খুঁজুন
শনিবার, ৮ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৩শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দূনীর্তিবাজ কর্মচারীর ক্ষমতা ও আয়ের উৎস কোথায়

চাঁদপুর প্রতিনিধি 
প্রকাশিত: সোমবার, ২ জুন, ২০২৫, ৬:০২ অপরাহ্ণ
দূনীর্তিবাজ কর্মচারীর ক্ষমতা ও আয়ের উৎস কোথায়
ফ্যাসিবাদি সরকারের দোসর কচুয়ার দুর্নীতির আরেক নাম মোহাম্মদ কাউসার
চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলা শিক্ষা অফিসের অফিস সহকারি কাম-কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক মোহাম্মদ কাউছারকে ঘুষ গ্রহন সহ নানা অনিয়মের অভিযোগে বদলী করা হয়েছে। চাঁদপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ফাতেমা মেহের ইয়াসমিনের ১২ মে স্বাক্ষরিত বদলী আদেশে তাকে কচুয়া থেকে চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে একই পদে বদলী করা হয়। যার স্বারক নং-৩৮.০১.১৩০০.০০০.১৯.০২৯.২২।

জানা গেছে, কচুয়া উপজেলা শিক্ষা অফিসে লোকবল কম থাকায় মো. কাউছার একাই শিক্ষকদের ছুটি, বদলী, পদোন্নতিসহ সকল দাপ্তরিক কাজ করতেন।
বিভিন্ন বিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষকগন জানান, কাউছার টাকা ছাড়া কোন কাজ করতেন না। টাকাই যেন তার কাছে ছিল সকল উৎস, সব শিক্ষক তার কাছে ছিলেন জিম্মি।

উপজেলা শিক্ষা অফিসার পারভীন সুলতানার দাপটে কাউছার বিভিন্ন শিক্ষকদের নিকট থেকে ছুটি, বদলী ও পদোন্নতিসহ সকল ক্ষেত্রে টাকার বিনিময়ে কাজ করতেন। তাকে টাকা না দিলে বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে শিক্ষকদের হয়রানী করতেন। তার বিরুদ্ধে অফিসে বসে শিক্ষকের নিকট থেকে প্রকাশ্যে ঘুষ নেয়া ও নিজ চেয়ারে বসে ধুমপানের ১মিনিট ১ সেকেন্ড এর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক সেবাগ্রহীতা বলেন, বিভিন্ন কাজে প্রায়ই তার কক্ষে যেতে হয়। অফিসে বসেই একের পর এক সিগারেট ধরান তিনি। তার একহাতে থাকে সিগারেট, অন্যহাতে সেবাগ্রহীতাদের ফাইলে স্বাক্ষর করেন। দুর্গন্ধে তার কক্ষে যাওয়া কষ্টকর। অফিসে যত লোকই থাকুক না কেন তিনি সবার সামনেই ধূমপান করেন। এটা তার নিত্যদিনের অভ্যাস। ধূমপানের বিষয়টি নিয়ে নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে সচেতন মহলের মধ্যে।

তার পূর্বের কর্মস্থল হাজীগঞ্জ থেকেও দুনীর্তির দায়ে বিভাগীয় মামলা এবং শাস্তিমূলক বদলী হয়েছিলেন কচুয়ায়। বর্তমানে কচুয়া শিক্ষা অফিস থেকে একই জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলায় প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে তাকে বদলী করায় সকল শিক্ষক ও কর্মচারীদের মাঝে স্বস্তির নি:স্বাস দেখা দিয়েছে এবং অনেকে আনন্দিত হয়েছেন। একই সাথে দুনীর্তিবাজ কাউছারের বিভিন্ন অনিয়মের তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী শিক্ষক ও কর্মচারীগন।

এই বিষয়ে চাঁদপুরের জেলা শিক্ষা অফিসার বলেছিলেন তদন্ত কমিটি করে তার বিরুদ্দ্বে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিন্তুু আদৌ পযর্ন্ত তার বিরুদ্দে কোন বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা  হয়নি।

