খুঁজুন
শনিবার, ৮ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৩শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভালো কাজ দিয়ে দর্শকের মন জয় করতে চান মডেল ও অভিনেত্রী অন্তরা ইসলাম

সাইদ হোসেন অপু চৌধুরী
প্রকাশিত: সোমবার, ২১ জুলাই, ২০২৫, ৯:২৬ অপরাহ্ণ
ভালো কাজ দিয়ে দর্শকের মন জয় করতে চান মডেল ও অভিনেত্রী অন্তরা ইসলাম

চুয়াডাঙ্গার মেয়ে মডেল ও অভিনেত্রী অন্তরা ইসলাম। মিডিয়াতে হয়ে গেছে প্রায় ৪ বছর। এই অল্প সময়েই নিজের পরিচিতি পেয়ে গেছেন। এখন মিডিয়ায় এক পরিচিত মুখ তিনি। দীর্ঘ সময় তিনি শতাধিক নাটক, শর্টফিল্ম, মিউজিক ভিডিও ও কিচ্ছায় অভিনয় করেছেন।

নিজের ভালো লাগা, ভবিষ্যত পরিকল্পনাসহ নানা বিষয়ে কথা বলেন অন্তরা ইসলাম। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন সাইদ হোসেন অপু চৌধুরী।

কিভাবে মিডিয়ার সঙ্গে যুক্ত হলেন?
অন্তরা ইসলাম: ২০২২ সালে করোনা ভাইরাসের সময় কলেজ বন্ধ ছিল, এ অবসর সময়ে অভিনয়ের নেশা ভিতরে কাজ করেছে। এরপর থেকে নিজের একটি ইউটিউব চ্যানেল খুলে আমি নিজেই প্রডিউস করেছি এবং নিজে থেকেই মিউজিক ভিডিও নাটক বানিয়ে কাজ শিখেছি। ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে কিছু প্রযোজক ও পরিচালকের মাধ্যমে শর্টফিল্ম, মিউজিক ভিডিও ও কিচ্ছার কাজের সুযোগ হয়। এরপর কন্টেন্ট ক্রিয়েটার হৃদয় হাসানের সাথে পরিচয় হয়, এরপর টানা ৭ মাস ফেসবুক পেইজে আমরা রেগুলার কাপল ব্লগ করার মাধ্যমে সোশ্যাল মিডিয়ায় পরিচিতি পাই। পরবর্তীতে বিভিন্ন সিঙ্গেল নাটক ও মিউজিক ভিডিও কাজের মাধ্যমে সামনে অগ্রসর হই। এভাবেই ইউটিউবে শতাধিক কন্টেন্ট রিলিজ হয়েছে আমার।

বর্তমানে আপনি কি কাজ করছেন?
অন্তরা ইসলাম : এখন হাতে তিন-চারটা নাটকের কথা চলছে। আর সিঙ্গেল নাটক এবং মিউজিক ভিডিও’র কাজ চলমান। আর ফটোশুট তো রয়েছেই।
যেহেতু অভিনয়ে নিয়মিত হবেন, তাহলে বড়পর্দায় আসার ইচ্ছা আছে?
অন্তরা ইসলাম : ছোটবেলা থেকে বড়পর্দায় কাজ করার খুব ইচ্ছে আমার। আমার কাছে যদি কোন মৌলিক গল্প এবং ভালো পরিচালকের কাজের প্রস্তাব আসে তাহলে অবশ্যই বড়পর্দায় কাজ করব। নতুন অনেকেই মিডিয়াতে আসছে, আবার চলেও যাচ্ছে।

নতুন হিসেবে এই বিষয়টি আপনি কিভাবে দেখছেন?
অন্তরা ইসলাম : কাজ তো সবাই করতে পারে। কিন্তু আমি এমন কাজ করতে চাই যা মানুষ সব সময় মনে রাখবে। তাই আমি খুব বেছে বেছে কাজ করছি। চরিত্র, গল্প সব কিছুর ব্যাপারেই আমি সচেতন। যদি নতুন একগাদা কাজ না করে বেছে বেছে কাজ করি তাহলে ক্যারিয়ারের জন্য ভালো হবে।

