খুঁজুন
রবিবার, ১২ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৭শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

প্রযুক্তির ছোঁয়ায় বিলুপ্ত স্টেশনে ট্রেন আসার ঘন্টার বাজার শব্দ

রিপন কান্তি গুণঃ নেত্রকোনা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: বুধবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৫, ১২:১৪ পূর্বাহ্ণ
প্রযুক্তির ছোঁয়ায় বিলুপ্ত স্টেশনে ট্রেন আসার ঘন্টার বাজার শব্দ

প্রতীকী ছবি

একসময়ে রেল স্টেশনের এক কোনে পিলারে ঝুলন্ত রেল লাইনের টুকরোটিতে ঘন্টা বাজনো মানেই পূর্ববর্তী স্টেশন থেকে ট্রেন ছেড়ে আসার সংকেত। পূর্ববর্তী স্টেশন থেকে ট্রেন ছাড়ার পর সিগন্যালম্যান অপেক্ষমান যাত্রীদের মনযোগ আকর্ষনের জন্য ঘন্টাটি বাজাতেন। তখনই শুরু হয়ে যেতো টিকিট কাটার লাইন। কালের বিবর্তনে ডিজিটাল প্রযুক্তির ছোঁয়ায় হারিয়ে গেছে ট্রেন আসার সংকেত ঘন্টা বাজানোর টুংটাং শব্দ।

ঘন্টা বাজানোর পর সিগন্যালম্যান ট্রেনের আসার সংকেত দিতে প্লাটফর্মে থাকা লোহার চাকতির চেইন টেনে স্টেশন থেকে দূরে থাকা এনালগ সিগন্যালটি নিচের দিকে নামিয়ে দিতেন। তখন অপেক্ষমান যাত্রীসহ অন্যান্যরা বুঝতে পারতেন ট্রেন আসছে। অথচ বর্তমানে ডিজিটাল প্রযুক্তির ছোঁয়ায় যাত্রীরা ঘরে বসেই রেলওয়ে ওয়েবসাইটের মাধ্যমেই ট্রেনের সময় ও অবস্থান খুব সহজেই জেনে নিচ্ছেন। অনলাইনে সহজেই টিকিট কাটার ফলে ভীড় নেই স্টেশনের টিকিট কাউন্টারে। ট্রেনের সিগন্যালের জন্য এখন ব্যবহৃত হয় লাল, সবুজ, হলুদ সিগন্যাল।

কবি বিনয় মুখোপাধ্যায়ের ভাষায়- ‘বিজ্ঞান মানুষকে দিয়েছে বেগ, কিন্তু কেড়ে নিয়েছে আবেগ’। কবির কথাকে সত্য প্রমাণ করে দিন দিন বিজ্ঞান উৎকর্ষিত হচ্ছে আর পৃথিবী থেকে বিদায় নিচ্ছে আবেগ। এখন আর আগের মতো টিকিট কাটার জন্য রেল স্টেশনে নেই যাত্রীদের লম্বা সারি, স্টেশনে নেই কোলাহল, নেই চায়ের দোকানের আড্ডা, গরম চায়ের কাপে চুমুক দিয়ে আড্ডার সাথে অপরিচিত ব্যক্তির সাথে হয়না পরিচয়, গড়ে ওঠে না সখ্যতা, আন্তরিকতা। সেই সাথে দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে সামাজিক বন্ধন। বর্তমানে লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট কাটার স্থান দখল করে নিয়েছে ট্রেনের মোবাইল অ্যাপস। আজও অবহেলায় রয়েগেছে জরাজীর্ণ টিকিট কাউন্টার, যাত্রী বিশ্রামাগার। আছে স্টেশন মাষ্টার, আছে রেল কর্মচারী নেই টিকিট প্রাপ্তির আশায় লাইনে দাড়ানো যাত্রীদের কোলাহল, নেই ট্রেনের সিগন্যালের ঘন্টার অপেক্ষা।

নেত্রকোনা জেলা সদরের অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক কান্তি রঞ্জন রায় চৌধুরীর সাথে কথা বললে তিনি বলেন, ‘৯০’এর দশকেও আমাদের স্টেশনে ট্রেন আসার সংকেত হিসাবে সিগন্যালম্যান ঘন্টা বাজানোর পর বুঝতে পারতাম কিছুক্ষণের মধ্যেই ট্রেন আসবে। এখন ঘন্টা বাজানোর শব্দ আর শোনা যায় না, টিকিট কাউন্টারেও ভীড় দেখা যায় না। রেল স্টেশনের যাত্রীদের কেন্দ্র করে প্লাটফর্মে গড়ে ওঠা চায়ের দোকানগুলো এখন প্রায় সময়ই জনশূন্য।

দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার সাংবাদিক শ্যামলেন্দু পাল বলেন, বর্তমান যুগ আধুনিক যুগ, এখন ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে ট্রেন যাত্রীরা বাড়িতে বসেই মোবাইল অ্যাপসের মাধ্যমে পছন্দ মতো টিকিট বুকিং দিয়ে যথা সময়ে স্টেশনে হাজির হয়। ঘন্টার পড়ার আশায় আর বসে থাকতে হয় না। টিকিট কাউন্টারেও ভীড় করতে হয় না। বাসায় বসেই ট্রেন কখন কোন স্টেশনে আছে সবকিছুই মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহার করে সহজেই পাওয়া যায়।

