিক ও গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
‎বক্তারা বলেন, ডিম একটি সাশ্রয়ী, পুষ্টিকর ও সহজলভ্য খাদ্য যা শরীরের প্রোটিন চাহিদা পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। প্রতিদিন একটি ডিম খাওয়ার অভ্যাস শিশুদের বুদ্ধি ও শারীরিক বিকাশে সহায়ক এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতেও কার্যকর।
‎অনুষ্ঠানে আরও বলা হয়, বাংলাদেশে বর্তমানে ডিম উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের পথে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। স্থানীয় খামারিদের আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর উৎপাদন ব্যবস্থার সঙ্গে সম্পৃক্ত করে ডিমের মান ও পরিমাণ আরও বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
‎আলোচনা শেষে অংশগ্রহণকারীদের মাঝে ডিমের পুষ্টিগুণ সম্পর্কিত লিফলেট, ব্যানার ও প্রচারপত্র বিতরণ করা হয়।

ধানের সাথে এ কেমন শত্রুতা ট্রাক্টর দিয়ে ধান ক্ষেত নষ্ট করলো প্রতিপক্ষ

মোঃ জাকারিয়া হোসেন, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১০ অক্টোবর, ২০২৫, ৭:৩৭ অপরাহ্ণ
   
ধানের সাথে এ কেমন শত্রুতা ট্রাক্টর দিয়ে ধান ক্ষেত নষ্ট করলো প্রতিপক্ষ
জমি জমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারীতে ১০ বিঘা জমির রোপা আমন ফসলের ক্ষেত ট্রাক্টর দিয়ে নষ্ট করে দেওয়ার অভিযোগ ওঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ভুরুঙ্গামারী থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন ক্ষতিগ্রস্থ আব্দুল মান্নান। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার (৮ অক্টোবর) উপজেলার শিলখুড়ি ইউনিয়নের দক্ষিণ ধলডাঙ্গা গ্রামে ।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় ইব্রাহিম আলী মাস্টার গং দের সাথে একই এলাকার মৃত লোকমান আলীর ছেলে আব্দুল মান্নানের পরিবারের ১১ বিঘা জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিলো। দখলভোগের প্রেক্ষিতে চলতি আমন মৌসুমেও ওই জমিতে আব্দুল মান্নান রোপা আমন চাষ করেন। চাষকৃত ওই আমন ধান হওয়ার সময় হয়েছে। এ অবস্থায় মঙ্গলবার সকাল সাড়ে আটটার দিকে রুবেল, কামরুজ্জামান, ইব্রাহিম, হাবিবুর, আ: হাই, কুদ্দুছ , ছালাম, শওকত সহ ৩০-৪০ জন নারী-পুরুষ ও তাদের লোকজন লাঠি-শোঠা ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে জমি জবর দখলের চেষ্টা করে এবং ট্রাক্টর দিয়ে ১০ বিঘা জমির ফুল আসা ধান ক্ষেত ও ১ বিঘা কালাই ক্ষেত গুড়িয়ে নষ্ট করে দেয়। এ সময় মান্নানের পরিবারের লোকজন বাধা দেয়ার চেষ্টা করলে প্রতিপক্ষ অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে হত্যার হুমকি দিয়ে চলে যায়।
স্থানীয়রা জানান, দীঘদিন ধরে উভয় পক্ষের মধ্যে এই দ্বন্দ্ব চলে আসছে। প্রায় ধান আসা ফসলগুলো ট্রাক্টর দিয়ে নষ্ট করা হয়েছে। ঘটনাটা আসলে ন্যাক্কারজনক। এটা মানুষের উপর অত্যাচার করা ছাড়া আর কিছুই নয়। এটা মানুষের বিবেককে নাড়া দেওয়ার মতো একটা ঘটনা।
ভুক্তভোগী আব্দুল মালেক ও মাসাদুল ইসলাম বলেন, আমরা মোট ১০ বিঘা জমিতে আমন চাষ করেছি। ১ বিঘা জমিতে কালাই আবাদ করেছি। আর কিছুদিন পর ধান ঘরে তুলতে পারতাম। কিন্তু আমাদের সেই আশায় পানি ঢেলে দিলো।  ফুল আসা ধান গাছ ও কালাই ট্রাক্টর দিয়ে নষ্ট করে ফেলেছে তারা। এতে প্রায় তিন লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে। আমাদের সর্বশান্ত করে দিয়েছে। এর সুষ্ঠু বিচার কামনা করেন ভুক্তভোগী ও তার পরিবার।
এ বিষয়ে প্রতিপক্ষ ইব্রাহিম আলী মাস্টারের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।তিনি ফোনও রিসিভ করেন নি।
উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ আব্দুল জব্বার জানান, বিষয়টি জানার পর, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাকে জমিটি পরিদর্শন করে অফিসে রিপোর্ট করতে বলেছি।
ভুরুঙ্গামারী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আল হেলাল মাহমুদ বলেন, অভিযোগ এর বিষয়ে মামলা রুজু করা হয়েছে , মামলাটি তদন্তাধীন ।