পরিবারের সহযোগিতা কেমন পাচ্ছেন?
অন্তরা ইসলাম : প্রথমে আমার বাবা সাপোর্ট করেছিল, কিন্তু মা করেনি এবং ফ্যামিলি থেকেও অনেক সমস্যা হয়েছে। তবে এখন আর এই সমস্যা নেই। আমার কাজগুলো সবাই দেখে। আমার কাজ দেখে প্রশংসা করে তারা।। তবে আমার মায়ের অনুরোধ সবসময় সামাজিক কাজের। অতিরিক্ত টাইট ফিটিং এবং শর্ট পোশাকে যেন আমি কখনো অভিনয় বা ক্যামেরার সামনে না আসি। এবং আমি সেটা মেনে চলার চেষ্টা করি। আমার বাবা একজন ব্যবসায়ী। পরিবারে আমরা ৩ বোন ও ২ ভাই।

আপনার উল্লেখযোগ্য কাজগুলো কি?
নাটক: কোটিপতি শ্বাশুরীর গরিব জামাই, মায়ের লাশ, মা আমার মদিনা, শালী আমার সুন্দরী, দারোয়ানের ঈদ, কবিরাজ বউ, কাজী বাড়ির পাজি জামাই, বউ ফেরত, গরিবের বউ অন্তরা, লোভী বউ, কষ্টে পোষা বালক, ভালোবাসার পরীক্ষা, জমজ পিচ্চি বউ
প্রেমে পাগল মন, পানিচোর,ভুয়া ডিরেক্টর ও মহানায়ক সিরিয়াল। টেলিফিল্ম: কপালে লেখা নেই, অসমাপ্ত ভালোবাসা।

মিউজিক ভিডিও: পর হয়েছো তুমি, একলা মনের প্রহর গুনে, (ভাবনা) যত তোমার সাথে,
আমি তোর পিরিতের কাঙ্গাল, সুখে থাকিস বিন্দিয়া, মায়া লাগে না রে বন্ধু, একদিন মাটির ভিতরে হবে ঘর, ময়না, ভালবাসার দাম দিলে না, কান্দিয়াকি বাইন্দা রাখা যায়, গেছি তোমার প্রেমে মজি, মহারানীর শুভ জন্মদিন, সাগর মাঝির নৌকা ভাসেরে, জীবন আমার গেল ভুলে, সে তো রাখে না খবর, তোমার বুকে মাথা রেখে মরণ যেন হয়, তোর ঐ মিষ্টি হাসি, তুই ছাড়া তুই ছাড়া, মন কেন বোঝেনা, কথা দিয়ে কথা রাখলে না, তিন কবুল, তুমি সেই প্রিয়জন,
বেইমান পাখি, যদি তোরে কাছে পাইতাম,
কন্যারে তুই গেলি আমায় ছেড়ে, কান পেতে শোনো গো মন।

ভবিষ্যতে নিজেকে কোথায় দেখতে চান?
অন্তরা ইসলাম : প্রথমে তো একজন ভাল মানুষ হতে চাই। এরপর একজন ভাল অভিনেত্রী হওয়ার ইচ্ছা তো আছেই। অভিনয়ের মাধ্যমে দর্শকদের মন জয় করতে চাই।

