খুঁজুন
সোমবার, ১৩ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৮শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আমতলীতে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে নানা কর্মসূচীর মধ্যে দিয়ে তারুণ্যের উৎসব পালিত

আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারি, ২০২৫, ৭:৪২ অপরাহ্ণ
আমতলীতে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে নানা কর্মসূচীর মধ্যে দিয়ে তারুণ্যের উৎসব পালিত

আমতলী উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন ও পৌরসভায় নানা কর্মসূচীর মধ্যে দিয়ে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে ‘এসো দেশ বদলাই, পৃথিবী বদলাই’ এই শ্লোগান নিয়ে তারুণ্যের উৎসব-২০২৫ উদযাপিত হয়েছে। ৩০ ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া কর্মসূচী ১৬ জানুয়ারি তারুন্যের সমাবেশের মধ্যে দিয়ে শেষ হয়।

কর্মসূচীর মধ্যে ছিল ৩০ ডিসেম্বর পলিথিন বর্জন করে পাঠজাত পণ্যের ব্যবহার বৃদ্ধির লক্ষে সচেতনতা মূলক কর্মসূচী পালন, শ্রেণি কক্ষসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রাঙ্গন পরিস্কার পরিচ্ছনতা অভিযান পরিচালনা করা, জুলাই বিপ্লবকে অর্থবহ করতে তারুণ্যের প্রতিীক ৩৬ জুলাইকে সকলের মাঝে তুলে ধরার লক্ষ্যে সকল মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শ্রেণি কার্যক্রমে তথ্য চিত্র তুলে ধরা, বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল উদ্যোক্তাদের জীবনসফলতার গল্প শিক্ষার্থীদের মাঝে তুলে ধরা হয়। ১১ জানুয়ারি দিনব্যাপী তরুনদের সহযোগিতায় আমতলী উপজেলা ব্যাপী এক যোগে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনা করা হয়। ১২ জানুয়ারি উপজেলা ব্যাপি একযোগে মশক নিধন ও বর্জ্য শূন্যতা অভিযান পরিচালনা করা হয় এবং উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হয়। ১৩ জানুয়ারি মাধ্যমিক পর্যায়ের ছাত্রছাত্রীদের পানি সরবরাহ, স্যানিটেশন ও হাইজিন বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষে ‘কোনটি বেশি গুরুত্বপূর্ন: হাত ধোয়া নাকি স্বাস্থ্য সম্মত পায়খানা’ এর উপর বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। একই দিন কলেজ পর্যায়ে ডেঙ্গু মোকাবেলায় প্রাতিষ্ঠঅনিক উদ্যোগের চেয়ে ব্যক্তিগত সচেতনতা-ই- অধিক গুরুত্বপূর্ন শীর্ষক আন্তকলেজ বিতর্ক অনুষ্ঠানের আযোজন করা হয়। এবং আমতলী সরকারী একে হাইস্কুল মাঠে তরুনদের নিয়ে ভলিবল প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। ১৪ জানুয়ারি বিতর্ক প্রতিযোগিতা, কুইজ, রচনা ও জুলাই-৩৬ সংক্রান্ত চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এবং চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিদের জুলাই-৩৬ সংক্রান্ত আঁকা ছবি ও জুলাই –আগস্ট গণঅভ্যুথানের ছবি নিয়ে প্রদর্শীর আযোজন করা হয়। একই দিন আমতলী সরকারী একে হাইস্কুল মাঠে তরুনদের নিয়ে ফুটবল প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। ১৫ জানুয়ারি আমতলী একে সরকারী হাইস্কুল মাঠে টি -২০ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হয়। ১৫ জানুয়ারি থেকে -১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত আমতলী উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে পণ্য প্রদর্শনী ও পিঠা উৎসবের আয়োজন করা হয়। ১৬ জানুয়ারি আমতলী উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে যুব সমাবেশ ও সমাপনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। একই দিন আমতলী এমইউ বালিকা পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে জুলাই বিপ্লবের উপর প্রমান্য চিত্র প্রদর্শন, পিঠা উৎসবসহ নানা কর্মসূচীর আয়োজন করা হয়।
১৬ জানুয়ারি সকাল ১১ টায় আমতলী উপজেলা পরিষদের হলরুমে সমাপনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে সভাপত্বি করেন আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আশরাফুল আলম। সভায় বক্তব্য রাখেন আমতলী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তারেক হাসান, আমতলী উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. সাইফুর রহমান, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. অলি আহাদ, জনস্বাস্থ্য উপসহকারী প্রকৌশলী মো. সোহাগ ও একাডেমিক সুপারভাইজার গোলঅম মাহমুদ শেলিম প্রমুখ। সমাপনী অনুষ্ঠানে সাংবাদিক, বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা কর্মচারী, শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আশরাফুল আলম বলেন, তারুণ্যেও উৎসব -২০২৫ পালনের মধ্যে দিয়ে তরুন প্রজন্মের সৃজনশীলতা ও উদ্ভাবনী শক্তিকে কাজে লাগিয়ে রাষ্ট্র গঠনের জন্য যুব, ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং প্রধান উপদেষ্টার কার্যলয়ের তত্ত্বাবধানে দেশ ব্যাপী তারুন্যেও উৎসব পালিত হচ্ছে। আমতলী উপজেলায়ও বিভিন্ন কর্মসূচীর মধ্যে দিয়ে এ উৎসব পালিত হচ্ছে। আশা করি এধরনের উৎসব তরুন প্রজন্মকে ইভটিজিং এবং মাদক মুক্ত রাখতে সক্ষম হবে।

