খুঁজুন
রবিবার, ১২ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৭শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চাঁদপুর এলজিইডির তত্ত্বাবধানে ৫০ কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মিত ইসলামপুর সেতু অবহেলিত মানুষের স্বপ্নের প্রতীক

সাইদ হোসেন অপু চৌধুরী, চাঁদপুর
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১২ আগস্ট, ২০২৫, ৬:২২ অপরাহ্ণ
চাঁদপুর এলজিইডির তত্ত্বাবধানে ৫০ কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মিত ইসলামপুর সেতু অবহেলিত মানুষের স্বপ্নের প্রতীক

চাঁদপুরের ডাকাতিয়া নদীর বুক চিরে দাঁড়িয়ে থাকা ইট, লোহা আর সিমেন্টের অবকাঠামোটি আজ আর কেবলই একটি সেতু নয়। চাঁদপুর সদর ও ফরিদগঞ্জ উপজেলার সীমান্তবর্তী ইসলামপুর সেতু এখন রূপ নিয়েছে এক প্রাচীন স্বপ্নের বাস্তবতায় এবং আধুনিক পর্যটন সম্ভাবনার কেন্দ্রবিন্দুতে। দুর্ভোগ পেরিয়ে যোগাযোগ, জীবনমান ও পর্যটনে নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে এই ইসলামপুর সেতু।

দীর্ঘদিন ধরে দুই পাড়ের মানুষ অপেক্ষা করছিলেন এমন এক স্বপ্ন বাস্তবায়নের, যা একদিকে বদলে দেবে জীবনযাত্রা, অন্যদিকে খুলে দেবে নতুন সম্ভাবনার দুয়ার। ২৭৪ মিটার দৈর্ঘ্যর এই সেতুটি এখন কেবল যাতায়াতের জন্য নয়, রূপ নিয়েছে এক আকর্ষণীয় পর্যটন গন্তব্যে। একপাশে চাঁদপুর সদর উপজেলার ৫নং রামপুর ইউনিয়নের ছোট সুন্দর গ্রাম ও অপরূপ্রান্তে ফরিদগঞ্জ উপজেলার বালিথুবা ইউনিয়নের চর রণবলিয়া ইসলামপুর। এই অঞ্চলের মানুষ আগে নদীর কারণে ছিল বিচ্ছিন্ন। আত্মীয়তার সম্পর্কেও ছিল দ্বিধা, কারণ ছিল দুর্ভোগপূর্ণ পারাপার। শুধু এই দুটি এলাকা নয়, আশপাশের অন্তত আরও ২০টি গ্রামের মানুষের সেই শত বছরের দুর্ভোগ ঘুচিয়ে দিয়েছে এই সেতু। খেয়া পার হতে ঘন্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হতো এ দুই পাড়ের বাসিন্দাদের। কিন্তু সেতু চালু হওয়ায় মিনিটখানেকেই পেরিয়ে যাওয়া যায় দুই পাড়। পাল্টে গেছে পুরনো সেই চিত্র। তাই এখন যানবাহন ও মানুষ সেতু ব্যবহার করছেন প্রতিনিয়ত। তবে শুরুতে হালকা যানবাহন চললেও তাতেই দারুণ খুশি সেতু পারাপার হওয়া এসব মানুষগুলো। এতে দুর্ভোগ কমে যাওয়ার স্বস্তি মেলেছে তাদের মাঝে। সময়ের সঙ্গে পাল্টেছে মনোভাব, জীবনধারা। এখন দুই পাড়ের মানুষ একসূত্রে গাঁথা, যেন এক প্রাণ— এক আবেগ।

এদিকে ডাকাতিয়া নদীর উপর নির্মিত সবচেয়ে বড় এ দৃষ্টিনন্দন সেতুকে ঘিরে বেড়ে উঠছে পর্যটন শিল্প। সেতুর সৌন্দর্য, ডাকাতিয়া নদীর শান্ত জলধারা আর চারপাশের প্রাকৃতিক সবুজ পরিবেশ মিলিয়ে এ স্থান এখন এক নতুন পর্যটন গন্তব্য। যেকোন উৎসব, ছুটির দিনে কিংবা বিকেলবেলা প্রতিদিন পরিবার-পরিজন নিয়ে জেলা, উপজেলা সহ বিভিন্ন দূরদূরান্ত থেকে মানুষজন ছুটে আসছে। অনেকে নৌকা ভ্রমণে যাচ্ছেন, কেউ আবার সেলফি তুলছেন ব্রিজের উপর দাঁড়িয়ে। সেতুটি এখন শুধুই একটি অবকাঠামো নয়, একটি অনুভবের নাম— যেখানে প্রকৃতি ও প্রযুক্তির মেলবন্ধনে গড়ে উঠছে মানুষের মিলনমেলা। নৌকা নির্ভর যোগাযোগ পদ্ধতির কারণে আগে এলাকার কৃষকদের উৎপাদিত পণ্য বাজারজাত করতে হতো ঘুরপথে। এখন সেই দিন অতীত। সেতু হওয়ার ফলে ফরিদগঞ্জের এসব এলাকার মানুষ সহজেই তাদের উৎপাদিত পণ্য মহামায়া হয়ে চাঁদপুর জেলা শহর কিংবা কুমিল্লামূখী পরিবহন করতে পারেন। এতে পরিবহন খরচ কমেছে, সময় বেঁচেছে, লাভ বেড়েছে। এমনকি জমির দামও বেড়েছে আশেপাশের এলাকায়।

