খুঁজুন
রবিবার, ১২ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৭শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চাঁদপুর জেলা পুলিশের সাম্পতিক সময়ে সাফল্য, কমেছে বড় ধরনের অপরাধের প্রবণতা

সাইদ হোসেন অপু চৌধুরী-চাঁদপুর
প্রকাশিত: বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৬:৫৯ অপরাহ্ণ
চাঁদপুর জেলা পুলিশের সাম্পতিক সময়ে সাফল্য, কমেছে বড় ধরনের অপরাধের প্রবণতা

চাঁদপুরের পুলিশ সুপার মুহম্মদ আব্দুর রকিব পিপিএম এর আন্তরিক, দক্ষ ও চৌকস নেতৃত্বে জেলা পুলিশে এসেছে আমূল পরিবর্তন। সেবাপ্রার্থীদের দোড়গোড়ায় সেবা পৌঁছে দিতে ইতোমধ্যে প্রশংসনীয় ও ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে জেলা পুলিশের প্রতিটি ইউনিটে।

২৫ তম বিসিএসে উত্তীর্ণ হয়ে চাকুরী জীবনের প্রতিটি ধাপে কঠোর পরিশ্রম আর নিয়মানুবর্তিতার মাধ্যমে সফলতার পরিচয় দিয়ে আজ তিনি চাঁদপুর জেলার পুলিশ সুপার হিসেবে সফলতার মাধ্যমে দায়িত্ব পালন করে জেলার সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণনে রেখেছেন। তার কর্মকালীন সময়ে অপরাধ নিয়ন্ত্রণ ও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির ব্যাপক উন্নয়ন ঘটে। তার সার্বক্ষনিক তদারকি ও দিক নির্দেশনায় অপরাধ অনেকাংশে হ্রাস পেয়েছে এবং উদ্ধার জনিত মামলার সংখ্যা ব্যাপক ভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় চাঁদপুরে জনমনে পুলিশের প্রতি আস্থা বেড়েছে বহুগুন। ১৮ বছরের কর্মজীবনের প্রতিটি কর্মক্ষেত্রে তিনি রেখেছেন পেশাদারিত্বের স্বাক্ষর।

পুলিশ সুপার মুহম্মদ আব্দুর রকিব চাঁদপুরে যোগদানের আগে রাজশাহী মহানগরী পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার পদে কর্মরত ছিলেন। চলতি বছরের ১৯ সেপ্টেম্বর চাঁদপুর পুলিশ সুপার পদে যোগদান করেন মুহম্মদ আব্দুর রকিব। চাঁদপুরে যোগদানের পর চাঁদপুরবাসীর প্রত্যাশা পূরণে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ ও অপরাধ দমনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন।

যোগদানের পরই গত ২১ সেপ্টেম্বর চাঁদপুরে কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে মতবিনিময় সভায় চাঁদপুর জেলাকে অমূল পরিবর্তনের বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণের কথা জানান পুলিশ সুপার। সেই ঘোষণার পর থেকেই চাঁদপুরবাসীর মনে প্রত্যাশা বাড়তে থাকে। এরপরই চাঁদপুরে বড় ধরনের অপরাধের প্রবণতা লক্ষণীয়ভাবে কমে গেছে। জেলা পুলিশের কার্যক্রমেও প্রশংসনীয় পরিবর্তন শুরু হয়েছে।

পুলিশ সুপার মুহম্মদ আব্দুর রকিব সাম্পতিক সময়ে বেশি প্রশংসিত হয়েছেন, মতলব দক্ষিণ উপজেলায় চাঞ্চল্যকর ক্লু-লেস কিশোর মহিন মিয়াজী হত্যা মামলায় ৭২ ঘন্টায় আসামি গ্রেফতার, ব্যবহৃত অটোরিকশা এবং আলামত উদ্ধার, মতলব দক্ষিণ থানার অফিসার ইনচার্জ সালেহ আহমদ, মামলার তদন্তকারী অফিসার এসআই (নিরস্ত্র) জীবন চৌধুরী সহ পুরো টিমকে ভালো কাজের স্বীকৃতি হিসেবে আর্থিক পুরস্কার প্রদান, চাঁদপুর জেলা পুলিশ ও সেনা বাহিনীর যৌথ অভিযানে সাবেক চেয়ারম্যান মৃত সেলিম খানের লুন্ঠিত পিস্তল ও গুলি উদ্ধার, কচুয়া থানার এসআই মামুনুর রশিদকে হত্যা পর খোয়া যাওয়া ৮ রাউন্ড সরকারি গুলি উদ্ধার, উদ্ধারকৃত তদন্ত কর্মকর্তা জেলা গোয়েদ্দা শাখা (ডিবি) এস আই (নিরস্ত্র) মিজানুর রহমানকে কর্মদক্ষতা ও পেশাদারিত্বের স্বীকৃতি স্বরূপ নগদ অর্থ পুরস্কার প্রদান, মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে জেলার ৭১ জন প্রার্থীকে এ বছর বাংলাদেশ পুলিশে ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদে নিয়োগ, পুলিশ সুপার কার্যালয়ে পুলিশ কন্ট্রোল রুমের সঙ্গে সমন্বয় করে হটলাইন সেবা। কিশোর অপরাধ নিয়ন্ত্রণ, মাদক নিয়ন্ত্রণে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা, ২৪ ঘন্টা নিরবচ্ছিন্ন সেবা পেতে হটলাইনে কল দিলে জরুরী আইনী সেবার পাশাপাশি পুলিশ সুপারের সাথে সরাসরি কথা বলে সমস্যা সমাধানের সুযোগ পাচ্ছে সাধারণ মানুষ। এতে জেলার আটটি থানাতেই ক্ষুদ্র বিষয়ের মামলার সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে, গতি ফিরেছে বিট পুলিশিং কার্যক্রমে। গেলো তিন মাসে হটলাইনে কল দিয়ে বাল্য বিয়ে বন্ধ, জমি সংক্রান্ত বিরোধের সংঘর্ষ বন্ধের মতো ইতিবাচক সমাধান পেয়েছে চাঁদপুরবাসী।

