খুঁজুন
রবিবার, ১২ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৭শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সিন্ডিকেটের হাত থেকে রক্ষা পেলো পশুর হাট, বেড়েছে রাজস্ব আয়

রিপন কান্তি গুণ, নেত্রকোনা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৩ জুন, ২০২৫, ২:৪০ অপরাহ্ণ
সিন্ডিকেটের হাত থেকে রক্ষা পেলো পশুর হাট, বেড়েছে রাজস্ব আয়

প্রভাবশালী মহলের সিন্ডিকেটের হাত থেকে অবশেষে রক্ষা পেয়েছে বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের সবচেয়ে বড় পশুর হাট নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলাধীন নৈহাটি পশুর হাট। সপ্তাহে প্রতি সোমবার বসা গরুর হাটটি গত ৫ আগস্টের পর প্রভাবশালী মহলের সিন্ডিকেটের হাত থেকে খাস কালেকশনের আওতায় আনা হয়। অবৈধ দখলদারমুক্ত হওয়ায় এই একটি হাট থেকেই প্রতি সাপ্তাহে সরকারের রাজস্ব আয় বেড়েছে প্রায় ৮ থেকে ৯ লাখ টাকা। মাসে তা ৩৬ লাখ এবং বছরে তা প্রায় সাড়ে ৪ কোটি টাকার কাছাকাছি।

একসময় প্রভাবশালী সিন্ডিকেট ভয় দেখাতো গরুর হাটটি খাস কালেকশান হলে বন্ধ হয়ে যাবে স্থানীয় একটি মাদ্রাসা। মাদ্রাসার অযুহাত দেখিয়ে নামমাত্র কমিটি দিয়ে দীর্ঘ সময় ধরে তারা অবৈধভাবে দখলে রেখেছিল ঐতিহ্যবাহী হাটটি। বর্তমানে সরকারের পক্ষ থেকে উপজেলা প্রশাসন সমস্ত ব্যায় বহন করছে হাট সংশ্লিষ্ট নৈহাটি মাদ্রাসার। বর্তমানে মাদ্রাসার কার্যক্রম ঠিকঠাক চলার পাশাপাশি কোটি টাকার রাজস্ব পাচ্ছে সরকার।

এর আগে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল ওয়াক্‌ফ এস্টেট ও মাদ্রাসাকে সাহায্যের নামে নৈহাটি বাজারের পাশে চিরাম মৌজায় ব্যক্তিমালিকানাধীন জমিতে ৩০-৪০ বছর ধরে গরুর হাট পরিচালনা করে আসছিলেন। এ নিয়ে মামলা হলে তারা বাজারটিকে নৈহাটি মৌজায় সরিয়ে নেয় ও টোল কালেকশনের নামে চাঁদা আদায় অব্যাহত রাখেন। প্রশাসনের কাছে অভিযোগ ও আদালতে মামলার পরও তাদের দখলমুক্ত করা যায়নি বাজারটি। প্রতি সোমবার পশুর হাট বসানো হতো এখানে। এই হিসাবে বছরে ২ কোটি ৪০ লাখ টাকার বেশি আয় করত অবৈধ দখলদাররা। সর্বশেষ আওয়ামী সরকার পতনের পর সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় হাটটি দখলমুক্ত করে খাস কালেকশানের আওতায় আনেন বারহাট্টা উপজেলার সাবেক ইউএনও ফারজানা আক্তার ববি। এতে বর্তমানে বড় অঙ্কের রাজস্ব পাচ্ছে  সরকার।

হাটটি দখলদার মুক্ত হওয়ায় সারা দেশ থেকে এই হাটে গরু ক্রয় ও বিক্রয় করতে আসা লোকজন স্বস্তি প্রকাশ করেছেন। হাটটিতে এখন গরু নিয়ে গেলে ক্রেতাকে মাত্র ২০০ এবং বিক্রেতাকেও মাত্র ২০০ টাকা খাজনা দিতে হয়। এত কম টাকা খাজনা হওয়ার কারণে নৈহাটি গরুর হাটটির পরিচিত সারা দেশ জুড়ে। হাটটিতে পঞ্চগড়, রাজশাহী, সিলেট, ত্রিশাল, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, লালমনিরহাট, ঢাকাসহ সারা দেশের পাইকাররা আসেন।

সরেজমিনে সাপ্তাহিক হাটবার সোমবারে হাটটি পরিদর্শনে গিয়ে কথা হয় ঢাকা থেকে আসা একজন মহিলা পাইকারের সাথে, এত দূর থেকে কেন আসলেন? এমন প্রশ্নের জবাবে ওই পাইকার বলেন- নৈহাটি গরুর হাট থেকে গরু নিয়ে ঢাকার বাজারগুলোতে ভালো লাভ করা যায়। তাই আমি এবার ২টি ট্রাক নিয়ে ঢাকা থেকে এসেছি। ঈদ উপলক্ষে দুই ট্রাক গরু নেওয়ার ইচ্ছা আছে। আশা করি লাভবান হবো। উপজেলা প্রশাসনের উদ্দ্যোগে বাজারের সার্বিক নিরাপত্তা ও অন্যান্য ব্যবস্থাপনার প্রশংসা করেন তিনি।