আসাল মিশিগান চ্যাপ্টারের নতুন কমিটি গঠন : সভাপতি-নাইম লিয়ন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক- মিনহাজ রাসেল

নাসিম আহমেদ রিয়াদ
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১০ অক্টোবর, ২০২৫, ১:৫৭ পূর্বাহ্ণ
   
আসাল মিশিগান চ্যাপ্টারের নতুন কমিটি গঠন : সভাপতি-নাইম লিয়ন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক- মিনহাজ রাসেল

গত ৫ অক্টোবর, রবিবার দুপুরে যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান ষ্টেটের ওয়ারেন সিটির আলিফ রেষ্টুরেন্টে আসাল অ্যালায়েন্স অফ সাউথ এশিয়ান আমেরিকান লেবার মিশিগান চ্যাপ্টারের সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

উক্ত সভায় সভাপতিত্ব করেন আসাল মিশিগানের সভাপতি সৈয়দ আলী রেজা সংগঠনের সেক্রেটারি মিনহাজ রাসেলের সঞ্চালনায় আসাল মিশিগান চ্যাপ্টারের ২০২৬-২০২৭ বছরের জন্য সভাপতি হিসাবে নাইম লিয়ন চৌধুরীর নাম প্রস্তাব করেন এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মাহবুব রাব্বী খান। প্রস্তাবটি সমর্থন করেন চ্যাপ্টারের ভাইস প্রেসিডেন্ট তাওহীদ নেওয়াজ।

সবার সম্মতিক্রমে নাইম নিয়ন চৌধুরীকে পরবর্তী দুই বছরের জন্য সভাপতি প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়। বর্তমান সভাপতি সৈয়দ আলী রেজা ফুল দিয়ে বর্তমান সভাপতিকে বরণ করে নেন।

 

সভায় সর্বসম্মতিক্রমে সৈয়দ আলী রেজাকে প্রেসিডেন্ট এমিরেটস নির্বাচিত করা হয়। এছাড়াও কমিটিতে অন্যান্যদের মধ্যে রয়েছেন এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মাহবুব রাব্বী খান, এক্সিকিউটিভ ডাইরেক্টর শামীম আহসান এবং মিনহাজ রাসেলকে সাধারণ সম্পাদক করে ৩১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়। সভার দ্বিতীয় পর্বে হ্যামট্রামিক সিটি নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী অ্যাডাম আল-হারাবি এবং মুহিত মাহমুদকে আসালের পক্ষ থেকে এনডোর্সমেন্ট করা হয়। এছাড়াও কাউন্সিলর প্রার্থী নাইম লিওন চৌধুরী, ইউসুফ সাঈদ, মোতাহার ফাদেলকে কাউন্সিলর প্রার্থী হিসেবে এনডোর্সমেন্ট করা হয়। উক্ত ৫ জন প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার জন্য একটি বিশেষ কমিটি গঠন করা হয়। সভা শেষে মধ্যাহ্ন ভোজের মাধ্যমে সভার পরিসমাপ্তি ঘটে।