পুলিশ সুপার মুহম্মদ আব্দুর রকিব এর বলিষ্ঠ নেতৃত্বে প্রবাসী কল্যাণ হেল্প ডেক্স, ওয়ানস্টপ পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সেবা, নারী ও শিশু হেল্প ডেক্স, চাঁদপুর ট্রাফিক বিভাগ সহ অন্যান্য ইউনিটে কর্মরত ৩৬ পুলিশ সদস্যেদের বডিওর্ন ক্যামেরা ব্যবহার, প্রত্যেক পুলিশ সদস্যদের বাধ্যতামূলক দক্ষতা উন্নয়ন কোর্স, ওপেন হাউস-ডে, মাসিক কল্যাণ সভা, ক্লিনিং সাটারডে, পুলিশের সকল ইউনিটে শীতকালীন ক্রীড়া সামগ্রী প্রদান, পুলিশ মেসে মানসম্মত খাবার পরিবেশনের নির্দেশনা প্রদান করেন।

চাঁদপুর জেলা পুলিশের সাফল্য নিয়ে একান্ত আলাপচারিতায় পুলিশ সুপার মুহম্মদ আব্দুর রকিব পিপিএম বলেন, পুলিশ রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ একটি সংস্থা। জনগণকে সেবা দেওয়াই পুলিশের মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। সেবা দেওয়ার মাধ্যমেই জনগণের কাঙ্ক্ষিত পুলিশ বাহিনী হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। সব পুলিশ সদস্যকে একটি টিম হিসেবে কাজ করতে হবে। পুলিশের প্রশিক্ষণ আধুনিক ও যুগোপযোগী করা হয়েছে। পুলিশিং একটি চ্যালেঞ্জিং পেশা। আগামী দিনের পুলিশিং হবে জ্ঞান ও বিজ্ঞানভিত্তিক মানবিক পুলিশিং। এ পেশায় প্রতিনিয়ত নতুন নতুন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়।

পুলিশ সুপার বলেন, আমাদের প্রধান কাজ জনগণকে নিরাপত্তা দেওয়া। নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট কাজ সবার আগে অগ্রাধিকার দিয়ে বাস্তবায়ন করা হবে। জুলাই বিপ্লবের চেতনাকে ধারণ করে এবং অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে পুলিশকে জনগণের বাহিনী হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।

থানার ওসিদের উদ্দেশ্যে পুলিশ সুপার মুহম্মদ আব্দুর রকিব পিপিএম বলেন, থানা হলো পুলিশি সেবার কেন্দ্রবিন্দু। থানায় সেবা নিতে আসা মানুষের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করতে হবে। কারণ যিনি থানায় আসছেন, ধরে নিতে হবে তিনি কোন না কোনোভাবে বাদী, ভিকটিম কিংবা সাক্ষী। থানায় আগত প্রত্যাশীদের সাথে সেবা প্রত্যাশীদের কথা ওসিদের মনোযোগ সহকারে শুনতে, তাদের সঙ্গে ভালো ব্যবহারের মাধ্যমে যথাযথ পুলিশি সেবা দিয়ে পুলিশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে হবে।