তিনি আরও বলেন, একসময়ে আমাদের রেলপথে যাতায়াতের জন্য ময়মনসিংহ-মোহনগঞ্জ একটি লোকাল ট্রেন দুইবার (সকাল-বিকাল) যাতায়াত করতো এবং সরাসরি ঢাকায় যেতো একটি ট্রেন (মহুয়া)। তখন স্টেশনে এসে ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষায় থাকতাম কখন সিগন্যালম্যান ঘন্টা বাজাবে। এখন দুইটি এক্সপ্রেস ট্রেন ও একটি কমিউটর ট্রেন চলে। এখন আর স্টেশনে অপেক্ষায় থাকতে হয় না, ট্রেনের অবস্থান জেনেই যথা সময়ে স্টেশনে উপস্থিত হই।

 

বারহাট্টা উপজেলা সদরের বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত স্টেশন মাষ্টার শ্যামল দে বলেন, আগে একটু পর পর ফোনের মাধ্যমে ট্রেনের অবস্থান জানতে হতো এবং যাত্রীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিতে দিতে বিরক্ত লাগতো। ট্রেনের অবস্থান জেনে ঘন্টা বাজানো ও সিগন্যাল দেওয়ার নির্দেশ দিয়ে টিকিট কাউন্টার নিয়ে ব্যস্ত থাকতাম। এখন আর সেই ব্যস্ততা নেই, যাত্রীরা নিজেই ট্রেনের অবস্থান সম্পর্কে জানেন।

বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী ঝালকাঠি-১ রাজাপুর কাঠালিয়া নির্বাচনী এলাকায় সেলিম রেজার পক্ষে ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: রবিবার, ১২ অক্টোবর, ২০২৫, ১:৪১ পূর্বাহ্ণ
   
বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী ঝালকাঠি-১ রাজাপুর কাঠালিয়া নির্বাচনী এলাকায় সেলিম রেজার পক্ষে ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ

বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জননেতা জনাব তারেক রহমান ঘোষিত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা প্রচারে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী ঝালকাঠি-১ রাজাপুর কাঠালিয়া নির্বাচনী এলাকায়, গণমানুষের নেতা সেলিম রেজার পক্ষে ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ ও ধানের শীষে পক্ষে ভোট চায়।১০/১০/ ২০২৫ ইং তারিখ ঝালকাঠি-১ রাজাপুর উপজেলার সাতুরিয়া ইউনিয়নে নিউইয়র্ক মহানগর দক্ষিণ বিএনপি সভাপতি ও রাজাপুর-কাঁঠালিয়ার গন মানুষের নেতা সাবেক ছাত্রনেতা জননেতা মোঃ হাবিবুর রহমান সেলিম রেজার পক্ষে আজ জুমার নামাজের পরে মসজিদের মুসুল্লিদের মাঝে বিএনপি নেতা দেলোয়ার হোসেন মেম্বার ও যুবদলের নেতা মোঃ সুমন জমাদ্দার এর নেতৃত্বে ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে।

এ সময় তিনি সাধারণ মানুষের মাঝে রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফার মূল বক্তব্য ও উদ্দেশ্য তুলে ধরেন এবং জনসাধারণকে বিএনপির রূপরেখা সম্পর্কে অবহিত করেন।

গাইবান্ধায় জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের উদ্যোগে বিশ্ব ডিম দিবস- ২০২৫ পালিত হয়েছে

শাহ্ পারভেজ সংগ্রাম,‎গাইবান্ধা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১০ অক্টোবর, ২০২৫, ১১:০৮ অপরাহ্ণ
   
গাইবান্ধায় জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের উদ্যোগে বিশ্ব ডিম দিবস- ২০২৫ পালিত হয়েছে
‎ডিমে আছে প্রোটিন, খেতে হবে প্রতিদিন-এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে উৎসবমুখর পরিবেশে গাইবান্ধায় পালিত হয়েছে বিশ্ব ডিম দিবস-২০২৫।
‎শুক্রবার (১০ অক্টোবর) সকালে জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের উদ্যোগে এ দিবসটি নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে উদযাপিত হয়েছে।
‎দিনটি উপলক্ষে সকাল ১০টায় জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর প্রাঙ্গণ থেকে একটি বর্ণাঢ্য র‍্যালি বের করা হয়। র‍্যালিটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় দপ্তর প্রাঙ্গণে এসে শেষ হয়। র‍্যালিতে অংশ নেন বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা, খামারি, কৃষক, শিক্ষার্থী ও পুষ্টিবিদসহ নানা শ্রেণিপেশার মানুষ।
‎পরে দপ্তরের সম্মেলন কক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
‎সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার ডাঃ মোঃ আব্দুর রাজ্জাক। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গাইবান্ধা সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার তরুণ কুমার দত্ত। এছাড়াও অনুষ্ঠানে প্রাণিসম্পদ দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, খামার মালিক ও গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
‎বক্তারা বলেন, ডিম একটি সাশ্রয়ী, পুষ্টিকর ও সহজলভ্য খাদ্য যা শরীরের প্রোটিন চাহিদা পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। প্রতিদিন একটি ডিম খাওয়ার অভ্যাস শিশুদের বুদ্ধি ও শারীরিক বিকাশে সহায়ক এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতেও কার্যকর।
‎অনুষ্ঠানে আরও বলা হয়, বাংলাদেশে বর্তমানে ডিম উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের পথে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। স্থানীয় খামারিদের আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর উৎপাদন ব্যবস্থার সঙ্গে সম্পৃক্ত করে ডিমের মান ও পরিমাণ আরও বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
‎আলোচনা শেষে অংশগ্রহণকারীদের মাঝে ডিমের পুষ্টিগুণ সম্পর্কিত লিফলেট, ব্যানার ও প্রচারপত্র বিতরণ করা হয়।