দুই পাড়ের স্থানীয়দের ধারণা মতে তারা বলেন, “এই সেতু শুধু একটি যাতায়াত মাধ্যম নয়, এটি যুগের পর যুগের অবহেলিত মানুষের স্বপ্নের প্রতীক।” দীর্ঘ প্রতীক্ষিত এলাকার মানুষের দাবি ও বিভিন্ন সময়ে এ সেতু প্রতিষ্ঠার জন্য মানুষের দুর্ভোগের কথা পত্রপত্রিকায় অনেক লেখালেখির মাধ্যমে এই সেতু প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তবে সেতুর দুই পাশের সড়ক আগের মতো হওয়ায় বড় ধরনের কোন যানবাহন এখনো চলাচল না করলেও সিএনজি- অটোরিকশা চলাচলে মানুষের দুর্ভোগ কিছুটা কমেছে। এদিকে পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত এ সেতুতে প্রতিদিনই ভিড় লেগে থাকে। সেতুর উপরে গড়ে উঠেছে অসংখ্য ভ্রাম্যমান দোকান। এ সেতু বাস্তবায়ন হওয়ায় এলাকায় যোগাযোগ ব্যবস্থা, অর্থনৈতিক ও সামাজিক সকল ক্ষেত্রে অনেক উন্নতি হয়েছে। এছাড়াও এটি একটি পর্যটন সম্ভাবনাময় অঞ্চলে রূপান্তরিত হয়েছে। সঠিক পরিকল্পনা ও সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় এটি হয়ে উঠতে পারে চাঁদপুর জেলার অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র। এখানকার বিকেলের মনোমুগ্ধকর সৌন্দর্য উপভোগ করে আবার সেই পথে কিংবা দক্ষিণ দিকে ফরিদগঞ্জ উপজেলা হয়ে ফেরা যায়।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তর (এলজিইডি)- চাঁদপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আহসান কবির বলেন, প্রকল্প বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট সকলে যথেষ্ট আন্তরিকতার সাথে উন্নয়ন মুলক কাজ মানসম্মত করতে বার বার তাগিদ দিয়েছি। এলজিইডি’র পক্ষ থেকেও কাজের গুণগত মান নিয়ে সতর্ক করা হয় সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে। তাই ঠিকাদারও সঠিকভাবে কাজ করেন।।

নির্বাহী প্রকৌশলী আরো বলেন, ২০১৬ সালের ৩১ মে চাঁদপুর সদর উপজেলাধীন মহামায়া জিসি রামপুর ইউনিয়নের ছোট সুন্দর বাজার কামরাঙ্গা বাজার বাকিলা জিসি সড়কে ৩৮০০মিঃ ২৭৪.২০মিঃ ব্রিজ নির্মানের অনুমোদন হয়। এলজিইডি’র তত্ত্বাবধানে গুণগত মান সঠিক রেখে ২০২১ সালের ৬ ডিসেম্বর সেতুর নির্মাণ কাজ সম্পূর্ণ হয়।
আর এই কাজটিতে সরকারের ব্যয় হয়েছে ৫০ কোটি ৪৪ লাখ ৯৯ হাজার ৪২৬ টাকা। সেতুটি নির্মানে চাঁদপুর সদর ও ফরিদগঞ্জ উপজেলার গ্রামীণ অঞ্চলে কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে এলাকার দারিদ্রতা নিরসনেও ভূমিকা রাখবে। ডাকাতিয়া নদীতে ব্রিজের কাজ সম্পূর্ণ হওয়ায় এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবী এবং প্রত্যাশা পূরন হয়েছে।

গাইবান্ধায় জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের উদ্যোগে বিশ্ব ডিম দিবস- ২০২৫ পালিত হয়েছে

শাহ্ পারভেজ সংগ্রাম,‎গাইবান্ধা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১০ অক্টোবর, ২০২৫, ১১:০৮ অপরাহ্ণ
   
