খুঁজুন
রবিবার, ১২ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৭শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গাজায় নৃশংস বর্বরতার প্রতিবাদে সোচ্চার ফেনী

মোঃ আবদুল রহিম, ফেনী প্রতিনিধি
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৮ এপ্রিল, ২০২৫, ১:৩৬ অপরাহ্ণ
গাজায় নৃশংস বর্বরতার প্রতিবাদে সোচ্চার ফেনী
গাজায় ইসরাইলের চলমান নৃশংস ধ্বংসযজ্ঞ ও বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদে ফেনী জেলাজুড়ে চলছে প্রতিবাদ ও সংহতি কর্মসূচি। ফেনী শহর ও সোনাগাজী উপজেলায় পৃথক বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ, শিক্ষার্থী এবং সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন। এছাড়াও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা এতে সংহতি প্রকাশ করে বিবৃতি দেয়। ফেনী জেলা স্বেচ্ছাসেবী পরিবারের ব্যানারে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিলটি
বাদ যোহর ফেনী শহরের ঐতিহ্যবাহী জহিরিয়া মসজিদ থেকে শুরু হয়ে শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে শহীদ মিনারে এসে সমাবেশে মিলিত হয়। এ সময় ‘ফিলিস্তিনে হামলা কেন জাতিসংঘ জবাব চায়’ ‘জিহাদ জিহাদ জিহাদ চাই, জিহাদ করে বাঁচতে চাই’ ‘এ জিহাদে জিতবে কারা বিশ্বনবীর সৈনিকেরা’, ‘বিশ্ব মুসলিম ঐক্য গড়, ফিলিস্তিন স্বাধীন করো, ‘নারায়ে তাকবির আল্লাহু আকবর’, ‘ইসরাইলের বিরুদ্ধে, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’সহ বিভিন্ন স্লোগান দেন বিক্ষোভকারীরা। সমাবেশে বক্তারা বলেন, বিশ্ব বিবেক আজ নিশ্চুপ। কোথায় মানবাধিকার?
গাজায় চলমান নৃশংস ধ্বংসযজ্ঞ ও হামলার প্রতিবাদে ফেনী জেলাজুড়ে চলছে প্রতিবাদ ও সংহতি কর্মসূচি। এতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ, শিক্ষার্থী এবং সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন। এছাড়াও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা এতে সংহতি প্রকাশ করে বিবৃতি দেয়
সংহতি প্রকাশ করল ফেনীর শিক্ষার্থীরা
ফিলিস্তিনের গাজায় চলমান সহিংসতা, মানবাধিকার লঙ্ঘন ও গণহত্যার বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী পালিত ‘গ্লোবাল স্ট্রাইক ফর গাজা’ কর্মসূচির প্রতি সংহতি জানিয়েছে ফেনীর শিক্ষার্থীরা।
আমাদের শক্তি সঞ্চয় করে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। সমস্ত মুসলমান ভাই ভাই ও একটি দেহের মতো। দেহের একটি অঙ্গ যদি ঠিকমতো কাজ না করে তাহলে শারীরিক ক্রিয়া যেমন ব্যাহত হয়, ঠিক তেমনি একজন মুসলিম ভালো না থাকলে অন্যরাও ভালো থাকতে পারে না। মুসলিম হিসেবে আমাদের লজ্জা অনুভব হয় যে, আমরা এখনও এই অসহ্য অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামতে পারছি না। আমরা ভুলে যেতে বসেছি মুসলমানদের পুরনো ঐতিহ্য।
ফেনী জেলা স্বেচ্ছাসেবী পরিবারের প্রতিনিধি ওসমান গনি রাসেল বলেন, আজ ফিলিস্তিনের মাটিতে যে নির্মম গণহত্যা চলছে, তা কেবল ফিলিস্তিনিদের উপর আঘাত নয়, বরং এটি সমগ্র মুসলিম উম্মাহর উপর একটি চরম অবমাননা। শিশু, নারী, নিরীহ মানুষদের রক্তে আজ রঞ্জিত গাজা। অথচ বিশ্ব বিবেক চুপ করে আছে। জাতিসংঘ, মানবাধিকার সংস্থা সবাই আজ নিশ্চুপ। ফেনী জেলা স্বেচ্ছাসেবী পরিবারের আরেক প্রতিনিধি নুর নবী হাসান বলেন, জাতিসংঘ আজ নির্বিকার। তারা মুখে শান্তির কথা বললেও কাজে নিষ্ক্রিয়। আর মুসলিম রাষ্ট্রগুলো যেন গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন একটি রাষ্ট্রও দৃশ্যমান ভূমিকা নিচ্ছে না। এই নীরবতা একধরনের অপরাধ। আজ যদি আমরা চুপ থাকি, তবে কাল ইতিহাস আমাদের ক্ষমা করবে না। আমরা বিশ্বাস করি, যদি মুসলিমরা আজ ঐক্যবদ্ধ হয়, তবে ওই জালিম শত্রুরা পালানোরও জায়গা পাবে না।
