খুঁজুন
সোমবার, ১৩ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৮শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ময়মনসিংহ-মোহনগঞ্জ লোকাল ট্রেন বন্ধ, ক্ষুব্ধ যাত্রীরা

রিপন কান্তি গুণঃ নেত্রকোনা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: শনিবার, ২৯ মার্চ, ২০২৫, ৯:২৫ অপরাহ্ণ
ময়মনসিংহ-মোহনগঞ্জ লোকাল ট্রেন বন্ধ, ক্ষুব্ধ যাত্রীরা

ইঞ্জিন সংকটের অজুহাতে ময়মনসিংহ-মোহনগঞ্জ রুটের লোকাল ট্রেনটি প্রায় চার মাস ধরে পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে। এতে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন শিক্ষার্থী, চাকুরিজীবী, ব্যবসায়ীসহ ওই রুটে চলাচলকারী সাধারণ যাত্রীরা।

রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, লোকাল ট্রেনটি প্রতিদিন ময়মনসিংহ থেকে মোহনগঞ্জ সকাল-বিকাল দুইবার আসা যাওয়া করতো। ময়মনসিংহ রেলওয়ে জংশন স্টেশন থেকে পণ্য বহনকারী বগি ও যাত্রীবাহী ৫টি বগি নিয়ে লোকাল ট্রেনটি ভোর ৫টা ৪০ মিনিটে মোহনগঞ্জের উদ্দেশে ছেড়ে আসতো। পরে সকাল সাড়ে নয়টায় মোহনগঞ্জ থেকে ময়মনসিংহের উদ্দেশে ছেড়ে যেতো। পরবর্তীতে দুপুর ২টা ১০ মিনিটে ওই ট্রেনটি ফের  মোহনগঞ্জের উদ্দেশে ছেড়ে আসতো। কিন্তু গত বছরের ৯ ডিসেম্বর থেকে ট্রেনটি আসা-যাওয়া পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে। কবে থেকে ট্রেনটি চলাচল করবে তাও নির্দিষ্ট করে জানাতে পারেনি রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। ফলে নেত্রকোনা জেলা শহরসহ আশপাশের উপজেলার ট্রেন যাত্রীরা দুর্ভোগে পড়েছেন। প্রতিদিন কয়েক হাজার যাত্রী এ ট্রেনে যাতায়াত করতো।

তারা আরও জানান, গত বছরের ৯ ডিসেম্বর থেকে ময়মনসিংহ-মোহনগঞ্জ রুটে চলাচলকারী লোকাল ট্রেনটি পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে। লোকাল ট্রেনের বেশ কয়েকটি ইঞ্জিন নষ্ট থাকার কারণে সেগুলো মেরামত করার জন্য চট্টগ্রাম পাঠানো হয়েছে। ফলে ইঞ্জিন সংকটের কারণে ট্রেনটি বন্ধ রাখা হয়েছে।

ময়মনসিংহ-মোহনগঞ্জ রুটে একটি কমিউটার ও দুটি আন্তঃনগর ট্রেন চললেও তা সব স্টেশনে দাঁড়ায় না এবং ভাড়াও তিনগুণ বেশি। ইঞ্জিন এবং জনবল সংকটের অজুহাতে লোকাল ট্রেনগুলো দুই মাস আগে বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশ রেলওয়ে। ট্রেনগুলো বন্ধ থাকায় ঈদযাত্রায়ও বিরূপ প্রভাব পড়েছে।

বন্ধ থাকা লোকাল ট্রেনটি চালুর দাবিতে গত  (২১ মার্চ) শুক্রবার ময়মনসিংহ,  (২৬ মার্চ) বুধবার মোহনগঞ্জ ও (২৮ মার্চ) শুক্রবার বারহাট্টা রেলস্টেশনে মানববন্ধন, বিক্ষোভ ও প্রতীকী রেলপথ অবরোধ কর্মসূচি পালন করেন বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ।

কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, কোন একটা পক্ষকে লাভবান করতেই ষড়যন্ত্র করে ইঞ্জিন সংকটের বাহানায় লোকাল বন্ধ করে রাখা হয়েছে। হাওরাঞ্চলের শিক্ষার্থীরা এই চড়ে জেলা শহরে গিয়ে পড়াশোনা করে। রোগীরা সেবার জন্য শহরে যান এই । ব্যবসায়ীরা কম খরচে নিরাপদে পণ্য পরিবহন করেন, চাকরিজীবীরা নির্বিঘ্নে যাতায়ত করেন লোকাল এই ট্রেনে। বৃটিশ আমল থেকেই এই ট্রেন সাধারণ মানুষের চলাচলের একমাত্র ভরসা। দীর্ঘদিন ধরে ট্রেনটি বন্ধ থাকায় অতিরিক্ত খরচ দিয়ে বাস, অটোরিকশা ও সিএনজিতে যাতায়াত করতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। ইঞ্জিন সংকটের টালবাহানা বাদ দিয়ে দ্রুত টেনটি চালু করার দাবি জানান তারা। অন্যথায় এই রুটে রেল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করার হুমকি দেন তারা।

যাত্রীদের অভিযোগ- বাস মালিকদের সাথে যোগসাজশে বাসে যাত্রী বৃদ্ধির জন্য রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ইঞ্জিন সংকটের নাটক সাজিয়ে লোকাল ট্রেনটি বন্ধ রেখেছে।

তারা আরও বলেন, লোকাল ট্রেনগুলো প্রতিটি স্টেশনে যাত্রাবিরতি করার ফলে সেসব এলাকার মানুষজন খুব সহজেই ট্রেনে চড়ে গন্তব্যে যেতে পারতেন। স্বল্প পরিসরে বিভিন্ন পণ্য পরিবহনও করতে পারতেন। ব্যবসায়ী ও পাইকাররা দুধ, ডিম, কলা, মুরগি, শাকসবজি, শুঁটকিসহ বিভিন্ন কৃষিজ পণ্যের পাশাপাশি কাপড়, জুতা, কসমেটিক্স, বাঁশের চাটাইসহ নানা মনিহারি পণ্য পরিবহন করে বিভিন্ন বাজারে তা সরবরাহ করতেন। ট্রেনের বদলে সড়কপথে পণ্য পরিবহনে খরচ বেড়ে যাওয়ায় আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। ফলে বিকল্প হিসেবে দুইটি আন্তঃনগর এবং একটি কমিউটার ট্রেনে বেশি ভাড়া দিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে।

অন্যদিকে বাসে বা সিএনজিতে চড়ে অতিরিক্ত ভাড়া গুনতে হচ্ছে যাত্রীদের। অন্যদিকে জ্যামে পড়ে নির্দিষ্ট সময়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারছেন না। এছাড়া মালামাল পরিবহনেও ব্যবসায়ীদের গুনতে হচ্ছে কয়েকগুণ বেশি ভাড়া। তবে ট্রেন বন্ধ থাকায় সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন চাকরিজীবী ও শিক্ষার্থীরা।

নেত্রকোনা সরকারি কলেজের এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সুমন রহমান, রাজিব হোসেন, মৌমিতা জাহান, বিনা আক্তারসহ কয়েকজন শিক্ষার্থীর সাথে কথা বললে তারা জানান, আমাদের কয়েকজন মোহনগঞ্জ থেকে কয়েকজন বারহাট্টা থেকে নেত্রকোনায় কলেজে যাই।লোকাল ট্রেনে কম ভাড়া দিয়ে কলেজে যাতায়াত করতে পারতাম। কিন্তু এখন লোকাল ট্রেনটি বন্ধ থাকায় বিপদে পড়েছি। এখন বাস অটোরিকশা ও সিএনজিতে চড়ে অনেক টাকা ব্যয় করেও জ্যামের কারণে কলেজে যেতে কষ্ট হচ্ছে। আমার মতো শত শত ছাত্র-ছাত্রী এই ট্রেনে চড়ে কলেজে যাতায়াত করে। ট্রেন বন্ধ এখন তারাও আমাদের মতো বিপদে। দ্রুত ট্রেনটি চালু করা হোক এটাই দাবি।

এ বিষয়ে নেত্রকোনা রেলওয়ে স্টেশনের (বড় স্টেশন) স্টেশন মাস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন,, লোকাল ট্রেন টির যাবতীয় বগী ধৌত করে রাখা আছে। ইঞ্জিন নষ্ট হয়ে যাওয়ায় এতোদিন ট্রেন টি বন্ধ ছিলো। ঊর্ধ্বতন কতৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করেছি।  আশা করি দ্রুত সময়ের মধ্যেই ট্রেন টি চালু হবে। লোকাল ট্রেনের যাত্রীরা টিকিট না করার কারলে কি ট্রেন বন্ধ করে রেখেছেন এমন প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, না এটা সঠিক নয়। সরকার লোকাল  ট্রেনের ভাড়া একদম সীমিত করে রেখেছে। এমন কিছু শুনে থাকলে এটা গুজব।