গাইবান্ধায় জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের উদ্যোগে বিশ্ব ডিম দিবস- ২০২৫ পালিত হয়েছে
‎ডিমে আছে প্রোটিন, খেতে হবে প্রতিদিন-এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে উৎসবমুখর পরিবেশে গাইবান্ধায় পালিত হয়েছে বিশ্ব ডিম দিবস-২০২৫।
‎শুক্রবার (১০ অক্টোবর) সকালে জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের উদ্যোগে এ দিবসটি নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে উদযাপিত হয়েছে।
‎দিনটি উপলক্ষে সকাল ১০টায় জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর প্রাঙ্গণ থেকে একটি বর্ণাঢ্য র‍্যালি বের করা হয়। র‍্যালিটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় দপ্তর প্রাঙ্গণে এসে শেষ হয়। র‍্যালিতে অংশ নেন বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা, খামারি, কৃষক, শিক্ষার্থী ও পুষ্টিবিদসহ নানা শ্রেণিপেশার মানুষ।
‎পরে দপ্তরের সম্মেলন কক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
‎সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার ডাঃ মোঃ আব্দুর রাজ্জাক। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গাইবান্ধা সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার তরুণ কুমার দত্ত। এছাড়াও অনুষ্ঠানে প্রাণিসম্পদ দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, খামার মালিক ও গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
‎বক্তারা বলেন, ডিম একটি সাশ্রয়ী, পুষ্টিকর ও সহজলভ্য খাদ্য যা শরীরের প্রোটিন চাহিদা পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। প্রতিদিন একটি ডিম খাওয়ার অভ্যাস শিশুদের বুদ্ধি ও শারীরিক বিকাশে সহায়ক এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতেও কার্যকর।
‎অনুষ্ঠানে আরও বলা হয়, বাংলাদেশে বর্তমানে ডিম উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের পথে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। স্থানীয় খামারিদের আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর উৎপাদন ব্যবস্থার সঙ্গে সম্পৃক্ত করে ডিমের মান ও পরিমাণ আরও বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
‎আলোচনা শেষে অংশগ্রহণকারীদের মাঝে ডিমের পুষ্টিগুণ সম্পর্কিত লিফলেট, ব্যানার ও প্রচারপত্র বিতরণ করা হয়।

ধানের সাথে এ কেমন শত্রুতা ট্রাক্টর দিয়ে ধান ক্ষেত নষ্ট করলো প্রতিপক্ষ

মোঃ জাকারিয়া হোসেন, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১০ অক্টোবর, ২০২৫, ৭:৩৭ অপরাহ্ণ
   
ধানের সাথে এ কেমন শত্রুতা ট্রাক্টর দিয়ে ধান ক্ষেত নষ্ট করলো প্রতিপক্ষ
জমি জমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারীতে ১০ বিঘা জমির রোপা আমন ফসলের ক্ষেত ট্রাক্টর দিয়ে নষ্ট করে দেওয়ার অভিযোগ ওঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ভুরুঙ্গামারী থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন ক্ষতিগ্রস্থ আব্দুল মান্নান। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার (৮ অক্টোবর) উপজেলার শিলখুড়ি ইউনিয়নের দক্ষিণ ধলডাঙ্গা গ্রামে ।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় ইব্রাহিম আলী মাস্টার গং দের সাথে একই এলাকার মৃত লোকমান আলীর ছেলে আব্দুল মান্নানের পরিবারের ১১ বিঘা জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিলো। দখলভোগের প্রেক্ষিতে চলতি আমন মৌসুমেও ওই জমিতে আব্দুল মান্নান রোপা আমন চাষ করেন। চাষকৃত ওই আমন ধান হওয়ার সময় হয়েছে। এ অবস্থায় মঙ্গলবার সকাল সাড়ে আটটার দিকে রুবেল, কামরুজ্জামান, ইব্রাহিম, হাবিবুর, আ: হাই, কুদ্দুছ , ছালাম, শওকত সহ ৩০-৪০ জন নারী-পুরুষ ও তাদের লোকজন লাঠি-শোঠা ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে জমি জবর দখলের চেষ্টা করে এবং ট্রাক্টর দিয়ে ১০ বিঘা জমির ফুল আসা ধান ক্ষেত ও ১ বিঘা কালাই ক্ষেত গুড়িয়ে নষ্ট করে দেয়। এ সময় মান্নানের পরিবারের লোকজন বাধা দেয়ার চেষ্টা করলে প্রতিপক্ষ অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে হত্যার হুমকি দিয়ে চলে যায়।
স্থানীয়রা জানান, দীঘদিন ধরে উভয় পক্ষের মধ্যে এই দ্বন্দ্ব চলে আসছে। প্রায় ধান আসা ফসলগুলো ট্রাক্টর দিয়ে নষ্ট করা হয়েছে। ঘটনাটা আসলে ন্যাক্কারজনক। এটা মানুষের উপর অত্যাচার করা ছাড়া আর কিছুই নয়। এটা মানুষের বিবেককে নাড়া দেওয়ার মতো একটা ঘটনা।
ভুক্তভোগী আব্দুল মালেক ও মাসাদুল ইসলাম বলেন, আমরা মোট ১০ বিঘা জমিতে আমন চাষ করেছি। ১ বিঘা জমিতে কালাই আবাদ করেছি। আর কিছুদিন পর ধান ঘরে তুলতে পারতাম। কিন্তু আমাদের সেই আশায় পানি ঢেলে দিলো।  ফুল আসা ধান গাছ ও কালাই ট্রাক্টর দিয়ে নষ্ট করে ফেলেছে তারা। এতে প্রায় তিন লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে। আমাদের সর্বশান্ত করে দিয়েছে। এর সুষ্ঠু বিচার কামনা করেন ভুক্তভোগী ও তার পরিবার।
এ বিষয়ে প্রতিপক্ষ ইব্রাহিম আলী মাস্টারের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।তিনি ফোনও রিসিভ করেন নি।
উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ আব্দুল জব্বার জানান, বিষয়টি জানার পর, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাকে জমিটি পরিদর্শন করে অফিসে রিপোর্ট করতে বলেছি।
ভুরুঙ্গামারী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আল হেলাল মাহমুদ বলেন, অভিযোগ এর বিষয়ে মামলা রুজু করা হয়েছে , মামলাটি তদন্তাধীন ।

