


সরোজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, আড়াই,শ শয্যা বিশিষ্ট চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে থাকা জলাতঙ্কের কক্ষটিতে কুকুর বিড়াল সহ অন্যান্য প্রাণীর কামড়ে আক্রান্ত রোগীরা জলাতঙ্কের ভ্যাকসিন নেয়ার জন্য অপেক্ষা করছেন। অনেকে বাহিরে থেকে টাকা দিয়ে টিকা ও সিরিঞ্জ সংগ্রহ করে সেখানকার নার্সদের মাধ্যমে শরীরে টিকা গ্রহন করছেন।
খবর নিয়ে জানা যায়, গত ৪/৫ দিন ধরে হাসপাতালে থাকা জলাতঙ্ক টিকা ও টিকা প্রদানের সিরিঞ্জ শেষ হয়ে গেছে। এ কারনে কুকুর বিড়ালে কামরানো হাসপাতালে আগত রোগীরা বিনামূল্যের সরকারি এমন সেবা থেকে বঞ্চিত হয়ে নিজেদের টাকায় বাহিরের ফার্মেসী থেকে টিকা ক্রয় করে হাসপাতাল থেকে এমন সেবা নিচ্ছেন।
এদিকে হাসপাতালের জলাতঙ্ক প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রন কেন্দ্রের ইনচার্জ ব্রাদার সাদেক হোসেন জানান, প্রতিদিন গড়ে কুকুর এবং বিড়ালে কামড়ানো প্রায় ৩/৪০ জন রোগী হাসপাতালে এসে এই টিকা গ্রহন করেন। তবে কুকুরের তুলনায় বিড়ালে কামড়ানো বা আঁচরের রোগী বেশি হয়ে থাকে। আগের তুলনায় বর্তমানে বেশির ভাগ মানুষ ঘরে ঘরে বিড়াল পোষে। যার কারনে কুকুরের চেয়ে বিড়ালের আঁচর এবং কামড়ানো রোগী বেশি হয়। এর ফলে খুব অল্প সময়ে আমাদের স্টকে থাকা ভ্যাকসিন শেষ হয়ে যাচ্ছে। গত ৩/৪ দিন ধরে আমাদের টিকা সংকট দেখা দিয়েছে। আশা করি কাল বা পরশু নতুন টিকা চলে আসবে।