জেলা স্বেচ্ছাসেবী পরিবারের প্রতিনিধি ওসমান গনি রাসেলের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন স্বেচ্ছাসেবী ওমর বিন কাসেম সিফাত, খন্দকার সুমন, বিশিষ্ট সংগঠক আজিজ উল্যাহ আহমদী, কবি ও সংগঠক স্বাধীন মুরশিদ। এতে উপস্থিত ছিলেন নিশাদ আদনান, পিয়াস, জাহাঙ্গীর সহ স্বেচ্ছাসেবী পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা।
একইদিন বিকেলে সোনাগাজী উপজেলায় সোনাগাজী স্বেচ্ছাসেবী পরিবারের ব্যানারে পৃথক বিক্ষোভ মিছিল ও সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সোনাগাজী কেন্দ্রীয় ঈদগাহ জামে মসজিদে আসরের নামাজ শেষে মিছিলটি শুরু হয়ে পৌর শহরের জিরো পয়েন্টে এসে শেষ হয়।
এ সময় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, সোনাগাজী ব্লাড ডোনেট অর্গানাইজেশনের প্রতিষ্ঠাতা ইয়াছিন মাহমুদ, সোনাগাজী স্বেচ্ছায় রক্তদান ফাউন্ডেশনের সভাপতি আলমগীর হোসেন, স্বপ্নচারী মানব কল্যাণ সংস্থার সহ সভাপতি জিয়া উদ্দিন হৃদয়, মানবতার ডাক’র সহসভাপতি এমদাদ হোসেন সুজন, মুনস্টারের আবুল কালাম আজাদ, নিসআর শাহাদাত হোসেন সজিব, ফেনী সরকারি কলেজ শিক্ষার্থী আবুল কামাল আজাদ।
প্রতিবাদ সমাবেশে ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক উপজেলা সভাপতি আব্দুল মোমিন শিক্ষাঘর সোনাগাজীর সভাপতি হোসাইন আজাদ, স্বপ্নসিড়ির সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম হাসান, স্বপ্নচারীর সভাপতি নাজমুল ইসলাম,
শিক্ষা ঘরের শিবলু, ছাত্রদল নেতা বেলাল হোসেন রাহাদ, গিয়াস উদ্দিন হৃদয়, মানবতার ডাক’র এএইচ রাসেল, পাঠকবন্ধুর নির্বাহী সদস্য দেলোয়ার হোসেন, স্বেচ্ছাসেবী পরিবারের শতাধিক স্বেচ্ছাসেবী ও বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষ অংশ নেয়। সরকারি কলেজ, ফেনী ইউনিভার্সিটি ও ফেনী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সাধারণ শিক্ষার্থীরা পৃথকভাবে সংহতি প্রকাশ করে বিবৃতি দেয়।
ফেনী সরকারি কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীরা এক বিবৃতিতে উল্লেখ করে, আমরা ফেনী সরকারি কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীরা, গ্লোবাল স্ট্রাইক ফর গাজার প্রতি সংহতি প্রকাশ করছি। ফিলিস্তিনের গাজায় চলমান গণহত্যা, মিসাইল হামলা, রাসায়নিক গ্যাস আক্রমণ এবং সীমাহীন সহিংসতার মুখে আমরা নীরব থাকতে পারি না। ২০২৫ সালের ৭ই এপ্রিল, সোমবার, আমরা পুরো বিশ্বের সাথে একাত্মতা পোষণ করে গে-াবাল স্ট্রাইক ফর গাজায় অংশ নিচ্ছি। ক্রমাগত বোমাবর্ষণ, অনাহার এবং বাকস্বাধীনতা হরণের মাধ্যমে যে নিপীড়ন চলছে ফিলিস্তিনে, তা উপেক্ষা করা যায় না। এটি শুধুমাত্র একটি রাজনৈতিক সংকট নয়-এটি একটি গভীর নৈতিক সংকট। এখনই সময় সোশ্যাল মিডিয়ার গণ্ডি ছাড়িয়ে একত্রিত হওয়ার, প্রতিবাদ করার, সংগঠিত হওয়ার এবং কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার।
বিবৃতিতে তারা আরও উল্লেখ করে, আমরা গাজায় ইসরায়েলের পরিচালিত গণহত্যার তীব্র নিন্দা জানাই, পাশাপাশি নিন্দা জানাই যুক্তরাষ্ট্র সহ অন্যান্য পরাশক্তিদের অকুন্ঠ সমর্থনেরও। একইসাথে, আমরা তীব্রভাবে নিন্দা জানাই সেইসব রাষ্ট্রের, বিশেষ করে আরব দেশগুলোর, যারা এই নির্মমতার সময় নীরব থেকেছে। তাদের নিষ্ক্রিয়তাই এই গণহত্যাকে অব্যাহত রাখার সুযোগ করে দিয়েছে। আমরা, ফেনী সরকারি কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীরা, গাজার পাশে আছি। ৭ই এপ্রিল চলুন আমরা এক কণ্ঠে আওয়াজ তুলি ন্যায়বিচার, শান্তি এবং মানবতার পক্ষে।
এদিন একই ধরনের বিবৃতি দিয়ে সংহতি প্রকাশ করে ফেনী ইউনিভার্সিটি ও ফেনী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

