খুঁজুন
রবিবার, ১২ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৭শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ফেনীর আলোচিত নুসরাত জাহান রাফি হত্যার ৬ বছর আজ

মোঃ আবদুল রহিম, ফেনী প্রতিনিধি
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১১ এপ্রিল, ২০২৫, ১১:০১ অপরাহ্ণ
ফেনীর আলোচিত নুসরাত জাহান রাফি হত্যার ৬ বছর আজ

নুসরাত জামান রাফি:- ফাইল ছবি

ফেনীর সোনাগাজীর আলোচিত মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি হত্যার ছয় বছর আজ বৃহস্পতিবার। ২০১৯ সালের ১০ এপ্রিল অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় চিকিৎসাধীন থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন ওই বছরের আলিম পরীক্ষার্থী নুসরাত। অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ আনায় মাদ্রাসা ভবনের ছাদে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করা হয় তাঁকে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত ১৬ আসামিকে নিম্ন আদালত ফাঁসির দণ্ড প্রদান করলেও উচ্চ আদালতে ডেথ রেফারেন্স শুনানিতে আটকে আছে কার্যক্রম। এদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আসামির স্বজনদের হুমকির কারণে অনেকটা নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে নুসরাতের পরিবার। এ কারণে দীর্ঘ ছয় বছর ধরে নুসরাতের পরিবারকে থাকতে হচ্ছে পুলিশি পাহারায়।
যেভাবে হত্যা করা হয়
২০১৯ সালের ৬ এপ্রিল। ফেনীর সোনাগাজীর ইসলামিয়া ফাজিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসায় আলিম পরীক্ষার্থী নুসরাত মাদ্রাসায় গিয়েছিলেন আরবি প্রথম পত্রের পরীক্ষায় অংশ নিতে। পরীক্ষা শুরুর আগে বান্ধবী নিশাতকে মারধর করা হচ্ছে, এমন খবর শুনে ছাদে ছুটে গিয়েছিলেন নুসরাত। সেখানে আগে থেকে অবস্থান নেওয়া পাঁচজন মিলে তাঁকে ছাদে চিত করে শুইয়ে ফেলেন। তাঁর পরনের ওড়নাটি দুই ভাগ করে বেঁধে ফেলেন হাত-পা। এরপর এক লিটার কেরোসিন নুসরাতের গলা থেকে পা পর্যন্ত ঢালা হয়। ম্যাচের কাঠি দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় পায়ে। আগুন যখন সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে, তখন এই পাঁচজন সিঁড়ি বেয়ে নিচে নেমে আসেন।
নুসরাত হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার শাহাদাত হোসেন ওরফে শামীমের (২০) জবানবন্দি থেকে উঠে আসে সেদিনের বিস্তারিত তথ্য। শাহাদাত সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসার ফাজিল দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। ওই মাদ্রাসার আলিম পরীক্ষার্থী ছিলেন নুসরাত। শরীরের ৮০ শতাংশ পোড়া নিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে পাঁচ দিন লড়ার পর ১০ এপ্রিল মারা যান নুসরাত।
কিন্তু কেন এমন কাজ করলেন মাদ্রাসার কিছু শিক্ষার্থী। মৃত্যুর আগে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নুসরাত ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসকদের কাছে দেওয়া জবানবন্দিতে অধ্যক্ষ সিরাজকে এ ঘটনার জন্য দায়ী করেন। গ্রেপ্তার শাহাদাত হোসেন, নুর উদ্দিনসহ বিভিন্ন আসামির আদালতে দেওয়া জবানবন্দি ও মামলার রায়ে পেছনের কারণ স্পষ্ট হয়। আসামিদের জবানবন্দি থেকে জানা যায়, নুসরাত খুনিদের লক্ষ্য হন ২০১৯ সালের ২৭ মার্চ অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলার বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ আনার পর থেকেই। ওই ঘটনায় নুসরাতের মা শিরিন আক্তার সোনাগাজী থানায় মামলা করেছিলেন। এর পর থেকেই মামলা তুলে নেওয়ার জন্য নানাভাবে হুমকি দেওয়া হচ্ছিল পরিবারটিকে। তবে প্রতিবাদে অনড় ছিলেন নুসরাত। আগুন ধরিয়ে দেওয়ার আগমুহূর্তেও তাঁকে মামলা তুলে নিতে চাপ দেওয়া হয়, কিন্তু নুসরাত তা মানেননি। পরবর্তী সময়ে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায়ও তিনি প্রতিবাদ করে গেছেন