ধানের সাথে এ কেমন শত্রুতা ট্রাক্টর দিয়ে ধান ক্ষেত নষ্ট করলো প্রতিপক্ষ

মোঃ জাকারিয়া হোসেন, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১০ অক্টোবর, ২০২৫, ৭:৩৭ অপরাহ্ণ
   
ধানের সাথে এ কেমন শত্রুতা ট্রাক্টর দিয়ে ধান ক্ষেত নষ্ট করলো প্রতিপক্ষ
জমি জমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারীতে ১০ বিঘা জমির রোপা আমন ফসলের ক্ষেত ট্রাক্টর দিয়ে নষ্ট করে দেওয়ার অভিযোগ ওঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ভুরুঙ্গামারী থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন ক্ষতিগ্রস্থ আব্দুল মান্নান। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার (৮ অক্টোবর) উপজেলার শিলখুড়ি ইউনিয়নের দক্ষিণ ধলডাঙ্গা গ্রামে ।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় ইব্রাহিম আলী মাস্টার গং দের সাথে একই এলাকার মৃত লোকমান আলীর ছেলে আব্দুল মান্নানের পরিবারের ১১ বিঘা জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিলো। দখলভোগের প্রেক্ষিতে চলতি আমন মৌসুমেও ওই জমিতে আব্দুল মান্নান রোপা আমন চাষ করেন। চাষকৃত ওই আমন ধান হওয়ার সময় হয়েছে। এ অবস্থায় মঙ্গলবার সকাল সাড়ে আটটার দিকে রুবেল, কামরুজ্জামান, ইব্রাহিম, হাবিবুর, আ: হাই, কুদ্দুছ , ছালাম, শওকত সহ ৩০-৪০ জন নারী-পুরুষ ও তাদের লোকজন লাঠি-শোঠা ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে জমি জবর দখলের চেষ্টা করে এবং ট্রাক্টর দিয়ে ১০ বিঘা জমির ফুল আসা ধান ক্ষেত ও ১ বিঘা কালাই ক্ষেত গুড়িয়ে নষ্ট করে দেয়। এ সময় মান্নানের পরিবারের লোকজন বাধা দেয়ার চেষ্টা করলে প্রতিপক্ষ অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে হত্যার হুমকি দিয়ে চলে যায়।
স্থানীয়রা জানান, দীঘদিন ধরে উভয় পক্ষের মধ্যে এই দ্বন্দ্ব চলে আসছে। প্রায় ধান আসা ফসলগুলো ট্রাক্টর দিয়ে নষ্ট করা হয়েছে। ঘটনাটা আসলে ন্যাক্কারজনক। এটা মানুষের উপর অত্যাচার করা ছাড়া আর কিছুই নয়। এটা মানুষের বিবেককে নাড়া দেওয়ার মতো একটা ঘটনা।
ভুক্তভোগী আব্দুল মালেক ও মাসাদুল ইসলাম বলেন, আমরা মোট ১০ বিঘা জমিতে আমন চাষ করেছি। ১ বিঘা জমিতে কালাই আবাদ করেছি। আর কিছুদিন পর ধান ঘরে তুলতে পারতাম। কিন্তু আমাদের সেই আশায় পানি ঢেলে দিলো।  ফুল আসা ধান গাছ ও কালাই ট্রাক্টর দিয়ে নষ্ট করে ফেলেছে তারা। এতে প্রায় তিন লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে। আমাদের সর্বশান্ত করে দিয়েছে। এর সুষ্ঠু বিচার কামনা করেন ভুক্তভোগী ও তার পরিবার।
এ বিষয়ে প্রতিপক্ষ ইব্রাহিম আলী মাস্টারের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।তিনি ফোনও রিসিভ করেন নি।
উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ আব্দুল জব্বার জানান, বিষয়টি জানার পর, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাকে জমিটি পরিদর্শন করে অফিসে রিপোর্ট করতে বলেছি।
ভুরুঙ্গামারী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আল হেলাল মাহমুদ বলেন, অভিযোগ এর বিষয়ে মামলা রুজু করা হয়েছে , মামলাটি তদন্তাধীন ।