ইতালির বিভিন্ন প্রভিন্সে যুবদল কমিটি গঠনের লক্ষ্যে মনফালকনে গরিঝিয়া যুবদলের উদ্যোগে মতবিনিময় সভা

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: সোমবার, ১৩ অক্টোবর, ২০২৫, ২:৫০ পূর্বাহ্ণ
   
ইতালির বিভিন্ন প্রভিন্সে যুবদল কমিটি গঠনের লক্ষ্যে মনফালকনে গরিঝিয়া যুবদলের উদ্যোগে মতবিনিময় সভা

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল ইতালি কেন্দ্রীয় কমিটির নির্দেশে ইতালির বিভিন্ন প্রভিন্সে যুবদল কমিটি গঠনের লক্ষ্যে মনফালকনে গরিঝিয়া যুবদলের উদ্যোগে অদ্য রোজ রবিবার মনফালকনের স্থানীয় একটি রেস্টুরেন্টে যুবদলের প্রায় শতাধিকের অধিক নেতাকর্মী নিয়ে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

উক্ত মতবিনিময় সভাটি মনফালকনে গরিঝিয়া যুবদলের নেতা আলাদিনের সভাপতিত্বে এবং যুবদল নেতা শাহপরাণ খন্দকার এবং মিনহাজুল ইসলাম এর যৌথ পরিচালনায় অনুষ্ঠিত হয়।হাফেজ আশরাফুল আরমান পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত পাঠ করেন।

 

মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন যুবদল নেতা এমরান মিয়া,ইকবাল হোসেন,জান্নাত হোসাইন, রাজিব শেখ, তামিম ইসলাম তোহা, বাবু মোহাম্মদ, নাজমুল হাসান, সজিব মিয়া, কুতুব ইসলাম প্রমুখ।উক্ত মতবিনিময় সভায় যুবদলের নেতারা একটি শক্তিশালী কমিটি গঠন করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।দীর্ঘ একযুগ পর ইতালি যুবদলের কমিটি অনুমোদন দেয়ার জন্য বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি জনাব আবদুল মোনায়েম এবং সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নাহিদকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

পাশাপাশি ইতালি যুবদলের নবনির্বাচিত সভাপতি জনাব জাকির হোসেন গণি এবং সাধারণ সম্পাদক জনাব ওমর ফারুককে মনফালকনে গরিঝিয়া যুবদলের পক্ষ থেকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। মতবিনিময় সভায় উপস্থিত মনফালকনে গরিঝিয়া যুবদলের সকল নেতাকর্মীরা একবাক্যে ওয়াদাবদ্ধ হন, বিগতদিনে যেভাবে মনফালকনে গরিঝিয়া বিএনপি ইতালিতে সাংগঠনিকভাবে তাদের ভূমিকা রেখেছে ইনশাআল্লাহ আগামিতে মনফালকনে গরিঝিয়া যুবদলও সাংগঠনিকভাবে সেইরকম ভূমিকা রাখবে।পরিশেষে আগামি জাতীয় নির্বাচনে মনফালকনে গরিঝিয়া যুবদল তাদের শক্তিশালী সাংগঠনিক ভূমিকা রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করে অনুষ্ঠানটি শেষ করেন।

রামগঞ্জে ফিরছে বিএনপির দুঃসময়ের কান্ডারী কবির হোসেন পাটোয়ারী

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: সোমবার, ১৩ অক্টোবর, ২০২৫, ১:৩৮ পূর্বাহ্ণ
   
রামগঞ্জে ফিরছে বিএনপির দুঃসময়ের কান্ডারী কবির হোসেন পাটোয়ারী

লক্ষীপুরের রামগঞ্জ উপজেলা বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের আস্থার প্রতীক হিসেবে পরিচিত সাবেক ছাত্র ও যুবনেতা কবির হোসেন পাটোয়ারী শীঘ্রই দেশে ফিরছেন। তাকে গ্রহন করতে দলীয় নেতা-কর্মীরা ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহন করছে বলে দলের একটি সূত্র জানিয়েছেন।

দলীয়নেতা-কর্মীরা জানান,রামগঞ্জ বিএনপির রাজপথের লড়াইকু শহীদ জিয়ার আদর্শের দল বিএনপির পরিক্ষিত সৈনিক কবির হোসেন পাটোয়ারী। যাকে বড় কবির নামে সবাই ছিন। কবির হোসেন পাটোয়ারী বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে একাধি মিথ্যা এবং জেল-জুলুমে শিকার হয়। ফ্যাসিস্ট বাহিনীর হামলা ও পুলিশি হয়রানীতে অতিষ্ট হয়ে দেশ ত্যাগ করতে বাধ্য হয়।