আসাল মিশিগান চ্যাপ্টারের নতুন কমিটি গঠন : সভাপতি-নাইম লিয়ন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক- মিনহাজ রাসেল

নাসিম আহমেদ রিয়াদ
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১০ অক্টোবর, ২০২৫, ১:৫৭ পূর্বাহ্ণ
   
আসাল মিশিগান চ্যাপ্টারের নতুন কমিটি গঠন : সভাপতি-নাইম লিয়ন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক- মিনহাজ রাসেল

গত ৫ অক্টোবর, রবিবার দুপুরে যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান ষ্টেটের ওয়ারেন সিটির আলিফ রেষ্টুরেন্টে আসাল অ্যালায়েন্স অফ সাউথ এশিয়ান আমেরিকান লেবার মিশিগান চ্যাপ্টারের সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

উক্ত সভায় সভাপতিত্ব করেন আসাল মিশিগানের সভাপতি সৈয়দ আলী রেজা সংগঠনের সেক্রেটারি মিনহাজ রাসেলের সঞ্চালনায় আসাল মিশিগান চ্যাপ্টারের ২০২৬-২০২৭ বছরের জন্য সভাপতি হিসাবে নাইম লিয়ন চৌধুরীর নাম প্রস্তাব করেন এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মাহবুব রাব্বী খান। প্রস্তাবটি সমর্থন করেন চ্যাপ্টারের ভাইস প্রেসিডেন্ট তাওহীদ নেওয়াজ।

সবার সম্মতিক্রমে নাইম নিয়ন চৌধুরীকে পরবর্তী দুই বছরের জন্য সভাপতি প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়। বর্তমান সভাপতি সৈয়দ আলী রেজা ফুল দিয়ে বর্তমান সভাপতিকে বরণ করে নেন।

 

সভায় সর্বসম্মতিক্রমে সৈয়দ আলী রেজাকে প্রেসিডেন্ট এমিরেটস নির্বাচিত করা হয়। এছাড়াও কমিটিতে অন্যান্যদের মধ্যে রয়েছেন এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মাহবুব রাব্বী খান, এক্সিকিউটিভ ডাইরেক্টর শামীম আহসান এবং মিনহাজ রাসেলকে সাধারণ সম্পাদক করে ৩১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়। সভার দ্বিতীয় পর্বে হ্যামট্রামিক সিটি নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী অ্যাডাম আল-হারাবি এবং মুহিত মাহমুদকে আসালের পক্ষ থেকে এনডোর্সমেন্ট করা হয়। এছাড়াও কাউন্সিলর প্রার্থী নাইম লিওন চৌধুরী, ইউসুফ সাঈদ, মোতাহার ফাদেলকে কাউন্সিলর প্রার্থী হিসেবে এনডোর্সমেন্ট করা হয়। উক্ত ৫ জন প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার জন্য একটি বিশেষ কমিটি গঠন করা হয়। সভা শেষে মধ্যাহ্ন ভোজের মাধ্যমে সভার পরিসমাপ্তি ঘটে।