নুসরাত হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার শাহাদাত হোসেন ও নুর উদ্দিন ফেনীর জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম জাকির হোসাইনের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছিলেন। ১১ ঘণ্টা ধরে ৫৭ পৃষ্ঠার জবানবন্দিতে তাঁরা ওই দিনের ঘটনার আদ্যোপান্ত তুলে ধরেন।
এই দুই আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের সঙ্গে জড়িত তদন্ত কর্মকর্তারা বলেছেন, গ্রেপ্তার অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলার সঙ্গে দেখা করতে ৩ এপ্রিল যাঁরা কারাগারে গিয়েছিলেন, অধ্যক্ষ তাঁদের সবার কাছে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন। এরপর তিনি আলাদাভাবে মাদ্রাসাছাত্র ও ‘সিরাজ উদদৌলা সাহেবের মুক্তি পরিষদ’ নামে গঠিত কমিটির আহ্বায়ক নুর উদ্দিন (২০), যুগ্ম আহ্বায়ক শাহাদাত হোসেন ওরফে শামীম (২০) এবং আরেক ছাত্রের সঙ্গে আলাদাভাবে কথা বলেন। তিনি তাঁদের মামলা তুলে নেওয়ার জন্য নুসরাতকে চাপ দিতে বলেন। পরবর্তী সময়ে তিনি শাহাদাতের সঙ্গে একা কথা বলেন। তখন তিনি চাপে কাজ না হলে প্রয়োজনে নুসরাতকে হত্যার নির্দেশ দেন। আর সে পরিকল্পনা অনুযায়ী হত্যা করা হয় নুসরাতকে।
পুলিশি পাহারায় নুসরাতের পরিবার
সোনাগাজী পৌর শহর থেকে কাশ্মীরি বাজার সড়ক হয়ে উত্তর চর চান্দিয়ায় নুসরাতদের বাড়ি। গতকাল বুধবার সকালে ওই বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, বাড়ির সামনেই দাঁড়িয়ে আছেন এক কনস্টেবল। নুসরাত হত্যার পর সকাল-রাত পালাক্রমে সোনাগাজী মডেল থানার পুলিশের একজন অফিসার, কনস্টেবলসহ একটি দল বাড়ি পাহারায় নিয়োজিত রয়েছে। পুলিশের অনুমতি নিয়ে ঘরে ঢুকতেই দোচালা টিনের ঘরের আঙিনায় বসেছিলেন নুসরাতের মা ও ছোট ভাই।
গত বছরের ভয়াবহ বন্যায় অন্য সব বাড়ির মতো নুসরাতের বাড়িও পানিতে ডুবে যায়। সে সময় নুসরাতের অনেক স্মৃতিচিহ্ন নষ্ট হয়ে যায়। নুসরাতের মৃত্যুর পর তাঁকে নিয়ে প্রকাশিত সংবাদ–সংবলিত একটি ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদে নুসরাতের দগ্ধ ছবি ছিল। সেটি দেখিয়ে তাঁর মা শিরিন আক্তার বলেন, ‘ফুলের মতো মেয়েটি যে কী যন্ত্রণা পেয়েছে, বারবার ভাবি। কখনোই ভুলতে পারি না। যদি হত্যাকারীদের ফাঁসি হয়, তবে কিছুটা সান্ত্বনা মিলবে।
নুসরাতের ছোট ভাই রাশেদুল হাসান রায়হান বলেন, ‘আপুকে (নুসরাত) হত্যার পর থেকে আসামির স্বজনেরা আমাকে শিবির বলে আখ্যা দেয়। আমি নাকি মাদ্রাসায় বঙ্গবন্ধুর ছবি ভাঙচুর করেছি। তারাই আবার ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর আমাকে আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগের দোসর বলে প্রচার করছে।
মামলার বাদী ও নুসরাতের বড় ভাই মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক এ ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামির স্বজনেরা নুসরাতকে নিয়ে কটূক্তি করে যাচ্ছে। এতে আমরা সব সময় আতঙ্কে থাকছি। যত দ্রুত সম্ভব উচ্চ আদালত মামলাটি নিষ্পত্তি করলে নুসরাতের আত্মা শান্তি পাবে।