বারহাট্টা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ কামরুল হাসান বলেন নৈহাটি গরুর হাটটি একটি ঐতিহ্যবাহী গরুর হাট। ঈদ হাট  উপলক্ষে যাতে কোন রকম অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে তাই  থানা পুলিশের টিম হাটে উপস্থিত আছে। আমি নিজেও উপস্থিত আছি। আশা করি কোন রকম অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটবে না।

বারহাট্টা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ খবিরুল আহসান বলেন, নৈহাটি গরুর হাটটিতে খাস কালেকশান নিয়ে এখন আর কোন সমস্যা নেই। বাজারের প্রয়োজনের তুলনায়  জায়গা কম থাকার কারণে উপজেলা প্রশাসন বাজারে নিজস্ব জায়গা ক্রয়ের জন্য একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে। তবে নৈহাটি গরুর বাজারটি অনেক বড় বাজার হওয়ায় খাস কালেকশান করতে অনেক বেশি লোকবলের প্রয়োজন হয়। আমরা উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে চেষ্টা চলছে বাজারটিকে ইজারা দেওয়ার। তিনি আরও জানান, বাজারটিকে অবৈধ দখলমুক্ত করায় সরকারের উল্লেখযোগ্য রাজস্ব আয় বাড়ছে ঠিক তেমনি সংশ্লিষ্ট মাদ্রাসটিও সঠিকভাবে পরিচালনা হচ্ছে।

বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী ঝালকাঠি-১ রাজাপুর কাঠালিয়া নির্বাচনী এলাকায় সেলিম রেজার পক্ষে ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: রবিবার, ১২ অক্টোবর, ২০২৫, ১:৪১ পূর্বাহ্ণ
   
বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী ঝালকাঠি-১ রাজাপুর কাঠালিয়া নির্বাচনী এলাকায় সেলিম রেজার পক্ষে ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ

বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জননেতা জনাব তারেক রহমান ঘোষিত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা প্রচারে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী ঝালকাঠি-১ রাজাপুর কাঠালিয়া নির্বাচনী এলাকায়, গণমানুষের নেতা সেলিম রেজার পক্ষে ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ ও ধানের শীষে পক্ষে ভোট চায়।১০/১০/ ২০২৫ ইং তারিখ ঝালকাঠি-১ রাজাপুর উপজেলার সাতুরিয়া ইউনিয়নে নিউইয়র্ক মহানগর দক্ষিণ বিএনপি সভাপতি ও রাজাপুর-কাঁঠালিয়ার গন মানুষের নেতা সাবেক ছাত্রনেতা জননেতা মোঃ হাবিবুর রহমান সেলিম রেজার পক্ষে আজ জুমার নামাজের পরে মসজিদের মুসুল্লিদের মাঝে বিএনপি নেতা দেলোয়ার হোসেন মেম্বার ও যুবদলের নেতা মোঃ সুমন জমাদ্দার এর নেতৃত্বে ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে।

এ সময় তিনি সাধারণ মানুষের মাঝে রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফার মূল বক্তব্য ও উদ্দেশ্য তুলে ধরেন এবং জনসাধারণকে বিএনপির রূপরেখা সম্পর্কে অবহিত করেন।

গাইবান্ধায় জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের উদ্যোগে বিশ্ব ডিম দিবস- ২০২৫ পালিত হয়েছে

শাহ্ পারভেজ সংগ্রাম,‎গাইবান্ধা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১০ অক্টোবর, ২০২৫, ১১:০৮ অপরাহ্ণ
   
গাইবান্ধায় জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের উদ্যোগে বিশ্ব ডিম দিবস- ২০২৫ পালিত হয়েছে
‎ডিমে আছে প্রোটিন, খেতে হবে প্রতিদিন-এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে উৎসবমুখর পরিবেশে গাইবান্ধায় পালিত হয়েছে বিশ্ব ডিম দিবস-২০২৫।
‎শুক্রবার (১০ অক্টোবর) সকালে জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের উদ্যোগে এ দিবসটি নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে উদযাপিত হয়েছে।
‎দিনটি উপলক্ষে সকাল ১০টায় জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর প্রাঙ্গণ থেকে একটি বর্ণাঢ্য র‍্যালি বের করা হয়। র‍্যালিটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় দপ্তর প্রাঙ্গণে এসে শেষ হয়। র‍্যালিতে অংশ নেন বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা, খামারি, কৃষক, শিক্ষার্থী ও পুষ্টিবিদসহ নানা শ্রেণিপেশার মানুষ।
‎পরে দপ্তরের সম্মেলন কক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
‎সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার ডাঃ মোঃ আব্দুর রাজ্জাক। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গাইবান্ধা সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার তরুণ কুমার দত্ত। এছাড়াও অনুষ্ঠানে প্রাণিসম্পদ দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, খামার মালিক ও গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
‎বক্তারা বলেন, ডিম একটি সাশ্রয়ী, পুষ্টিকর ও সহজলভ্য খাদ্য যা শরীরের প্রোটিন চাহিদা পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। প্রতিদিন একটি ডিম খাওয়ার অভ্যাস শিশুদের বুদ্ধি ও শারীরিক বিকাশে সহায়ক এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতেও কার্যকর।
‎অনুষ্ঠানে আরও বলা হয়, বাংলাদেশে বর্তমানে ডিম উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের পথে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। স্থানীয় খামারিদের আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর উৎপাদন ব্যবস্থার সঙ্গে সম্পৃক্ত করে ডিমের মান ও পরিমাণ আরও বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
‎আলোচনা শেষে অংশগ্রহণকারীদের মাঝে ডিমের পুষ্টিগুণ সম্পর্কিত লিফলেট, ব্যানার ও প্রচারপত্র বিতরণ করা হয়।