এদিকে ফরিদগন্জ উপজেলা অফিস জেনে-শুনে একজন দূনীর্তিবাজ কর্মচারীকে যোগদান করতে দেননি। ফলে চাঁদপুর জেলা শিক্ষা অফিসার তাকে চাদঁপুর জেলা শিক্ষা অফিসে রাখতে চান বলে বিশ্বস্ত সূএের মাধ্যমে জানা গেছে। একজন তৃতীয় শ্রেনীর কর্মচারী কি করে হাজীগঞ্জে দুইটা পাচঁ তলা বাড়ী এবং তার নিজ গ্রামের আধুনিক ডিজাইন করে বিল্ডিং করেছেন ও অনেক অনৈতিক টাকার মালিক। তার এতো কোটি টাকার সম্পদের আয়ের উৎস কি। এই ব্যাপারে দুদকের প্রয়োজনী ব্যবস্থা গ্রহনপূবর্ক আইনগত ব্যবস্থা ও অনুসন্ধন করা উচিত। তাহলে কি আমরা ধরে নেবো তার এই ক্ষমতা ও দূনীর্তির প্রকৃত উৎস জেলা শিক্ষা অফিস চাঁদপুর।

এছাড়াও তদন্ত কমিটির বিষয়ে চাঁদপুর জেলা শিক্ষা অফিসার ফাতেমা মেহের ইয়াসমিনে সাথে কথা হলে তিনি জানান, আমরা সহকারি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার নাজমা বেগমকে বিষয়টি তদন্তের জন্য দায়িত্ব দিয়েছি। ঈদের পরপর তিনি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করবেন।

এদিকে বিভিন্ন অনিয়ম, প্রকাশ্যে ঘুষ গ্রহন ও ধূমপানের বিষয়ে জানতে তার ব্যবহৃত ০১৮২৫০০৬০৮৭ নাম্বারে একাধিকবার ফোন করে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোনটি রিসিভ করেননি।

চাঁদপুরে পাসপোর্ট করতে এসে ২ রোহিঙ্গা নারী আটক

সাইদ হোসেন অপু চৌধুরী, চাঁদপুর
প্রকাশিত: বুধবার, ৫ নভেম্বর, ২০২৫, ৮:৩১ অপরাহ্ণ
   
চাঁদপুরে পাসপোর্ট করতে এসে ২ রোহিঙ্গা নারী আটক
চাঁদপুর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে পাসপোর্ট করতে এসে কর্মকর্তাদের হাতে ধরা পড়েছেন দুই রোহিঙ্গা নারী। পরে তাদের পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

মঙ্গলবার বিকেলে পাসপোর্ট অফিসের দু-তলায় তারা আটক হন। আটককৃতরা হলেন, কুতুপালং এর ২ নম্বর ক্যাম্পের ই-১১ ব্লকের বাসিন্দা সহিসু আলম এর মেয়ে সুবাইরা (১০) ও সোনা আলীর মেয়ে জুহুরা বেগম (৩৫)।

পাসপোর্ট অফিস সূত্র জানান, দুই নারী একসঙ্গে চাঁদপুর পাসপোর্ট অফিসে প্রবেশ করেন। এরমধ্যে সুবাইরা পাসপোর্টের জন্য ব্যাংক ড্রাফট, আবেদনসহ অন্যান্য কাগজপত্র নিয়ে আসেন। সঙ্গে ভোটার আইডির ভেরিফাইড কপি ও ফটোকপি জমা দিতে সংযুক্ত করেন। যদিও ওই ভোটার আইডি চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলার কাজী কামতা গ্রামের রুমা আক্তারের। এসব জালিয়তির কথা স্বীকার করেন প্রতারক সুবাইরা ও জুহুরা।
তারা বলেন, সুবাইরাকে সৌদি আরব নিবে বলে এক ব্যক্তি যোগাযোগ করে। ওই ব্যক্তির মাধ্যমেই পাসপোর্টের সব আনুসাঙ্গিক কাগজপত্র তৈরি করেন। যদিও তারা দুইজনেই দাবি করেন ওই ব্যক্তিকে তারা চেনেন না।

চাঁদপুর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তা উত্তম কুমার সাহা বলেন, আসলে আবেদনের মধ্যেমে এ ধরনের রোহিঙ্গাদের চিহ্নিত করতে বেগ পেতে হয়। যদিও চেহারা ও ভাষার মাধ্যমে অনুমান করে আমরা পাসপোর্ট গ্রহীতাদের বিভিন্ন প্রশ্ন করি। ওসব প্রশ্নের মাধ্যমেই এমন রোহিঙ্গাদের চিহ্নিত করা সম্ভব হয়।

