খুঁজুন
রবিবার, ১২ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৭শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ফেনীর সদর হাসপাতালে স্বাস্থ্যসেবার মান নিয়ে জনসাধারণের অসন্তোষ ক্রমশ বাড়ছে

মোঃ আবদুল রহিম, ফেনী প্রতিনিধি
প্রকাশিত: বুধবার, ৯ এপ্রিল, ২০২৫, ৯:২৯ অপরাহ্ণ
ফেনীর সদর হাসপাতালে স্বাস্থ্যসেবার মান নিয়ে জনসাধারণের অসন্তোষ ক্রমশ বাড়ছে
ফেনীর সদর হাসপাতালে স্বাস্থ্যসেবার মান নিয়ে জনসাধারণের অসন্তোষ ক্রমশ বাড়ছে। অবকাঠামো, জনবল ও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির সংকটের কারণে রোগীরা কাঙ্ক্ষিত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। চিকিৎসক ও নার্সের ঘাটতির পাশাপাশি আধুনিক যন্ত্রপাতির অভাবও সেবার মানকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ২৫০ শয্যার হাসপাতালটি মাত্র ১৫০ শয্যার জনবল নিয়ে পরিচালিত হচ্ছে। প্রতিদিন বহির্বিভাগে ৮০০-১২০০ রোগী এবং ওয়ার্ডে ভর্তি ৬০০ রোগীর চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন কর্তৃপক্ষ। হাসপাতালের ৩০৬টি অনুমোদিত পদের বিপরীতে কর্মরত রয়েছেন মাত্র ২০৬ জন। ৯ জন সিনিয়র কনসালটেন্টের বিপরীতে রয়েছেন মাত্র ৫ জন, ১২ জন জুনিয়র কনসালটেন্টের স্থলে আছেন ৬ জন। দীর্ঘদিন ধরে মেডিসিন, শিশু, রেডিওলজি, প্যাথলজি, সার্জারি, দন্ত, চক্ষু, চর্ম ও যৌন রোগে কোনো বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নেই। শিশু বিভাগেও রয়েছে মারাত্মক সংকট। বিশেষায়িত সেবা বিভাগগুলোর মধ্যে ডায়ালাইসিস, আইসিইউ, সিসিইউ, স্ক্যানু এবং থেরাপি বিভাগে প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগ করা হয়নি। ১৫৩টি সেবিকা পদের মধ্যে ৩২টি পদ শূন্য, ৪২টি অফিস সহায়কের মধ্যে শূন্য ১৬টি এবং ৭৩টি ৪র্থ শ্রেণির পদের বিপরীতে মাত্র ১৬ জন কর্মরত।
সংকটে জরুরি সেবা বিভাগ হাসপাতাল ঘুরে দেখা গেছে, বহির্বিভাগ ও জরুরি বিভাগে রোগীর ভিড় সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন ৭ জন চিকিৎসক। প্রতিদিন সহস্রাধিক রোগীর চাপ থাকায় যথাযথ চিকিৎসা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতালের বহির্বিভাগ ও জরুরি বিভাগে রোগীর অতিরিক্ত চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন দায়িত্বরত চিকিৎসক ও নার্সরা। মাত্র ৭ জন মেডিকেল অফিসার প্রতিদিন প্রায় সহস্রাধিক রোগীকে সেবা প্রদান করছেন। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের চেম্বারের সামনে রোগীদের দীর্ঘ সারি থাকলেও ওয়ার্ডে রাউন্ডের কারণে তাদের দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হচ্ছে।
হাসপাতাল ঘুরে আরও দেখা যায়, হাসপাতালের নতুন (৬ তলা) ভবনে ওঠানামার জন্য সিঁড়ি ব্যবহার করতে হচ্ছে রোগীদের, কারণ সেখানে থাকা দুটি লিফটের মধ্যে একটি স্থাপনই করা হয়নি, এবং অন্যটি ৩-৪ বছর ধরে বিকল। মাঝে মাঝে সংস্কার করা হলেও বছরের বেশিরভাগ সময় এটি অকেজো থাকে। ফলে রোগীদের চলাচলে ব্যাপক ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। নিচতলায় প্যাথলজি, টিকিট কাউন্টার, এক্সরে, আলট্রাসোনোগ্রাফি রুম ও চিকিৎসকদের রুম অবস্থিত। দ্বিতীয় তলায় আইসিইউ ও অপারেশন থিয়েটার এবং তৃতীয় ও চতুর্থ তলায় সার্জারি ও অর্থোপেডিক বিভাগ রয়েছে। পঞ্চম ও ষষ্ঠ তলায় নতুন ওয়ার্ড স্থাপন করা হলেও লিফটের অভাবে সেগুলো চালু করা সম্ভব হয়নি।
চিকিৎসা সেবা নিতে আসা রফিকুল ইসলাম নামের এক রোগী দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ প্রতিবেদক বলেন চিকিৎসা সেবা নিতে এসে আমি খুবই সমস্যায় আছি। ইমারজেন্সি ডাক্তার দেখাতে হবে, কিন্তু সিরিয়াল অনেক বড়। আমি অনেকক্ষণ ধরে অপেক্ষা করছি কিন্তু এত রোগী দেখে ডাক্তারদের পক্ষে সবার সঠিক চিকিৎসা দেওয়া খুব কঠিন।