আপনার দর্শকদের উদ্দেশ্যে কিছু বলুন?
অন্তরা ইসলাম : সহজে যদি কেউ কিছু পায় সেটির মূল্য থাকে না। এ জন্য নিজের যোগ্যতা ও পরিশ্রমের মধ্য দিয়ে অর্জন করতে হবে। সেটির স্বীকৃতিও অন্যরকম। নতুনদের অনেকেই অল্প সময়ে তারকা হতে চায়। এ চিন্তা থেকে বের হয়ে আসতে হবে। আমার কঠোর পরিশ্রম দর্শকের ভালবাসা এনে দেবে বলে বিশ্বাস করি। সকলের মন জেতার জন্য আমাকে কাজ করে যেতে হবে। দর্শকরা আমাকে ভালবাসতে বাধ্য নন। খুব কম ক্ষেত্রেই একজন মানুষ সকলের মন জয় করতে পারেনা। তবে আমি সে রকমই কিছু করে দেখানোর আকাঙ্ক্ষা রাখি। সেই জায়গায় পৌঁছনোর জন্য আমি কঠোর পরিশ্রম করছি। আশা করি আমি সফল হব।”সর্বশেষ বলবো, আমি সব ধরণের অভিনয়ই করে যেতে চাই। অভিনয় ছাড়া অন্যকিছু চিন্তা করতে পারিনা। হুট করে নয়, ধীরে ধীরে সবার মনে স্থায়ীভাবে জায়গা করে নিতে চাই। আমার নামের পেছনে একটা জয় আছে। তাই ছোট থেকেই বিশ্বাস, একদিন আমি সবার মন জয় করে নিতে পারব।

চাঁদপুরে পাসপোর্ট করতে এসে ২ রোহিঙ্গা নারী আটক

সাইদ হোসেন অপু চৌধুরী, চাঁদপুর
প্রকাশিত: বুধবার, ৫ নভেম্বর, ২০২৫, ৮:৩১ অপরাহ্ণ
   
চাঁদপুরে পাসপোর্ট করতে এসে ২ রোহিঙ্গা নারী আটক
চাঁদপুর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে পাসপোর্ট করতে এসে কর্মকর্তাদের হাতে ধরা পড়েছেন দুই রোহিঙ্গা নারী। পরে তাদের পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

মঙ্গলবার বিকেলে পাসপোর্ট অফিসের দু-তলায় তারা আটক হন। আটককৃতরা হলেন, কুতুপালং এর ২ নম্বর ক্যাম্পের ই-১১ ব্লকের বাসিন্দা সহিসু আলম এর মেয়ে সুবাইরা (১০) ও সোনা আলীর মেয়ে জুহুরা বেগম (৩৫)।

পাসপোর্ট অফিস সূত্র জানান, দুই নারী একসঙ্গে চাঁদপুর পাসপোর্ট অফিসে প্রবেশ করেন। এরমধ্যে সুবাইরা পাসপোর্টের জন্য ব্যাংক ড্রাফট, আবেদনসহ অন্যান্য কাগজপত্র নিয়ে আসেন। সঙ্গে ভোটার আইডির ভেরিফাইড কপি ও ফটোকপি জমা দিতে সংযুক্ত করেন। যদিও ওই ভোটার আইডি চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলার কাজী কামতা গ্রামের রুমা আক্তারের। এসব জালিয়তির কথা স্বীকার করেন প্রতারক সুবাইরা ও জুহুরা।
তারা বলেন, সুবাইরাকে সৌদি আরব নিবে বলে এক ব্যক্তি যোগাযোগ করে। ওই ব্যক্তির মাধ্যমেই পাসপোর্টের সব আনুসাঙ্গিক কাগজপত্র তৈরি করেন। যদিও তারা দুইজনেই দাবি করেন ওই ব্যক্তিকে তারা চেনেন না।

চাঁদপুর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তা উত্তম কুমার সাহা বলেন, আসলে আবেদনের মধ্যেমে এ ধরনের রোহিঙ্গাদের চিহ্নিত করতে বেগ পেতে হয়। যদিও চেহারা ও ভাষার মাধ্যমে অনুমান করে আমরা পাসপোর্ট গ্রহীতাদের বিভিন্ন প্রশ্ন করি। ওসব প্রশ্নের মাধ্যমেই এমন রোহিঙ্গাদের চিহ্নিত করা সম্ভব হয়।

চাঁদপুর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের উপ-পরিচালক মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, এসবি ক্লিয়ারেন্স বন্ধ হওয়ায় আমরা আরো সাবধান। না হয় ফাঁক-ফোকর দিয়ে এসব রোহিঙ্গরা পাসপোর্ট নিয়ে যেতে পারে। আমরা চেষ্টা করছি এক্ষেত্রে আরো বেশি সর্তক হওয়ার।

চাঁদপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বাহার মিয়া বলেন, যেহেতু তারা বৈধভাবে কুতুপালং ক্যাম্পে থাকে তাদের ওই ক্যাম্প প্রধানের কাছে হস্তান্তর করা হবে। ওই দুই নারী কেন ক্যাম্প থেকে বের হলো, বিষয়টি নিয়ে আইনি পদক্ষেপ নেবেন ওই ক্যাম্প প্রধান। আমরা দুই নারীকে ওই ক্যাম্প প্রধানের কাছে হস্তান্তর করবো।

মনোহরদীতে শিক্ষকদের নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য ও চাঁদাবাজির বিচার দাবিতে মানববন্ধন

জাহিদ মিয়া,(নরসিংদী)প্রতিনিধি
প্রকাশিত: বুধবার, ৫ নভেম্বর, ২০২৫, ৮:২৮ অপরাহ্ণ
   
মনোহরদীতে শিক্ষকদের নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য ও চাঁদাবাজির বিচার দাবিতে মানববন্ধন
নরসিংদীর মনোহরদীতে শরিফুল ইসলাম শাকিল নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে শিক্ষক-কর্মচবারীদের নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য, অপপ্রচার ও চাঁদাবাজির বিচার দাবিতে মানববন্ধন করেছে উপজেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষিকাবৃন্দ।
বুধবার সকালে মনোহরদী সরকারি পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে ঘন্টাব্যাপী এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।
চন্দনবাড়ী কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ আবু রায়হান ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, সরদার আছমত আলী মহিলা ডিগ্রী কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ফরহাদ হোসেন, শেখেরগাঁও ফাযিল মাদরাসার অধ্যক্ষ এখলাছ উদ্দিন, মনতলা ফাযিল মাদরাসার অধ্যক্ষ বাকিউল ইসলাম, চালাকচর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোস্তফা হোসেন, চন্দনবাড়ী এস.এ পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নাসরিন সুলতানা প্রমুখ।
কর্মসূচিতে শিক্ষকদের সঙ্গে উপজেলার বিভিন্ন শ্রেনী পেশার লোকজন একাত্মতা জানিয়ে অংশগ্রহণ করেন।
মানববন্ধনে শিক্ষককরা বলেন, কাজী শরিফুল ইসলাম শাকিল নামের এক ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শিক্ষকদের নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য এবং বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়াচ্ছে, যা শিক্ষক সমাজের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে। এ সময় তাঁরা শাকিলকে দ্রত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

চাঁদপুর জেলা ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের জরুরী সভা

সাইদ হোসেন অপু চৌধুরী, চাঁদপুর
প্রকাশিত: বুধবার, ৫ নভেম্বর, ২০২৫, ৮:২৪ অপরাহ্ণ
   
চাঁদপুর জেলা ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের জরুরী সভা
বাংলাদেশ ফটোজার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন চাঁদপুর জেলা শাখার জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর ) বিকালে চাঁদপুর প্রেসক্লাব ভবনের ৩য় তলায় সংগঠনের কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্যদের নিয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ফটোজার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন চাঁদপুর জেলা শাখার সভাপতি চৌধুরী ইয়াছিন ইকরাম। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সাধারণ সম্পাদক শাওন পাটওয়ারীর পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন , সিনিয়র সহ সভাপতি এস এম সোহেল, সহ-সভাপতি মাজহারুল ইসলাম অনিক, সাংগঠনিক সম্পাদক সাইদ হোসেন অপু চৌধুরী, কোষাধ্যক্ষ শেখ আল মামুন, দপ্তর সম্পাদক মানিক দাস, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মো. আনোয়ারুল হক, সাংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক ইমাম হোসেন গাজী, কার্যকরী সদস্য কেএম মাসুদ, অভিজিত রায় ও মিজানুর রহমান লিটন।

সভায় সংগঠনের অভিষেক অনুষ্ঠান, বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডসহ গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।