রামগঞ্জে ফিরছে বিএনপির দুঃসময়ের কান্ডারী কবির হোসেন পাটোয়ারী

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: সোমবার, ১৩ অক্টোবর, ২০২৫, ১:৩৮ পূর্বাহ্ণ
   
রামগঞ্জে ফিরছে বিএনপির দুঃসময়ের কান্ডারী কবির হোসেন পাটোয়ারী

লক্ষীপুরের রামগঞ্জ উপজেলা বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের আস্থার প্রতীক হিসেবে পরিচিত সাবেক ছাত্র ও যুবনেতা কবির হোসেন পাটোয়ারী শীঘ্রই দেশে ফিরছেন। তাকে গ্রহন করতে দলীয় নেতা-কর্মীরা ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহন করছে বলে দলের একটি সূত্র জানিয়েছেন।

দলীয়নেতা-কর্মীরা জানান,রামগঞ্জ বিএনপির রাজপথের লড়াইকু শহীদ জিয়ার আদর্শের দল বিএনপির পরিক্ষিত সৈনিক কবির হোসেন পাটোয়ারী। যাকে বড় কবির নামে সবাই ছিন। কবির হোসেন পাটোয়ারী বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে একাধি মিথ্যা এবং জেল-জুলুমে শিকার হয়। ফ্যাসিস্ট বাহিনীর হামলা ও পুলিশি হয়রানীতে অতিষ্ট হয়ে দেশ ত্যাগ করতে বাধ্য হয়।

প্রবাসে গিয়ে ফ্রান্সে বিএনপির র্দুগ তৈরী করে এবং দেশের মাটিতে রাজনীতি করতে গিয়ে যেসব নেতা-কর্মী মামলা-হামলাতে শিকার হয়েছে, তাদের আর্থিক ও আইনী সার্পোট দিয়েছন। এতে প্রবাসে থেকেও কবির হোসেন পাটোয়ারী প্রকাশ বড় কবির তৃণমুল বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের আস্থাভাজক হিসেবে যোগ্যতা অর্জন করেছে।

বিগত সময়ে এইতুখোড় নেতা কবির হোসেন পাটোয়ারী রামগঞ্জ সরকারী কলেজের জিএস, রামগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি ও রামগঞ্জ উপজেলা যুবদলের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছে। ফ্রান্স বিএনপির ১ম যুগ্ন সাধারন সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে দলের ঘোষিত সকল কর্মসুচি পালন তরে প্রবাসে বেশ সুনাম অর্জন করেছে।

রামগঞ্জ পৌর যুবদলের সদস্য আমজান হোসেন মিয়াজি বলেন, প্রবাসে বিএনপির দুর্গ তৈরীর পাশাপাশি একজন রেমিঠ্যান্স যুদ্ধা বড় কবির পাটোয়ারী আমাদের অনুপ্রেরনা। কবির হোসেন পাটোয়ারী রামগঞ্জ উপজেলা কেন্দ্রিয় সমবায় সমিতির সভাপতি সহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের গুরুত্বপূণ দায়িত্ব পালন করেছেন।

পিআর পদ্ধতি সহ ৫ দফা দাবিতে গাইবান্ধায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর বিক্ষোভ মিছিল ও স্মারকলিপি প্রদান

শাহ্ পারভেজ সংগ্রাম, গাইবান্ধা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: রবিবার, ১২ অক্টোবর, ২০২৫, ১১:৪৬ অপরাহ্ণ
   