পরিবার সূত্র জানায়, নুসরাতের বাবা মাওলানা এ কে এম মুসা জামেয়া সারাফাতিয়া ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার শিক্ষক ও মসজিদের ইমাম। তিনি সপ্তাহে ছয় দিন মাদ্রাসায় থাকলেও বৃহস্পতিবার রাতে বাড়িতে আসেন। শুক্রবার সকালেই আবার কর্মস্থলে ফিরে যান
মামলার রায়ে যা বলা হয়
নুসরাত হত্যার ঘটনায় ঘটনায় তাঁর বড় ভাই মাহমুদুল হাসান সোনাগাজী মডেল থানায় হত্যা মামলা করেছিলেন। আলোচিত এই ঘটনা সারা দেশে তোলপাড় হলে ওই বছরের ২৮ মে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) তদন্ত শেষে মাদ্রাসার অধ্যক্ষসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে আদালতে ৮৬৯ পৃষ্ঠার অভিযোগপত্র দাখিল করে। ৮৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে ২০১৯ সালের ২৪ অক্টোবর আদালত রায় ঘোষণা করেন। ১৬ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে উল্লেখ করে প্রত্যেককে মৃত্যুদণ্ড দেন ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (তৎকালীন) মামুনুর রশিদ। পাশাপাশি প্রত্যেক আসামিকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
মামলার ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত ১৬ আসামির ডেথ রেফারেন্সে শুনানি চলছে উচ্চ আদালতে। সাজার পাঁচ বছর পর ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসে বিচারপতি হাবিবুল গনি ও বিচারপতি জাহেদ মনসুরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে ডেথ রেফারেন্সে শুনানি শুরু হয়।
বাদীপক্ষের ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এম শাহজাহান সাজু বলেন, বিচারপতিদ্বয়ের গঠিত বেঞ্চে গত পাঁচ মাসে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত ১৬ আসামের মধ্যে ৭ আসামির শুনানি শেষ হয়েছে। অপর ৯ আসামির শুনানি শেষ হলে হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ এ মামলার রায় প্রদান করতে পারেন। ধারণা করা হচ্ছে, আগামী ঈদুল আজহার পর এ মামলার চূড়ান্ত রায় হতে পারে। উচ্চ আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের মামলা লড়ছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আবদুল বাসেত ও আসামিপক্ষে মামলা লড়ছেন ব্যারিস্টার মুশফিকুর রহমান।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা কে কোথায়
নুসরাত হত্যা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার তৎকালীন অধ্যক্ষ এস এম সিরাজ উদদৌলা, সোনাগাজী উপজেলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন সভাপতি ও মাদ্রাসার সাবেক সহসভাপতি রুহুল আমিন, সোনাগাজী পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাকসুদ আলম, মাদ্রাসার ছাত্র নূর উদ্দিন, শাহাদাত হোসেন, সাইফুর রহমান মোহাম্মদ জোবায়ের, জাবেদ হোসেন ওরফে সাখাওয়াত হোসেন, হাফেজ আবদুল কাদের, আবছার উদ্দিন, আবদুর রহিম শরীফ, ইফতেখার উদ্দিন, ইমরান হোসেন, মহিউদ্দিন শাকিল, মোহাম্মদ শামীম, কামরুন নাহার ও উম্মে সুলতানা পপি।
ফেনী জেলা কারাগারের জেলসুপার মো. আবদুল জলিল জানান, নুসরাত হত্যা মামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত ১৬ আসামির মধ্যে ২ আসামি ফেনী জেলা কারাগারে রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে তৎকালীন আওয়ামী লীগের নেতা রুহুল আমিন ও মাকসুদ আলমের বিরুদ্ধে একাধিক মামলার হাজিরা থাকায় তাঁদের ফেনী জেলা কারাগারে রাখা হয়েছে। অপর ১৪ আসামির মধ্যে অনেকে কুমিল্লা জেলা কারাগার, কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারসহ বিভিন্ন কারাগারে রয়েছেন।

