খুঁজুন
শনিবার, ৮ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৩শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঐতিহ্যের পৌষ সংক্রান্তি আজ

রিপন কান্তি গুণঃ নেত্রকোনা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারি, ২০২৫, ৫:৫৯ অপরাহ্ণ
ঐতিহ্যের পৌষ সংক্রান্তি আজ

বাংলা বছরের পৌষ মাসের শেষ দিন আজ। বাংলা ক্যালেন্ডার অনুসারে পৌষ মাসের শেষ দিনটি সনাতন ধর্মালম্বীরা পৌষ সংক্রান্তি হিসাবে পালন করে থাকে। ঘরে ঘরে পিঠে-পুলির উৎসব। পৌষ সংক্রান্তি বাঙালি সংস্কৃতির একটি বিশেষ উৎসব বা বিশেষ ঐতিহ্যবাহী দিন।

কৃষি নির্ভর দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ন্যায় নেত্রকোনা জেলার বিভিন্ন উপজেলার সনাতন ধর্মালম্বীরা বিভিন্ন আচার-অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে উদযাপন করছে দিনটি।

সরেজমিনে জেলা সদরসহ বিভিন্ন উপজেলার বিভিন্ন গ্রামাঞ্চল ঘুরে দেখাগেছে, সূর্য ওঠার আগে খুব ভোর বেলায় পুকুর অথবা নদীতে স্নান করে খড়ের গাদায় আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের দৃশ্য। তুলনামূলক ভাবে কম হলেও কিছু কিছু এলাকার সনাতন ধর্মালম্বীরা প্রাচীন এই ঐতিহ্যকে এখনও ধরে রেখেছেন। এলাকার কীর্তন শিল্পীরা বাড়ি বাড়ি ঘুরে ও শ্মশানে কীর্তন করছেন।

বারহাট্টা উপজেলার রায়পুর গ্রামের কল্পনা রানী, সন্ধ্যা রানী, ঝর্ণা রাণীসহ প্রাতঃস্নান করতে আসা কয়েকজন ষাটোর্ধ মহিলার সাথে কথা বললে তারা সকালের সময়কে বলেন, ছোটবেলা থেকেই আমরা পৌষ মাসের শেষ দিন পৌষ সংক্রান্তির স্নান করে আসছি। যতদিন সম্ভব ততদিন করে যাব। এই দিনটিতে আগে অনেক মজা হতো, কিন্তু বর্তমান যুগের ছেলে-মেয়েরা সবাই শহরমুখী। তাই পৌষসংক্রান্তির প্রাতঃস্নানের আনন্দটা তারা উপভোগ করতে পারে না।

তারা আরও বলেন, আগে আমাদের গ্রামের পুরুষরা মাঠ থেকে খেড় এনে লাসি (খড়ের গাদা) তৈরির প্রতিযোগিতা করতো। রাতে সবাই যার যার বাড়িতে পিঠা তৈরিতে ব্যস্ত থাকতাম। চারদিকে পিঠা তৈরির ধুম পড়ে যেতো। রাত শেষে ভোরবেলায় বাড়ির বৃদ্ধ, মধ্যবয়সী পুরুষ-মহিলা, কম বয়সী ছেলে-মেয়ে সবাই মিলে প্রাতঃস্নান সেড়ে লাসিতে আগুন দিয়ে সবাই মিলে শীত নিবারণের পাশাপাশি পিঠা খেতে খেতে বিভিন্ন গল্পে মশগুল থাকতাম। এখন আর সেই দিন নাই।

বারহাট্টা উপজেলা সদরের কাশবন গ্রামের কীর্তন শিল্পী অরুণ সিংহ, অসীত সিংহ, অবনী সিংহর সাথে কথা বললে তারা বলেন, প্রতি বছরেই আমরা পৌষ সংক্রান্তির দিনে কীর্তন নিয়ে গ্রামে আমাদের সম্প্রদায়ের লোকদের বাড়িতে বাড়িতে যাই, সন্ধ্যায় শ্মশানে কীর্তন করে অনুষ্ঠান শেষ করি। আগে মানুষের বাড়িতে কীর্তন নিয়ে গেলে পিঠা খেয়েই দিন চলে যেতো কিন্তু এখন সেই দিন আর নাই। আমরা যতদিন বাঁইচ্চা আছি ততোদিন এই ঐতিহ্য থাকবো, পরে হয়তো আর থাকবো না।

চাঁদপুরে পাসপোর্ট করতে এসে ২ রোহিঙ্গা নারী আটক

সাইদ হোসেন অপু চৌধুরী, চাঁদপুর
প্রকাশিত: বুধবার, ৫ নভেম্বর, ২০২৫, ৮:৩১ অপরাহ্ণ
   
চাঁদপুরে পাসপোর্ট করতে এসে ২ রোহিঙ্গা নারী আটক
চাঁদপুর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে পাসপোর্ট করতে এসে কর্মকর্তাদের হাতে ধরা পড়েছেন দুই রোহিঙ্গা নারী। পরে তাদের পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

মঙ্গলবার বিকেলে পাসপোর্ট অফিসের দু-তলায় তারা আটক হন। আটককৃতরা হলেন, কুতুপালং এর ২ নম্বর ক্যাম্পের ই-১১ ব্লকের বাসিন্দা সহিসু আলম এর মেয়ে সুবাইরা (১০) ও সোনা আলীর মেয়ে জুহুরা বেগম (৩৫)।