ছমির ভূঞা নামের আরেক রোগী দৈনিক প্রতিদিনের কাগজের প্রতিবেদককে বলেন, প্রাইভেট হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা সেবা নেওয়ার মতো সে সামর্থ্য আমার নেই, তাই সরকারি হাসপাতালে এসেছি সেবা নিতে। কিন্তু এখানে এসে ঠিকমতো সেবা পাচ্ছি না। রোগীদের সংখ্যা অনেক, কিন্তু চিকিৎসক ও সুবিধার অভাব। সরকারের উচিত আমাদের মতো সাধারণ মানুষের জন্য সেবা সুবিধাগুলো উন্নত করা, যাতে আমরা ভালো চিকিৎসা পেতে পারি।
মোসাম্মাৎ রেহানা নামের আরেক রোগী দৈনিক প্রতিদিনের কাগজের প্রতিবেদককে বলেন, জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নিতে এসে দেখলাম একজন ডাক্তারকে কয়েকশ রোগী দেখতে হচ্ছে। এত ভিড়ে ঠিকমতো সেবা পাওয়া যায় না। আর নার্সরাও খুব ব্যস্ত, তবুও আমাদের সাহায্য করার চেষ্টা করেন
বাবুল চন্দ্র ভৌমিক নামের এক রোগীর দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ প্রতিবেদকে বলেনা, এতবড় সরকারি হাসপাতাল অথচ এখানে লিফট নাই। নামমাত্র একটা লিফট থাকলেও এটি চলতে দেখিনা কখনও। আঘাতপ্রাপ্ত ও অপারেশনের অনেক রোগী এ ভবনের ৩য় ও ৪র্থ তলায় থাকেন। সিঁড়ি বেয়ে নামা তাদের জন্য কষ্টসাধ্য।
এ প্রসঙ্গে ফেনী জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আবুল খায়ের মিয়াজি দৈনিক প্রতিদিনের কাগজের প্রতিবাদকে বলেন, হাসপাতালটির শয্যা সংখ্যা ২৫০ হলেও বর্তমানে এটি ১৫০ শয্যার জনবল দিয়ে পরিচালিত হচ্ছে। তিনি বলেন, এখানে ৫৬ জন চিকিৎসক থাকার কথা থাকলেও বর্তমানে আছেন মাত্র ৪৩ জন, আর ৩২ জন সেবিকার অভাব রয়েছে। অফিস সহায়ক পদেও ঘাটতি রয়েছে। চিকিৎসক সংকট পূরণ করতে সিভিল সার্জন অফিসের মাধ্যমে বিভিন্ন উপজেলা হাসপাতাল থেকে অ্যাটাচমেন্ট (প্রেষণ) ডাক্তার আনা হলেও তাদের বেশি দিন রাখা সম্ভব হয় না।
তিনি আরও বলেন, হাসপাতালের সর্বাধিক সমস্যা হচ্ছে ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারীদের নিয়োগে। গত ১০ বছর ধরে ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগ হয়নি। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে কিছু কর্মচারী নিয়োগ দেওয়া হলেও গত ৮ মাস তাদের বেতন বন্ধ রয়েছে, যার ফলে তারা বিভিন্ন সময়ে আন্দোলন করে এবং কাজ বন্ধ করে দেয়
তিনি আরও উল্লেখ করে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে হাসপাতালের একমাত্র লিফটটি নষ্ট হয়ে গেছে, যার কারণে রোগীদের ওঠানামা কষ্টকর হয়ে পড়েছে। লিফটটি মেরামত ও নতুন লিফট স্থাপনের জন্য বারবার আবেদন করেও কোনো সমাধান মেলেনি। অবকাঠামো, জনবল ও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি পেলে সেবার মান আরও উন্নত করা সম্ভব হবে। যদিও সীমাবদ্ধতা রয়েছে তারপরও আমরা সেবা দেওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছি।
হাসপাতালের অবকাঠামো উন্নয়ন ও সংস্কারের বিষয়ে গণপূর্ত অধিদপ্তর ফেনী’র নির্বাহী প্রকৌশলী মনিরুজ্জামান দৈনিক প্রতিদিনের কাগজের প্রতিবাদককে বলেন, হাসপাতালের অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য বরাদ্দ না পেলে আমাদের পক্ষে কাজ চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হয় না। তবে নিয়মিত কাজের অংশ হিসেবে যন্ত্রাংশ মেরামতের কাজ চলমান রয়েছে। তিনি আরও বলেন, পুরোনো লিফট সংস্কার ও নতুন লিফট স্থাপনের জন্য মন্ত্রণালয়ে চাহিদা পাঠানো হয়েছে। জরুরি বিভাগ প্রশস্তকরণের জন্যও চাহিদা পাঠানো হয়েছে এবং বরাদ্দ পেলে এর উন্নয়ন কার্যক্রমও সম্পন্ন করা হবে।

বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী ঝালকাঠি-১ রাজাপুর কাঠালিয়া নির্বাচনী এলাকায় সেলিম রেজার পক্ষে ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: রবিবার, ১২ অক্টোবর, ২০২৫, ১:৪১ পূর্বাহ্ণ
   
বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী ঝালকাঠি-১ রাজাপুর কাঠালিয়া নির্বাচনী এলাকায় সেলিম রেজার পক্ষে ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ

বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জননেতা জনাব তারেক রহমান ঘোষিত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা প্রচারে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী ঝালকাঠি-১ রাজাপুর কাঠালিয়া নির্বাচনী এলাকায়, গণমানুষের নেতা সেলিম রেজার পক্ষে ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ ও ধানের শীষে পক্ষে ভোট চায়।১০/১০/ ২০২৫ ইং তারিখ ঝালকাঠি-১ রাজাপুর উপজেলার সাতুরিয়া ইউনিয়নে নিউইয়র্ক মহানগর দক্ষিণ বিএনপি সভাপতি ও রাজাপুর-কাঁঠালিয়ার গন মানুষের নেতা সাবেক ছাত্রনেতা জননেতা মোঃ হাবিবুর রহমান সেলিম রেজার পক্ষে আজ জুমার নামাজের পরে মসজিদের মুসুল্লিদের মাঝে বিএনপি নেতা দেলোয়ার হোসেন মেম্বার ও যুবদলের নেতা মোঃ সুমন জমাদ্দার এর নেতৃত্বে ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে।

এ সময় তিনি সাধারণ মানুষের মাঝে রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফার মূল বক্তব্য ও উদ্দেশ্য তুলে ধরেন এবং জনসাধারণকে বিএনপির রূপরেখা সম্পর্কে অবহিত করেন।

গাইবান্ধায় জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের উদ্যোগে বিশ্ব ডিম দিবস- ২০২৫ পালিত হয়েছে

শাহ্ পারভেজ সংগ্রাম,‎গাইবান্ধা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১০ অক্টোবর, ২০২৫, ১১:০৮ অপরাহ্ণ
   
গাইবান্ধায় জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের উদ্যোগে বিশ্ব ডিম দিবস- ২০২৫ পালিত হয়েছে
‎ডিমে আছে প্রোটিন, খেতে হবে প্রতিদিন-এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে উৎসবমুখর পরিবেশে গাইবান্ধায় পালিত হয়েছে বিশ্ব ডিম দিবস-২০২৫।
‎শুক্রবার (১০ অক্টোবর) সকালে জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের উদ্যোগে এ দিবসটি নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে উদযাপিত হয়েছে।
‎দিনটি উপলক্ষে সকাল ১০টায় জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর প্রাঙ্গণ থেকে একটি বর্ণাঢ্য র‍্যালি বের করা হয়। র‍্যালিটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় দপ্তর প্রাঙ্গণে এসে শেষ হয়। র‍্যালিতে অংশ নেন বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা, খামারি, কৃষক, শিক্ষার্থী ও পুষ্টিবিদসহ নানা শ্রেণিপেশার মানুষ।
‎পরে দপ্তরের সম্মেলন কক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
‎সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার ডাঃ মোঃ আব্দুর রাজ্জাক। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গাইবান্ধা সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার তরুণ কুমার দত্ত। এছাড়াও অনুষ্ঠানে প্রাণিসম্পদ দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, খামার মালিক ও গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
‎বক্তারা বলেন, ডিম একটি সাশ্রয়ী, পুষ্টিকর ও সহজলভ্য খাদ্য যা শরীরের প্রোটিন চাহিদা পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। প্রতিদিন একটি ডিম খাওয়ার অভ্যাস শিশুদের বুদ্ধি ও শারীরিক বিকাশে সহায়ক এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতেও কার্যকর।
‎অনুষ্ঠানে আরও বলা হয়, বাংলাদেশে বর্তমানে ডিম উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের পথে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। স্থানীয় খামারিদের আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর উৎপাদন ব্যবস্থার সঙ্গে সম্পৃক্ত করে ডিমের মান ও পরিমাণ আরও বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
‎আলোচনা শেষে অংশগ্রহণকারীদের মাঝে ডিমের পুষ্টিগুণ সম্পর্কিত লিফলেট, ব্যানার ও প্রচারপত্র বিতরণ করা হয়।

