
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর গণপিটুনি কচুয়া থানার এসআই মামুনুর রশিদকে হত্যা পর খোয়া যাওয়া ৮ রাউন্ড সরকারি গুলি উদ্ধারে কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ চাঁদপুর জেলা পুলিশের অর্থ পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে।
রোববার (১ ডিসেম্বর) দুপুরে চাঁদপুর পুলিশ সুপার কার্যালয়ে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে পুলিশ সুপার মুহম্মদ আব্দুর রকিব পিপিএম এর কাছ থেকে জেলা গোয়েদ্দা শাখা (ডিবি) এস আই (নিরস্ত্র) মিজানুর রহমান কর্মদক্ষতা ও পেশাদারিত্বের স্বীকৃতি স্বরূপ নগদ অর্থ পুরস্কার গ্রহণ করেন।
পুলিশ সুপার মুহম্মদ আব্দুর রকিব পিপিএম বলেন, “পুলিশ সদস্যদের এমন পরিশ্রম ও দায়িত্বশীলতার জন্য আমরা গর্বিত। তার এই প্রয়াস চাঁদপুর জেলা পুলিশের সকল সদস্যদের জন্য অনুপ্রেরণা।”পুলিশ রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ একটি সংস্থা। জনগণকে সেবা প্রদানই পুলিশের মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। সেবা দেওয়ার মাধ্যমেই জনগণের কাঙ্ক্ষিত পুলিশ বাহিনী হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। সকল পুলিশ সদস্যকে একটি টিম হিসেবে কাজ করতে হবে।
পুলিশ সুপার, পুরস্কিত পুলিশ সদস্যের পারিবারিক খোজখবর নেন। এছাড়াও পেশাদারিত্বের সাথে কাজ করার জন্য আহ্বান জানান এবং প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা প্রদান করেন।
এসময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত) সুদীপ্ত রায়, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) রাশেদুল হক চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গ: গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর গণপিটুনি দিয়ে কচুয়া থানার এসআই মামুনুর রশিদকে কচুয়া বঙ্গবন্ধু সরকারি কলেজ মাঠে হত্যা করা হয়। হত্যার পর তার সঙ্গে থাকা ৭.৬২ এমএম পিস্তলটি লুণ্ঠন করে হামলাকারীরা। প্রায় চার মাস পর রোববার (২৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় কচুয়া উপজেলার রহিমানগর সড়কের কান্দিরপাড়গামী সংযোগ সড়কের পাশে রেইন্ট্রি (কড়ই) গাছের গোড়া থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় পলিথিনে মোড়ানো এসব গুলি উদ্ধার করা হয়।