প্রবাসে গিয়ে ফ্রান্সে বিএনপির র্দুগ তৈরী করে এবং দেশের মাটিতে রাজনীতি করতে গিয়ে যেসব নেতা-কর্মী মামলা-হামলাতে শিকার হয়েছে, তাদের আর্থিক ও আইনী সার্পোট দিয়েছন। এতে প্রবাসে থেকেও কবির হোসেন পাটোয়ারী প্রকাশ বড় কবির তৃণমুল বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের আস্থাভাজক হিসেবে যোগ্যতা অর্জন করেছে।

বিগত সময়ে এইতুখোড় নেতা কবির হোসেন পাটোয়ারী রামগঞ্জ সরকারী কলেজের জিএস, রামগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি ও রামগঞ্জ উপজেলা যুবদলের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছে। ফ্রান্স বিএনপির ১ম যুগ্ন সাধারন সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে দলের ঘোষিত সকল কর্মসুচি পালন তরে প্রবাসে বেশ সুনাম অর্জন করেছে।

রামগঞ্জ পৌর যুবদলের সদস্য আমজান হোসেন মিয়াজি বলেন, প্রবাসে বিএনপির দুর্গ তৈরীর পাশাপাশি একজন রেমিঠ্যান্স যুদ্ধা বড় কবির পাটোয়ারী আমাদের অনুপ্রেরনা। কবির হোসেন পাটোয়ারী রামগঞ্জ উপজেলা কেন্দ্রিয় সমবায় সমিতির সভাপতি সহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের গুরুত্বপূণ দায়িত্ব পালন করেছেন।

পিআর পদ্ধতি সহ ৫ দফা দাবিতে গাইবান্ধায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর বিক্ষোভ মিছিল ও স্মারকলিপি প্রদান

শাহ্ পারভেজ সংগ্রাম, গাইবান্ধা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: রবিবার, ১২ অক্টোবর, ২০২৫, ১১:৪৬ অপরাহ্ণ
   
পিআর পদ্ধতি সহ ৫ দফা দাবিতে গাইবান্ধায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর বিক্ষোভ মিছিল ও স্মারকলিপি প্রদান

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর জুলাই জাতীয় সনদের ভিত্তিতে ও ফেব্রুয়ারিতে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন সহ পাঁচ দফা দাবিতে জেলা প্রশাসকের নিকট স্মারকলিপি প্রদান করেছে গাইবান্ধা জেলা শাখা।

‎বিকেলে জেলা জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে স্থানীয় পৌর পার্কে এক সমাবেশের আয়োজন করা হয়। পরে সেখান থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে গিয়ে জেলা প্রশাসক চৌধুরী মোয়াজ্জম আহমেদের হাতে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
‎জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর আব্দুল করিম সরকারের সভাপতিত্বে স্মারকলিপি পূর্ব সমাবেশে বক্তব্য দেন জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল ওয়ারেছ, মো. মাজেদুর রহমান, জেলা সেক্রেটারি মাওলানা জহুরুল হক সরকার, নায়েবে আমীর মাওলানা নজরুল ইসলাম লেবু, সহকারী সেক্রেটারি সৈয়দ রোকনুজ্জামান ও ফয়সাল কবির রানা, পৌর জামায়াতের আমীর মো. ফেরদৌস আলম এবং মাওলানা নুরুল ইসলাম মণ্ডল প্রমুখ।
‎বক্তারা বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অনেক রক্ত ও ত্যাগের বিনিময়ে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তাই জনগণের প্রত্যাশা পূরণে জুলাই সনদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি, পিআর পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচন, সকল দলের জন্য সমান সুযোগ তৈরি ও খুনি-ফ্যাসিস্টদের বিচার নিশ্চিত করতে হবে।
‎তারা আরও বলেন, অধিকাংশ রাজনৈতিক দলের ঐকমত্যের ভিত্তিতে রাষ্ট্র কাঠামোর সংস্কার ঘটানো গেলে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব হবে। বক্তারা জনগণের গণদাবি বাস্তবায়নে সরকারকে বাধ্য করতে দলীয় নেতাকর্মীসহ দেশবাসীর প্রতি ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের আহ্বান জানান।