মৌলভীবাজার-২আসনে গণঅধিকার পরিষদের এমপি পদপ্রার্থী খন্দকার সাইদুজ্জামান সুমনে’র নিবার্চনী প্রচার প্রচারণা

ইমতিয়াজ সুমন, স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: রবিবার, ১২ অক্টোবর, ২০২৫, ৯:৫৫ অপরাহ্ণ
   
মৌলভীবাজার-২আসনে গণঅধিকার পরিষদের এমপি পদপ্রার্থী খন্দকার সাইদুজ্জামান সুমনে’র নিবার্চনী প্রচার প্রচারণা

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে

মৌলভীবাজার-২ কুলাউড়া আসনে গণঅধিকার পরিষদের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা যে যার মতো প্রস্তুতি শুরু করেছেন। এর মধ্যে অন্যতম আলোচিত নাম খন্দকার সাইদুজ্জামান সুমন যিনি গনঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির রাজনৈতিক প্রশিক্ষণ বিষয় সহ সম্পাদক ও বাংলাদেশ প্রবাসী অধিকার পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক একজন পরীক্ষিত জননেতা হিসেবে দলীয় মহলে সুপরিচিত।

দলীয় প্রতীক ট্রাক নিয়ে নির্বাচন করার প্রত্যাশা ব্যক্ত করে খন্দকার সাইদুজ্জামান সুমন বলেন, “সারাদেশের মানুষ এখন একটি নিরপেক্ষ নির্বাচনের অপেক্ষায়। আগামী জানুয়ারি থেকে ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন হবে এই বিশ্বাস থেকেই আমি প্রস্তুতি নিচ্ছি। আমার নির্বাচনী এলাকার জনগণের ভোটাধিকারের পক্ষে রাজপথে আছি।”তিনি বলেন, “৫ আগস্ট দেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের মধ্য দিয়ে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের পতনের সূচনা হয়েছে। এখন সময় এসেছে পরিবর্তনের। জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে আমরা নতুনভাবে স্বপ্ন দেখছি।”তৃণমূল পর্যায়ে ব্যাপক সাংগঠনিক তৎপরতা শুরু করেছেন। কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে শুরু করে ২৪ জুলাই আন্দোলন পর্যন্ত খন্দকার সাইদুজ্জামান সুমন ইউ কে কমিটির লোকদের নিয়ে প্রতিবাদ সভা, সমাবেশ ও টিভি টকশোর করে দেশের পাশে থাকার যতেষ্ট ভুমিকা রেখেছিলেন।

নুরুল হক নুরের নেতৃত্ব এবং গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার কর্মসূচি তুলে ধরছি। নতুন ভোটারদের প্রসঙ্গে খন্দকার সাইদুজ্জামান সুমন বলেন, “দলের সভাপতি নুরুল হক নুর দীর্ঘদিন ধরে দেশের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনার আন্দোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। আজ দেশের যুবসমাজ ও সাধারণ মানুষ ভোট দিতে চায়,পরিবর্তন চায়। তরুণ ভোটাররা যেন ভয়হীনভাবে মত প্রকাশ করতে পারে,এই স্বাধীনতার জন্যই নুরুল হক নুর সংগ্রাম করে যাচ্ছেন।” দলের প্রতি নিজের রাজনৈতিক অঙ্গীকার তুলে ধরে
খন্দকার সাইদুজ্জামান সুমন বলেন, “আমি ছাত্র রাজনীতি থেকে উঠে আসা একজন তৃণমূল কর্মী। আমি রাজনীতি থাকা অবস্থায়ও সাধারণ মানুষের পাশে ছিলাম। আমার অভিজ্ঞতা, নীতিশিক্ষা ও জনগণের ভালোবাসা নিয়েই আমি আগামী নির্বাচনে ট্রাক প্রতীকের মনোনয়ন প্রত্যাশা করছি।”সাক্ষাৎকারের শেষভাগে তিনি বলেন, “আমার নির্বাচনী এলাকার সব শ্রেণি-পেশার মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। আমি দোয়া চাই, ভালোবাসা চাই এই গণতান্ত্রিক লড়াইয়ে আপনাদের সঙ্গেই আমার এগিয়ে যাওয়া।

বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী ঝালকাঠি-১ রাজাপুর কাঠালিয়া নির্বাচনী এলাকায় সেলিম রেজার পক্ষে ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: রবিবার, ১২ অক্টোবর, ২০২৫, ১:৪১ পূর্বাহ্ণ
   
বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী ঝালকাঠি-১ রাজাপুর কাঠালিয়া নির্বাচনী এলাকায় সেলিম রেজার পক্ষে ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ

বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জননেতা জনাব তারেক রহমান ঘোষিত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা প্রচারে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী ঝালকাঠি-১ রাজাপুর কাঠালিয়া নির্বাচনী এলাকায়, গণমানুষের নেতা সেলিম রেজার পক্ষে ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ ও ধানের শীষে পক্ষে ভোট চায়।১০/১০/ ২০২৫ ইং তারিখ ঝালকাঠি-১ রাজাপুর উপজেলার সাতুরিয়া ইউনিয়নে নিউইয়র্ক মহানগর দক্ষিণ বিএনপি সভাপতি ও রাজাপুর-কাঁঠালিয়ার গন মানুষের নেতা সাবেক ছাত্রনেতা জননেতা মোঃ হাবিবুর রহমান সেলিম রেজার পক্ষে আজ জুমার নামাজের পরে মসজিদের মুসুল্লিদের মাঝে বিএনপি নেতা দেলোয়ার হোসেন মেম্বার ও যুবদলের নেতা মোঃ সুমন জমাদ্দার এর নেতৃত্বে ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে।

এ সময় তিনি সাধারণ মানুষের মাঝে রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফার মূল বক্তব্য ও উদ্দেশ্য তুলে ধরেন এবং জনসাধারণকে বিএনপির রূপরেখা সম্পর্কে অবহিত করেন।

গাইবান্ধায় জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের উদ্যোগে বিশ্ব ডিম দিবস- ২০২৫ পালিত হয়েছে

শাহ্ পারভেজ সংগ্রাম,‎গাইবান্ধা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১০ অক্টোবর, ২০২৫, ১১:০৮ অপরাহ্ণ
   
গাইবান্ধায় জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের উদ্যোগে বিশ্ব ডিম দিবস- ২০২৫ পালিত হয়েছে
‎ডিমে আছে প্রোটিন, খেতে হবে প্রতিদিন-এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে উৎসবমুখর পরিবেশে গাইবান্ধায় পালিত হয়েছে বিশ্ব ডিম দিবস-২০২৫।
‎শুক্রবার (১০ অক্টোবর) সকালে জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের উদ্যোগে এ দিবসটি নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে উদযাপিত হয়েছে।
‎দিনটি উপলক্ষে সকাল ১০টায় জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর প্রাঙ্গণ থেকে একটি বর্ণাঢ্য র‍্যালি বের করা হয়। র‍্যালিটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় দপ্তর প্রাঙ্গণে এসে শেষ হয়। র‍্যালিতে অংশ নেন বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা, খামারি, কৃষক, শিক্ষার্থী ও পুষ্টিবিদসহ নানা শ্রেণিপেশার মানুষ।
‎পরে দপ্তরের সম্মেলন কক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
‎সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার ডাঃ মোঃ আব্দুর রাজ্জাক। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গাইবান্ধা সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার তরুণ কুমার দত্ত। এছাড়াও অনুষ্ঠানে প্রাণিসম্পদ দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, খামার মালিক ও গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
‎বক্তারা বলেন, ডিম একটি সাশ্রয়ী, পুষ্টিকর ও সহজলভ্য খাদ্য যা শরীরের প্রোটিন চাহিদা পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। প্রতিদিন একটি ডিম খাওয়ার অভ্যাস শিশুদের বুদ্ধি ও শারীরিক বিকাশে সহায়ক এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতেও কার্যকর।
‎অনুষ্ঠানে আরও বলা হয়, বাংলাদেশে বর্তমানে ডিম উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের পথে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। স্থানীয় খামারিদের আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর উৎপাদন ব্যবস্থার সঙ্গে সম্পৃক্ত করে ডিমের মান ও পরিমাণ আরও বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
‎আলোচনা শেষে অংশগ্রহণকারীদের মাঝে ডিমের পুষ্টিগুণ সম্পর্কিত লিফলেট, ব্যানার ও প্রচারপত্র বিতরণ করা হয়।