কিশোর অপরাধ ও মাদকের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে তিনি বলেন, মাদক  নির্মূলে সর্বাত্মক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। মাদক ব্যবসায়ীদের কোনো অবস্থাতেই ছাড় দেওয়া হবে না। রাষ্ট্র বিনির্মাণে ও সমাজ পরিবর্তনের জন্য মাদক সেবক ও কিশোর অপরাধ থেকে দূরে থাকতে হবে। মাদক আমাদের যুব সমাজকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে মাদকের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে। প্রতিটি পরিবারের দায়িত্ব হচ্ছে তার প্রত্যেক সদস্যকে নজরে রাখা ও সচেতন করা। পুলিশ জনগণকে সর্বোচ্চ সেবা নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর। জনগণকে নিরপেক্ষভাবে সেবা প্রদানের জন্য ও চাঁদপুরবাসীর প্রতি পুলিশকে সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

উল্লেখ্য, চাঁদপুর পুলিশ সুপার মুহম্মদ আব্দুর রকিব পিপিএম সদা হাস্যোজ্জল দক্ষতাসম্পন্ন চৌকশ একজন অফিসার, তিনি দক্ষতা দিয়ে প্রশাসনিক কর্মকাণ্ডকে যেমনি সচল রেখেছেন তেমনি আন্তরিকতা দিয়ে সহকর্মীদের আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়েছেন। কাজের প্রতি নিষ্ঠা ও দায়িত্ববোধের কারণে তিনি সকলের কাছে প্রশংসিত।

মৌলভীবাজার-২আসনে গণঅধিকার পরিষদের এমপি পদপ্রার্থী খন্দকার সাইদুজ্জামান সুমনে’র নিবার্চনী প্রচার প্রচারণা

ইমতিয়াজ সুমন, স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: রবিবার, ১২ অক্টোবর, ২০২৫, ৯:৫৫ অপরাহ্ণ
   
মৌলভীবাজার-২আসনে গণঅধিকার পরিষদের এমপি পদপ্রার্থী খন্দকার সাইদুজ্জামান সুমনে’র নিবার্চনী প্রচার প্রচারণা

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে

মৌলভীবাজার-২ কুলাউড়া আসনে গণঅধিকার পরিষদের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা যে যার মতো প্রস্তুতি শুরু করেছেন। এর মধ্যে অন্যতম আলোচিত নাম খন্দকার সাইদুজ্জামান সুমন যিনি গনঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির রাজনৈতিক প্রশিক্ষণ বিষয় সহ সম্পাদক ও বাংলাদেশ প্রবাসী অধিকার পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক একজন পরীক্ষিত জননেতা হিসেবে দলীয় মহলে সুপরিচিত।

দলীয় প্রতীক ট্রাক নিয়ে নির্বাচন করার প্রত্যাশা ব্যক্ত করে খন্দকার সাইদুজ্জামান সুমন বলেন, “সারাদেশের মানুষ এখন একটি নিরপেক্ষ নির্বাচনের অপেক্ষায়। আগামী জানুয়ারি থেকে ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন হবে এই বিশ্বাস থেকেই আমি প্রস্তুতি নিচ্ছি। আমার নির্বাচনী এলাকার জনগণের ভোটাধিকারের পক্ষে রাজপথে আছি।”তিনি বলেন, “৫ আগস্ট দেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের মধ্য দিয়ে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের পতনের সূচনা হয়েছে। এখন সময় এসেছে পরিবর্তনের। জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে আমরা নতুনভাবে স্বপ্ন দেখছি।”তৃণমূল পর্যায়ে ব্যাপক সাংগঠনিক তৎপরতা শুরু করেছেন। কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে শুরু করে ২৪ জুলাই আন্দোলন পর্যন্ত খন্দকার সাইদুজ্জামান সুমন ইউ কে কমিটির লোকদের নিয়ে প্রতিবাদ সভা, সমাবেশ ও টিভি টকশোর করে দেশের পাশে থাকার যতেষ্ট ভুমিকা রেখেছিলেন।

নুরুল হক নুরের নেতৃত্ব এবং গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার কর্মসূচি তুলে ধরছি। নতুন ভোটারদের প্রসঙ্গে খন্দকার সাইদুজ্জামান সুমন বলেন, “দলের সভাপতি নুরুল হক নুর দীর্ঘদিন ধরে দেশের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনার আন্দোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। আজ দেশের যুবসমাজ ও সাধারণ মানুষ ভোট দিতে চায়,পরিবর্তন চায়। তরুণ ভোটাররা যেন ভয়হীনভাবে মত প্রকাশ করতে পারে,এই স্বাধীনতার জন্যই নুরুল হক নুর সংগ্রাম করে যাচ্ছেন।” দলের প্রতি নিজের রাজনৈতিক অঙ্গীকার তুলে ধরে
খন্দকার সাইদুজ্জামান সুমন বলেন, “আমি ছাত্র রাজনীতি থেকে উঠে আসা একজন তৃণমূল কর্মী। আমি রাজনীতি থাকা অবস্থায়ও সাধারণ মানুষের পাশে ছিলাম। আমার অভিজ্ঞতা, নীতিশিক্ষা ও জনগণের ভালোবাসা নিয়েই আমি আগামী নির্বাচনে ট্রাক প্রতীকের মনোনয়ন প্রত্যাশা করছি।”সাক্ষাৎকারের শেষভাগে তিনি বলেন, “আমার নির্বাচনী এলাকার সব শ্রেণি-পেশার মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। আমি দোয়া চাই, ভালোবাসা চাই এই গণতান্ত্রিক লড়াইয়ে আপনাদের সঙ্গেই আমার এগিয়ে যাওয়া।

বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী ঝালকাঠি-১ রাজাপুর কাঠালিয়া নির্বাচনী এলাকায় সেলিম রেজার পক্ষে ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: রবিবার, ১২ অক্টোবর, ২০২৫, ১:৪১ পূর্বাহ্ণ
   
বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী ঝালকাঠি-১ রাজাপুর কাঠালিয়া নির্বাচনী এলাকায় সেলিম রেজার পক্ষে ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ

বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জননেতা জনাব তারেক রহমান ঘোষিত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা প্রচারে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী ঝালকাঠি-১ রাজাপুর কাঠালিয়া নির্বাচনী এলাকায়, গণমানুষের নেতা সেলিম রেজার পক্ষে ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ ও ধানের শীষে পক্ষে ভোট চায়।১০/১০/ ২০২৫ ইং তারিখ ঝালকাঠি-১ রাজাপুর উপজেলার সাতুরিয়া ইউনিয়নে নিউইয়র্ক মহানগর দক্ষিণ বিএনপি সভাপতি ও রাজাপুর-কাঁঠালিয়ার গন মানুষের নেতা সাবেক ছাত্রনেতা জননেতা মোঃ হাবিবুর রহমান সেলিম রেজার পক্ষে আজ জুমার নামাজের পরে মসজিদের মুসুল্লিদের মাঝে বিএনপি নেতা দেলোয়ার হোসেন মেম্বার ও যুবদলের নেতা মোঃ সুমন জমাদ্দার এর নেতৃত্বে ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে।

এ সময় তিনি সাধারণ মানুষের মাঝে রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফার মূল বক্তব্য ও উদ্দেশ্য তুলে ধরেন এবং জনসাধারণকে বিএনপির রূপরেখা সম্পর্কে অবহিত করেন।

গাইবান্ধায় জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের উদ্যোগে বিশ্ব ডিম দিবস- ২০২৫ পালিত হয়েছে

শাহ্ পারভেজ সংগ্রাম,‎গাইবান্ধা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১০ অক্টোবর, ২০২৫, ১১:০৮ অপরাহ্ণ
   
গাইবান্ধায় জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের উদ্যোগে বিশ্ব ডিম দিবস- ২০২৫ পালিত হয়েছে
‎ডিমে আছে প্রোটিন, খেতে হবে প্রতিদিন-এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে উৎসবমুখর পরিবেশে গাইবান্ধায় পালিত হয়েছে বিশ্ব ডিম দিবস-২০২৫।
‎শুক্রবার (১০ অক্টোবর) সকালে জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের উদ্যোগে এ দিবসটি নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে উদযাপিত হয়েছে।
‎দিনটি উপলক্ষে সকাল ১০টায় জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর প্রাঙ্গণ থেকে একটি বর্ণাঢ্য র‍্যালি বের করা হয়। র‍্যালিটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় দপ্তর প্রাঙ্গণে এসে শেষ হয়। র‍্যালিতে অংশ নেন বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা, খামারি, কৃষক, শিক্ষার্থী ও পুষ্টিবিদসহ নানা শ্রেণিপেশার মানুষ।
‎পরে দপ্তরের সম্মেলন কক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
‎সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার ডাঃ মোঃ আব্দুর রাজ্জাক। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গাইবান্ধা সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার তরুণ কুমার দত্ত। এছাড়াও অনুষ্ঠানে প্রাণিসম্পদ দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, খামার মালিক ও গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
‎বক্তারা বলেন, ডিম একটি সাশ্রয়ী, পুষ্টিকর ও সহজলভ্য খাদ্য যা শরীরের প্রোটিন চাহিদা পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। প্রতিদিন একটি ডিম খাওয়ার অভ্যাস শিশুদের বুদ্ধি ও শারীরিক বিকাশে সহায়ক এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতেও কার্যকর।
‎অনুষ্ঠানে আরও বলা হয়, বাংলাদেশে বর্তমানে ডিম উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের পথে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। স্থানীয় খামারিদের আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর উৎপাদন ব্যবস্থার সঙ্গে সম্পৃক্ত করে ডিমের মান ও পরিমাণ আরও বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
‎আলোচনা শেষে অংশগ্রহণকারীদের মাঝে ডিমের পুষ্টিগুণ সম্পর্কিত লিফলেট, ব্যানার ও প্রচারপত্র বিতরণ করা হয়।