পিআর পদ্ধতি সহ ৫ দফা দাবিতে গাইবান্ধায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর বিক্ষোভ মিছিল ও স্মারকলিপি প্রদান

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর জুলাই জাতীয় সনদের ভিত্তিতে ও ফেব্রুয়ারিতে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন সহ পাঁচ দফা দাবিতে জেলা প্রশাসকের নিকট স্মারকলিপি প্রদান করেছে গাইবান্ধা জেলা শাখা।

‎বিকেলে জেলা জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে স্থানীয় পৌর পার্কে এক সমাবেশের আয়োজন করা হয়। পরে সেখান থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে গিয়ে জেলা প্রশাসক চৌধুরী মোয়াজ্জম আহমেদের হাতে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
‎জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর আব্দুল করিম সরকারের সভাপতিত্বে স্মারকলিপি পূর্ব সমাবেশে বক্তব্য দেন জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল ওয়ারেছ, মো. মাজেদুর রহমান, জেলা সেক্রেটারি মাওলানা জহুরুল হক সরকার, নায়েবে আমীর মাওলানা নজরুল ইসলাম লেবু, সহকারী সেক্রেটারি সৈয়দ রোকনুজ্জামান ও ফয়সাল কবির রানা, পৌর জামায়াতের আমীর মো. ফেরদৌস আলম এবং মাওলানা নুরুল ইসলাম মণ্ডল প্রমুখ।
‎বক্তারা বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অনেক রক্ত ও ত্যাগের বিনিময়ে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তাই জনগণের প্রত্যাশা পূরণে জুলাই সনদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি, পিআর পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচন, সকল দলের জন্য সমান সুযোগ তৈরি ও খুনি-ফ্যাসিস্টদের বিচার নিশ্চিত করতে হবে।
‎তারা আরও বলেন, অধিকাংশ রাজনৈতিক দলের ঐকমত্যের ভিত্তিতে রাষ্ট্র কাঠামোর সংস্কার ঘটানো গেলে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব হবে। বক্তারা জনগণের গণদাবি বাস্তবায়নে সরকারকে বাধ্য করতে দলীয় নেতাকর্মীসহ দেশবাসীর প্রতি ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের আহ্বান জানান।

গাইবান্ধায় হত্যা মামলায় ইউপি চেয়ারম্যানসহ চারজনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত

শাহ্ পারভেজ সংগ্রাম, গাইবান্ধা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: রবিবার, ১২ অক্টোবর, ২০২৫, ১১:৪২ অপরাহ্ণ
   
গাইবান্ধায় হত্যা মামলায় ইউপি চেয়ারম্যানসহ চারজনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত

গাইবান্ধা সদর উপজেলায় হত্যা মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান মোসাব্বিরসহ চারজনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

রোববার (১২ অক্টোবর) দুপুরে গাইবান্ধার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক জাহাঙ্গীর আলম এই নির্দেশ দেন। মোসাব্বির সদর উপজেলার রামচন্দ্রপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান।
এবিষয়ে অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের পেশকার হাফিজুর রহমান জানান, আজ রোববার মামলার চার্জশিট শুনানির দিন ধার্য্যে ছিল। মোট ১৬ জন আসামির মধ্যে ১৪ জন আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন। আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাদের চারজনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। তারা হলেন ইউপি চেয়ারম্যান মোসাব্বির হোসেন, সুলভ মিয়া খাজা, শাহআলম ও লিটন মিয়া।
এর আগে চেয়ারম্যান মোসাব্বির ২০২১ সালে উচ্চ আদালত থেকে আট সপ্তাহের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পান। তবে ওই বছরের ৫ ডিসেম্বর গাইবান্ধার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক ফেরদৌস ওয়াহিদ তাঁকে প্রথম দফায় কারাগারে পাঠান।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ১৭ জুন গাইবান্ধা সদর উপজেলার রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের বালুয়া বাজারে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সাইকেল পার্টস ব্যবসায়ী রোকন সরদারকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। এ সময় ইউপি সদস্য আশিকুজ্জামান ও জিল্লুর রহমান আহত হন। নিহত রোকন সরদার ওই ইউনিয়নের ভগবানপুর গ্রামের আবদুর রউফ সরদারের ছেলে।
ঘটনার পর নিহতের ভাই রোমান সরদার বাদী হয়ে চেয়ারম্যান মোসাব্বিরসহ ১৬ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও ১০–১২ জনকে আসামি করে সদর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।