ধানের সাথে এ কেমন শত্রুতা ট্রাক্টর দিয়ে ধান ক্ষেত নষ্ট করলো প্রতিপক্ষ

মোঃ জাকারিয়া হোসেন, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১০ অক্টোবর, ২০২৫, ৭:৩৭ অপরাহ্ণ
   
ধানের সাথে এ কেমন শত্রুতা ট্রাক্টর দিয়ে ধান ক্ষেত নষ্ট করলো প্রতিপক্ষ
জমি জমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারীতে ১০ বিঘা জমির রোপা আমন ফসলের ক্ষেত ট্রাক্টর দিয়ে নষ্ট করে দেওয়ার অভিযোগ ওঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ভুরুঙ্গামারী থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন ক্ষতিগ্রস্থ আব্দুল মান্নান। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার (৮ অক্টোবর) উপজেলার শিলখুড়ি ইউনিয়নের দক্ষিণ ধলডাঙ্গা গ্রামে ।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় ইব্রাহিম আলী মাস্টার গং দের সাথে একই এলাকার মৃত লোকমান আলীর ছেলে আব্দুল মান্নানের পরিবারের ১১ বিঘা জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিলো। দখলভোগের প্রেক্ষিতে চলতি আমন মৌসুমেও ওই জমিতে আব্দুল মান্নান রোপা আমন চাষ করেন। চাষকৃত ওই আমন ধান হওয়ার সময় হয়েছে। এ অবস্থায় মঙ্গলবার সকাল সাড়ে আটটার দিকে রুবেল, কামরুজ্জামান, ইব্রাহিম, হাবিবুর, আ: হাই, কুদ্দুছ , ছালাম, শওকত সহ ৩০-৪০ জন নারী-পুরুষ ও তাদের লোকজন লাঠি-শোঠা ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে জমি জবর দখলের চেষ্টা করে এবং ট্রাক্টর দিয়ে ১০ বিঘা জমির ফুল আসা ধান ক্ষেত ও ১ বিঘা কালাই ক্ষেত গুড়িয়ে নষ্ট করে দেয়। এ সময় মান্নানের পরিবারের লোকজন বাধা দেয়ার চেষ্টা করলে প্রতিপক্ষ অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে হত্যার হুমকি দিয়ে চলে যায়।
স্থানীয়রা জানান, দীঘদিন ধরে উভয় পক্ষের মধ্যে এই দ্বন্দ্ব চলে আসছে। প্রায় ধান আসা ফসলগুলো ট্রাক্টর দিয়ে নষ্ট করা হয়েছে। ঘটনাটা আসলে ন্যাক্কারজনক। এটা মানুষের উপর অত্যাচার করা ছাড়া আর কিছুই নয়। এটা মানুষের বিবেককে নাড়া দেওয়ার মতো একটা ঘটনা।
ভুক্তভোগী আব্দুল মালেক ও মাসাদুল ইসলাম বলেন, আমরা মোট ১০ বিঘা জমিতে আমন চাষ করেছি। ১ বিঘা জমিতে কালাই আবাদ করেছি। আর কিছুদিন পর ধান ঘরে তুলতে পারতাম। কিন্তু আমাদের সেই আশায় পানি ঢেলে দিলো।  ফুল আসা ধান গাছ ও কালাই ট্রাক্টর দিয়ে নষ্ট করে ফেলেছে তারা। এতে প্রায় তিন লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে। আমাদের সর্বশান্ত করে দিয়েছে। এর সুষ্ঠু বিচার কামনা করেন ভুক্তভোগী ও তার পরিবার।
এ বিষয়ে প্রতিপক্ষ ইব্রাহিম আলী মাস্টারের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।তিনি ফোনও রিসিভ করেন নি।
উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ আব্দুল জব্বার জানান, বিষয়টি জানার পর, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাকে জমিটি পরিদর্শন করে অফিসে রিপোর্ট করতে বলেছি।
ভুরুঙ্গামারী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আল হেলাল মাহমুদ বলেন, অভিযোগ এর বিষয়ে মামলা রুজু করা হয়েছে , মামলাটি তদন্তাধীন ।