ধানের সাথে এ কেমন শত্রুতা ট্রাক্টর দিয়ে ধান ক্ষেত নষ্ট করলো প্রতিপক্ষ

মোঃ জাকারিয়া হোসেন, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১০ অক্টোবর, ২০২৫, ৭:৩৭ অপরাহ্ণ
   
ধানের সাথে এ কেমন শত্রুতা ট্রাক্টর দিয়ে ধান ক্ষেত নষ্ট করলো প্রতিপক্ষ
জমি জমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারীতে ১০ বিঘা জমির রোপা আমন ফসলের ক্ষেত ট্রাক্টর দিয়ে নষ্ট করে দেওয়ার অভিযোগ ওঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ভুরুঙ্গামারী থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন ক্ষতিগ্রস্থ আব্দুল মান্নান। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার (৮ অক্টোবর) উপজেলার শিলখুড়ি ইউনিয়নের দক্ষিণ ধলডাঙ্গা গ্রামে ।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় ইব্রাহিম আলী মাস্টার গং দের সাথে একই এলাকার মৃত লোকমান আলীর ছেলে আব্দুল মান্নানের পরিবারের ১১ বিঘা জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিলো। দখলভোগের প্রেক্ষিতে চলতি আমন মৌসুমেও ওই জমিতে আব্দুল মান্নান রোপা আমন চাষ করেন। চাষকৃত ওই আমন ধান হওয়ার সময় হয়েছে। এ অবস্থায় মঙ্গলবার সকাল সাড়ে আটটার দিকে রুবেল, কামরুজ্জামান, ইব্রাহিম, হাবিবুর, আ: হাই, কুদ্দুছ , ছালাম, শওকত সহ ৩০-৪০ জন নারী-পুরুষ ও তাদের লোকজন লাঠি-শোঠা ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে জমি জবর দখলের চেষ্টা করে এবং ট্রাক্টর দিয়ে ১০ বিঘা জমির ফুল আসা ধান ক্ষেত ও ১ বিঘা কালাই ক্ষেত গুড়িয়ে নষ্ট করে দেয়। এ সময় মান্নানের পরিবারের লোকজন বাধা দেয়ার চেষ্টা করলে প্রতিপক্ষ অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে হত্যার হুমকি দিয়ে চলে যায়।
স্থানীয়রা জানান, দীঘদিন ধরে উভয় পক্ষের মধ্যে এই দ্বন্দ্ব চলে আসছে। প্রায় ধান আসা ফসলগুলো ট্রাক্টর দিয়ে নষ্ট করা হয়েছে। ঘটনাটা আসলে ন্যাক্কারজনক। এটা মানুষের উপর অত্যাচার করা ছাড়া আর কিছুই নয়। এটা মানুষের বিবেককে নাড়া দেওয়ার মতো একটা ঘটনা।
ভুক্তভোগী আব্দুল মালেক ও মাসাদুল ইসলাম বলেন, আমরা মোট ১০ বিঘা জমিতে আমন চাষ করেছি। ১ বিঘা জমিতে কালাই আবাদ করেছি। আর কিছুদিন পর ধান ঘরে তুলতে পারতাম। কিন্তু আমাদের সেই আশায় পানি ঢেলে দিলো।  ফুল আসা ধান গাছ ও কালাই ট্রাক্টর দিয়ে নষ্ট করে ফেলেছে তারা। এতে প্রায় তিন লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে। আমাদের সর্বশান্ত করে দিয়েছে। এর সুষ্ঠু বিচার কামনা করেন ভুক্তভোগী ও তার পরিবার।
এ বিষয়ে প্রতিপক্ষ ইব্রাহিম আলী মাস্টারের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।তিনি ফোনও রিসিভ করেন নি।
উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ আব্দুল জব্বার জানান, বিষয়টি জানার পর, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাকে জমিটি পরিদর্শন করে অফিসে রিপোর্ট করতে বলেছি।
ভুরুঙ্গামারী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আল হেলাল মাহমুদ বলেন, অভিযোগ এর বিষয়ে মামলা রুজু করা হয়েছে , মামলাটি তদন্তাধীন ।