চাঁদপুরে ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান-২০২৪ উপলক্ষে নৌ-র্যালি ও সচেতনতা সভা

চাঁদপুরে ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান-২০২৪ উপলক্ষে জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ, মৎস্য বিভাগ, নৌ পুলিশ, কোস্টগার্ডের অংশগ্রহণে নৌ-র্যালি বের করা হয়।
সাইদ হোসেন অপু চৌধুরী-চাঁদপুর
ইলিশ সম্পদ রক্ষা হলে সবচেয়ে বেশি লাভবান হয় জেলেরা
…………..জেলা প্রশাসক, চাঁদপুর
চাঁদপুর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন বলেছেন ইলিশ সম্পদ রক্ষা হলে সবচেয়ে বেশি লাভবান হয় জেলেরা।অভিযানের সময় কোন বরফকল খোলা থাকবে না। মাছকে সমুদ্র থেকে কেউ টেনে আনতে পারবেন না। মাছ তার গতিতে আসে। তাই মাছের গতি পথে যেন বাঁধা না হয়, পানি দূষণ মুক্তসহ সে সকল কাজ করা হবে। আমরা জেলে নয়, জেলেদের গডফাদার ধরবো। চাঁদপুরে ৪৩ হাজার জেলে রয়েছে। এর মধ্যে প্রকৃত জেলে নেই। আমরা চাই না কারো উপরে আইন প্রয়োগ করতে, ২২ দিন চাঁদপুরে কোন জেলে নদীতে নামবেন না।
শনিবার (১২ অক্টোবর) ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান-২০২৪ উপলক্ষে বড়স্টেশন (মোলহেডে) জেলা প্রশাসন ও মৎস্য অধিদপ্তর চাঁদপুরের আয়োজনে নৌ-র্যালি ও সচেতনতামূলক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলবেন।
জেলা প্রশাসক বলেন, নদীতে শুধু নৌ পুলিশ কাজ করে না আরও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করে। ইলিশ মূলত সামুদ্রিক মাছ। তবে পেটে ডিম নিয়ে মিঠা পানিতে আসার কারণে আমাদের দায়িত্ব এর রক্ষণাবেক্ষণ। ইলিশ আমাদের জাতীয় সম্পদ। একে রক্ষা করার দায়িত্ব আমাদের সকলের। নির্দিষ্ট সময়ে ইলিশের বংশ বিস্তারের জন্য ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় মা ইলিশ শিকার করলে পরবর্তী সময়ে ইলিশের সংকট দেখা দিবে। তাই অভিযান চলাকালীন সময়ে জেলেদের নৌকাসহ ঘাটে আটকে রাখতে হবে। যাতে তারা নদীতে না নামতে পারে। প্রয়োজনে ঘাটগুলোতে পাহারার ব্যবস্থা করতে হবে।
তিনি বলেন, মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান সফলভাবে বাস্তবায়ন করা গেলে এর সুফল আমাদের জেলেরাই ভোগ করবে। তাই নির্ধারিত সময়ে আইন মান্য করে সকলকে মা ইলিশ শিকার থেকে বিরত থাকতে সকলকে আরো সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো: গোলাম মেহেদী হাসানের সভাপ্রধানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোস্তাফিজুর রহমান, চাঁদপুর পুলিশ সুপার মুহম্মদ আব্দুর রকিব পিপিএম, নৌ পুলিশ সুপার সৈয়দ মোশফিকুর রহমান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাখাওয়াত জামিল সৈকত, কোস্ট গার্ড ষ্টেশন কমান্ডার সাব লেফটেন্যান্ট এম ফজলুল হক, ঢাকা মৎস্য অধিদপ্তরের ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যাবস্থাপনা ‘১ম সংশোধিত’ প্রকল্প পরিচালক, মোল্লা এমদাদুল্যাহ, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনষ্টিটিউট, নদী কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোঃ আমিরুল ইসলাম প্রমুখ।
সচেতনতামূলক সভা শেষে জেলা প্রশাসন, মৎস্য বিভাগ, নৌ পুলিশ, কোস্টগার্ড, জেলা পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস, জেলে প্রতিনিধিবৃন্দ ও সাংবাদিকসহ সুধীমহলের অংশগ্রহণে পদ্মা-মেঘনা নদীতে স্পীডবোট ও ট্রলার নিয়ে নৌ র্যালী অনুষ্ঠিত হয়।
আপনার মতামত লিখুন