পাসপোর্ট অফিস সূত্র জানান, দুই নারী একসঙ্গে চাঁদপুর পাসপোর্ট অফিসে প্রবেশ করেন। এরমধ্যে সুবাইরা পাসপোর্টের জন্য ব্যাংক ড্রাফট, আবেদনসহ অন্যান্য কাগজপত্র নিয়ে আসেন। সঙ্গে ভোটার আইডির ভেরিফাইড কপি ও ফটোকপি জমা দিতে সংযুক্ত করেন। যদিও ওই ভোটার আইডি চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলার কাজী কামতা গ্রামের রুমা আক্তারের। এসব জালিয়তির কথা স্বীকার করেন প্রতারক সুবাইরা ও জুহুরা।
তারা বলেন, সুবাইরাকে সৌদি আরব নিবে বলে এক ব্যক্তি যোগাযোগ করে। ওই ব্যক্তির মাধ্যমেই পাসপোর্টের সব আনুসাঙ্গিক কাগজপত্র তৈরি করেন। যদিও তারা দুইজনেই দাবি করেন ওই ব্যক্তিকে তারা চেনেন না।

চাঁদপুর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তা উত্তম কুমার সাহা বলেন, আসলে আবেদনের মধ্যেমে এ ধরনের রোহিঙ্গাদের চিহ্নিত করতে বেগ পেতে হয়। যদিও চেহারা ও ভাষার মাধ্যমে অনুমান করে আমরা পাসপোর্ট গ্রহীতাদের বিভিন্ন প্রশ্ন করি। ওসব প্রশ্নের মাধ্যমেই এমন রোহিঙ্গাদের চিহ্নিত করা সম্ভব হয়।

চাঁদপুর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের উপ-পরিচালক মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, এসবি ক্লিয়ারেন্স বন্ধ হওয়ায় আমরা আরো সাবধান। না হয় ফাঁক-ফোকর দিয়ে এসব রোহিঙ্গরা পাসপোর্ট নিয়ে যেতে পারে। আমরা চেষ্টা করছি এক্ষেত্রে আরো বেশি সর্তক হওয়ার।

চাঁদপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বাহার মিয়া বলেন, যেহেতু তারা বৈধভাবে কুতুপালং ক্যাম্পে থাকে তাদের ওই ক্যাম্প প্রধানের কাছে হস্তান্তর করা হবে। ওই দুই নারী কেন ক্যাম্প থেকে বের হলো, বিষয়টি নিয়ে আইনি পদক্ষেপ নেবেন ওই ক্যাম্প প্রধান। আমরা দুই নারীকে ওই ক্যাম্প প্রধানের কাছে হস্তান্তর করবো।

মনোহরদীতে শিক্ষকদের নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য ও চাঁদাবাজির বিচার দাবিতে মানববন্ধন

জাহিদ মিয়া,(নরসিংদী)প্রতিনিধি
প্রকাশিত: বুধবার, ৫ নভেম্বর, ২০২৫, ৮:২৮ অপরাহ্ণ
   
মনোহরদীতে শিক্ষকদের নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য ও চাঁদাবাজির বিচার দাবিতে মানববন্ধন
নরসিংদীর মনোহরদীতে শরিফুল ইসলাম শাকিল নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে শিক্ষক-কর্মচবারীদের নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য, অপপ্রচার ও চাঁদাবাজির বিচার দাবিতে মানববন্ধন করেছে উপজেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষিকাবৃন্দ।
বুধবার সকালে মনোহরদী সরকারি পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে ঘন্টাব্যাপী এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।
চন্দনবাড়ী কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ আবু রায়হান ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, সরদার আছমত আলী মহিলা ডিগ্রী কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ফরহাদ হোসেন, শেখেরগাঁও ফাযিল মাদরাসার অধ্যক্ষ এখলাছ উদ্দিন, মনতলা ফাযিল মাদরাসার অধ্যক্ষ বাকিউল ইসলাম, চালাকচর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোস্তফা হোসেন, চন্দনবাড়ী এস.এ পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নাসরিন সুলতানা প্রমুখ।
কর্মসূচিতে শিক্ষকদের সঙ্গে উপজেলার বিভিন্ন শ্রেনী পেশার লোকজন একাত্মতা জানিয়ে অংশগ্রহণ করেন।
মানববন্ধনে শিক্ষককরা বলেন, কাজী শরিফুল ইসলাম শাকিল নামের এক ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শিক্ষকদের নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য এবং বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়াচ্ছে, যা শিক্ষক সমাজের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে। এ সময় তাঁরা শাকিলকে দ্রত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

চাঁদপুর জেলা ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের জরুরী সভা

সাইদ হোসেন অপু চৌধুরী, চাঁদপুর
প্রকাশিত: বুধবার, ৫ নভেম্বর, ২০২৫, ৮:২৪ অপরাহ্ণ
   
চাঁদপুর জেলা ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের জরুরী সভা
বাংলাদেশ ফটোজার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন চাঁদপুর জেলা শাখার জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর ) বিকালে চাঁদপুর প্রেসক্লাব ভবনের ৩য় তলায় সংগঠনের কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্যদের নিয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ফটোজার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন চাঁদপুর জেলা শাখার সভাপতি চৌধুরী ইয়াছিন ইকরাম। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সাধারণ সম্পাদক শাওন পাটওয়ারীর পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন , সিনিয়র সহ সভাপতি এস এম সোহেল, সহ-সভাপতি মাজহারুল ইসলাম অনিক, সাংগঠনিক সম্পাদক সাইদ হোসেন অপু চৌধুরী, কোষাধ্যক্ষ শেখ আল মামুন, দপ্তর সম্পাদক মানিক দাস, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মো. আনোয়ারুল হক, সাংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক ইমাম হোসেন গাজী, কার্যকরী সদস্য কেএম মাসুদ, অভিজিত রায় ও মিজানুর রহমান লিটন।

সভায় সংগঠনের অভিষেক অনুষ্ঠান, বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডসহ গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।