মৌলভীবাজার-২আসনে গণঅধিকার পরিষদের এমপি পদপ্রার্থী খন্দকার সাইদুজ্জামান সুমনে’র নিবার্চনী প্রচার প্রচারণা

ইমতিয়াজ সুমন, স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: রবিবার, ১২ অক্টোবর, ২০২৫, ৯:৫৫ অপরাহ্ণ
   
মৌলভীবাজার-২আসনে গণঅধিকার পরিষদের এমপি পদপ্রার্থী খন্দকার সাইদুজ্জামান সুমনে’র নিবার্চনী প্রচার প্রচারণা

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে

মৌলভীবাজার-২ কুলাউড়া আসনে গণঅধিকার পরিষদের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা যে যার মতো প্রস্তুতি শুরু করেছেন। এর মধ্যে অন্যতম আলোচিত নাম খন্দকার সাইদুজ্জামান সুমন যিনি গনঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির রাজনৈতিক প্রশিক্ষণ বিষয় সহ সম্পাদক ও বাংলাদেশ প্রবাসী অধিকার পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক একজন পরীক্ষিত জননেতা হিসেবে দলীয় মহলে সুপরিচিত।

দলীয় প্রতীক ট্রাক নিয়ে নির্বাচন করার প্রত্যাশা ব্যক্ত করে খন্দকার সাইদুজ্জামান সুমন বলেন, “সারাদেশের মানুষ এখন একটি নিরপেক্ষ নির্বাচনের অপেক্ষায়। আগামী জানুয়ারি থেকে ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন হবে এই বিশ্বাস থেকেই আমি প্রস্তুতি নিচ্ছি। আমার নির্বাচনী এলাকার জনগণের ভোটাধিকারের পক্ষে রাজপথে আছি।”তিনি বলেন, “৫ আগস্ট দেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের মধ্য দিয়ে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের পতনের সূচনা হয়েছে। এখন সময় এসেছে পরিবর্তনের। জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে আমরা নতুনভাবে স্বপ্ন দেখছি।”তৃণমূল পর্যায়ে ব্যাপক সাংগঠনিক তৎপরতা শুরু করেছেন। কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে শুরু করে ২৪ জুলাই আন্দোলন পর্যন্ত খন্দকার সাইদুজ্জামান সুমন ইউ কে কমিটির লোকদের নিয়ে প্রতিবাদ সভা, সমাবেশ ও টিভি টকশোর করে দেশের পাশে থাকার যতেষ্ট ভুমিকা রেখেছিলেন।

নুরুল হক নুরের নেতৃত্ব এবং গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার কর্মসূচি তুলে ধরছি। নতুন ভোটারদের প্রসঙ্গে খন্দকার সাইদুজ্জামান সুমন বলেন, “দলের সভাপতি নুরুল হক নুর দীর্ঘদিন ধরে দেশের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনার আন্দোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। আজ দেশের যুবসমাজ ও সাধারণ মানুষ ভোট দিতে চায়,পরিবর্তন চায়। তরুণ ভোটাররা যেন ভয়হীনভাবে মত প্রকাশ করতে পারে,এই স্বাধীনতার জন্যই নুরুল হক নুর সংগ্রাম করে যাচ্ছেন।” দলের প্রতি নিজের রাজনৈতিক অঙ্গীকার তুলে ধরে
খন্দকার সাইদুজ্জামান সুমন বলেন, “আমি ছাত্র রাজনীতি থেকে উঠে আসা একজন তৃণমূল কর্মী। আমি রাজনীতি থাকা অবস্থায়ও সাধারণ মানুষের পাশে ছিলাম। আমার অভিজ্ঞতা, নীতিশিক্ষা ও জনগণের ভালোবাসা নিয়েই আমি আগামী নির্বাচনে ট্রাক প্রতীকের মনোনয়ন প্রত্যাশা করছি।”সাক্ষাৎকারের শেষভাগে তিনি বলেন, “আমার নির্বাচনী এলাকার সব শ্রেণি-পেশার মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। আমি দোয়া চাই, ভালোবাসা চাই এই গণতান্ত্রিক লড়াইয়ে আপনাদের সঙ্গেই আমার এগিয়ে যাওয়া।

বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী ঝালকাঠি-১ রাজাপুর কাঠালিয়া নির্বাচনী এলাকায় সেলিম রেজার পক্ষে ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: রবিবার, ১২ অক্টোবর, ২০২৫, ১:৪১ পূর্বাহ্ণ
   
বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী ঝালকাঠি-১ রাজাপুর কাঠালিয়া নির্বাচনী এলাকায় সেলিম রেজার পক্ষে ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ

বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জননেতা জনাব তারেক রহমান ঘোষিত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা প্রচারে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী ঝালকাঠি-১ রাজাপুর কাঠালিয়া নির্বাচনী এলাকায়, গণমানুষের নেতা সেলিম রেজার পক্ষে ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ ও ধানের শীষে পক্ষে ভোট চায়।১০/১০/ ২০২৫ ইং তারিখ ঝালকাঠি-১ রাজাপুর উপজেলার সাতুরিয়া ইউনিয়নে নিউইয়র্ক মহানগর দক্ষিণ বিএনপি সভাপতি ও রাজাপুর-কাঁঠালিয়ার গন মানুষের নেতা সাবেক ছাত্রনেতা জননেতা মোঃ হাবিবুর রহমান সেলিম রেজার পক্ষে আজ জুমার নামাজের পরে মসজিদের মুসুল্লিদের মাঝে বিএনপি নেতা দেলোয়ার হোসেন মেম্বার ও যুবদলের নেতা মোঃ সুমন জমাদ্দার এর নেতৃত্বে ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে।

এ সময় তিনি সাধারণ মানুষের মাঝে রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফার মূল বক্তব্য ও উদ্দেশ্য তুলে ধরেন এবং জনসাধারণকে বিএনপির রূপরেখা সম্পর্কে অবহিত করেন।

গাইবান্ধায় জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের উদ্যোগে বিশ্ব ডিম দিবস- ২০২৫ পালিত হয়েছে

শাহ্ পারভেজ সংগ্রাম,‎গাইবান্ধা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১০ অক্টোবর, ২০২৫, ১১:০৮ অপরাহ্ণ
   
গাইবান্ধায় জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের উদ্যোগে বিশ্ব ডিম দিবস- ২০২৫ পালিত হয়েছে
‎ডিমে আছে প্রোটিন, খেতে হবে প্রতিদিন-এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে উৎসবমুখর পরিবেশে গাইবান্ধায় পালিত হয়েছে বিশ্ব ডিম দিবস-২০২৫।
‎শুক্রবার (১০ অক্টোবর) সকালে জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের উদ্যোগে এ দিবসটি নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে উদযাপিত হয়েছে।
‎দিনটি উপলক্ষে সকাল ১০টায় জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর প্রাঙ্গণ থেকে একটি বর্ণাঢ্য র‍্যালি বের করা হয়। র‍্যালিটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় দপ্তর প্রাঙ্গণে এসে শেষ হয়। র‍্যালিতে অংশ নেন বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা, খামারি, কৃষক, শিক্ষার্থী ও পুষ্টিবিদসহ নানা শ্রেণিপেশার মানুষ।
‎পরে দপ্তরের সম্মেলন কক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
‎সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার ডাঃ মোঃ আব্দুর রাজ্জাক। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গাইবান্ধা সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার তরুণ কুমার দত্ত। এছাড়াও অনুষ্ঠানে প্রাণিসম্পদ দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, খামার মালিক ও গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
‎বক্তারা বলেন, ডিম একটি সাশ্রয়ী, পুষ্টিকর ও সহজলভ্য খাদ্য যা শরীরের প্রোটিন চাহিদা পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। প্রতিদিন একটি ডিম খাওয়ার অভ্যাস শিশুদের বুদ্ধি ও শারীরিক বিকাশে সহায়ক এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতেও কার্যকর।
‎অনুষ্ঠানে আরও বলা হয়, বাংলাদেশে বর্তমানে ডিম উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের পথে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। স্থানীয় খামারিদের আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর উৎপাদন ব্যবস্থার সঙ্গে সম্পৃক্ত করে ডিমের মান ও পরিমাণ আরও বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
‎আলোচনা শেষে অংশগ্রহণকারীদের মাঝে ডিমের পুষ্টিগুণ সম্পর্কিত লিফলেট, ব্যানার ও প্রচারপত্র বিতরণ করা হয়।