চাঁদপুর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের উপ-পরিচালক মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, এসবি ক্লিয়ারেন্স বন্ধ হওয়ায় আমরা আরো সাবধান। না হয় ফাঁক-ফোকর দিয়ে এসব রোহিঙ্গরা পাসপোর্ট নিয়ে যেতে পারে। আমরা চেষ্টা করছি এক্ষেত্রে আরো বেশি সর্তক হওয়ার।

চাঁদপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বাহার মিয়া বলেন, যেহেতু তারা বৈধভাবে কুতুপালং ক্যাম্পে থাকে তাদের ওই ক্যাম্প প্রধানের কাছে হস্তান্তর করা হবে। ওই দুই নারী কেন ক্যাম্প থেকে বের হলো, বিষয়টি নিয়ে আইনি পদক্ষেপ নেবেন ওই ক্যাম্প প্রধান। আমরা দুই নারীকে ওই ক্যাম্প প্রধানের কাছে হস্তান্তর করবো।

মনোহরদীতে শিক্ষকদের নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য ও চাঁদাবাজির বিচার দাবিতে মানববন্ধন

জাহিদ মিয়া,(নরসিংদী)প্রতিনিধি
প্রকাশিত: বুধবার, ৫ নভেম্বর, ২০২৫, ৮:২৮ অপরাহ্ণ
   
মনোহরদীতে শিক্ষকদের নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য ও চাঁদাবাজির বিচার দাবিতে মানববন্ধন
নরসিংদীর মনোহরদীতে শরিফুল ইসলাম শাকিল নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে শিক্ষক-কর্মচবারীদের নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য, অপপ্রচার ও চাঁদাবাজির বিচার দাবিতে মানববন্ধন করেছে উপজেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষিকাবৃন্দ।
বুধবার সকালে মনোহরদী সরকারি পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে ঘন্টাব্যাপী এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।
চন্দনবাড়ী কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ আবু রায়হান ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, সরদার আছমত আলী মহিলা ডিগ্রী কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ফরহাদ হোসেন, শেখেরগাঁও ফাযিল মাদরাসার অধ্যক্ষ এখলাছ উদ্দিন, মনতলা ফাযিল মাদরাসার অধ্যক্ষ বাকিউল ইসলাম, চালাকচর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোস্তফা হোসেন, চন্দনবাড়ী এস.এ পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নাসরিন সুলতানা প্রমুখ।
কর্মসূচিতে শিক্ষকদের সঙ্গে উপজেলার বিভিন্ন শ্রেনী পেশার লোকজন একাত্মতা জানিয়ে অংশগ্রহণ করেন।
মানববন্ধনে শিক্ষককরা বলেন, কাজী শরিফুল ইসলাম শাকিল নামের এক ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শিক্ষকদের নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য এবং বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়াচ্ছে, যা শিক্ষক সমাজের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে। এ সময় তাঁরা শাকিলকে দ্রত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

চাঁদপুর জেলা ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের জরুরী সভা

সাইদ হোসেন অপু চৌধুরী, চাঁদপুর
প্রকাশিত: বুধবার, ৫ নভেম্বর, ২০২৫, ৮:২৪ অপরাহ্ণ
   
চাঁদপুর জেলা ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের জরুরী সভা
বাংলাদেশ ফটোজার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন চাঁদপুর জেলা শাখার জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর ) বিকালে চাঁদপুর প্রেসক্লাব ভবনের ৩য় তলায় সংগঠনের কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্যদের নিয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ফটোজার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন চাঁদপুর জেলা শাখার সভাপতি চৌধুরী ইয়াছিন ইকরাম। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সাধারণ সম্পাদক শাওন পাটওয়ারীর পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন , সিনিয়র সহ সভাপতি এস এম সোহেল, সহ-সভাপতি মাজহারুল ইসলাম অনিক, সাংগঠনিক সম্পাদক সাইদ হোসেন অপু চৌধুরী, কোষাধ্যক্ষ শেখ আল মামুন, দপ্তর সম্পাদক মানিক দাস, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মো. আনোয়ারুল হক, সাংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক ইমাম হোসেন গাজী, কার্যকরী সদস্য কেএম মাসুদ, অভিজিত রায় ও মিজানুর রহমান লিটন।

সভায় সংগঠনের অভিষেক অনুষ্ঠান, বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডসহ গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।