অসুস্থতাই যেন হারিয়েছে মেরামিয়ার হাসি
মোঃ ইফতি হোসেনঃ বিনোদন প্রতিবেদক
৭টি চলচ্চিত্র, বেশ কয়েকটি টিভি নাটক ও অসংখ্য চট্টগ্রামের আঞ্চলিক নাটকের সর্বাধিক জনপ্রিয় অভিনেতা দিলিপ হোড় জিনি মেরামিয়া নামে পরিচিতি লাভ করেন তিনি চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ৩য় তলার ১৬ নং ওয়ার্ডের বাহিরে মানুষ চলাচলের রাস্তার পাশে মানবেতর ভাবে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
এত জনপ্রিয় লোক হয়ে আর লাভ কি এমনি মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রামের আরেক জনপ্রিয় অভিনেতা লেডামিয়া ও “আমানত টিভি” ইউটিউব চ্যানেলের মালিক বরুন। বাংলাদেশ চলচ্চিত্রের বেশ কিছু ছবিতে কমেডি হিসেবে অভিনয় করেছে এই অভিনেতা।
দিলীপ হোড় ওরফে মেরা মিয়ার অভিনয়ের শুরুটা ১৯৭৬ সাল থেকে। ১৯৫৫ সালে বীরকন্যা প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারের এলাকা চট্টগ্রামের পটিয়া ধলঘাট এলাকার আলামপুর গ্রামে তার জন্ম। এক ছেলে অন্তর হোড় ও এক মেয়ে আরশি হোড় ছাড়া তিনি অন্য কোনো সম্পদ জুড়াতে পারেননি অভিনয় জগত থেকে।
জানা গেছে, নব্বইয়ের দশকে বেশকিছু বাংলা চলচ্চিত্রে তিনি অন্যতম কৌতুক অভিনেতা হিসিবে কাজ করেন। এসব চলচ্চিত্রে বাংলাদেশের খ্যাতিমান অভিনেতা আনোয়ার হোসেন, ইলিয়াস কাঞ্চন, অমিত হাসান, রাজীব, মিশা সওদাগরের সঙ্গে অভিনয় করেছেন। ১৯৯৩ থেকে ১৯৯৪ সালে মুক্তি পাওয়া আশিক প্রিয়া, দরদী সন্তান, রাজা গুন্ডা, চরম আঘাত, নয়নের কাজল, মহা শক্তি নামে সিনেমায় মিডা মেরামিয়াকে দেখা গেছে। দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকা সত্বেও অভিনয়কে ভুলতে পারেনি অভিনেতা মেরামিয়া।
ব্রেনস্টক করে এখন হাসপাতালের ওয়ার্ডের বাহিরেই চিকিৎসা নিতে হচ্ছে চট্টগ্রামের এই গুনি অভিনেতার।
তার অসুস্থতার কথা শুনে চট্টগ্রামের জনপ্রিয় অভিনেতা ও পরিচালক উত্তম কুমার (লেডা মিয়া) ও আমানত টিভির মালিক বরুন ও চিত্রগ্রাহক ইফতি হোসেন ও অভিনয় শিল্পীরা তাকে দেখতে জান তারা সকল অভিনয়শিল্পী ও কলাকৌশলীর কাছে দোয়া চেয়েছেন এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে তার সঠিক চিকিৎসার জন্য বিশেষ ভাবে অনুরোধ জানিয়েছেন সকল কলাকৌশলীরা ।



আপনার মতামত লিখুন