খুঁজুন
সোমবার, ১৩ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৮শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শেখেরচর বাজারে আদালতের আদেশ   অমান্য করে দোকান ঘর দখলের পায়তারা

নরসিংদী প্রতিনিধি
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৮ এপ্রিল, ২০২৫, ১:১১ পূর্বাহ্ণ
শেখেরচর বাজারে আদালতের আদেশ   অমান্য করে দোকান ঘর দখলের পায়তারা
নরসিংদী সদর উপজেলাধীন শেখেরচর(বাবুর হাট) বাজারে আদালতের আদেশ অমান্য করে দোকান ঘর দখলের অপচেষ্টা চালাচ্ছে একই উপজেলার মেহের পাড়া ইউনিয়নের ভগীরথপুর গ্রামের শাহীন ভুইয়া ও শুভ গংরা।  এব্যাপারে দোকানের মালিক কোহিনুর বেগমের স্বামী শহিদুল্লাহ বাহার নরসিংদী মডেল থানার অন্তর্গত শেখেরচর পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ  বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন, অভিযোগ থেকে  জানা যায়, শহিদুল্লাহ বাহারের  স্ত্রী কোহিনুর বেগমের  মালিকানাধীন শেখেরচর মৌজায় অবস্হিত  ১.৯৪ শতাংশ, খতিয়ান নং-৩৭৬১, আর,এস দাগ নং ১৬০৮ কয়েক টি দোকান ঘর রহিয়াছে, যা শহিদুল্লাহ  বাহার প্রয়োজনীয় দেখাশুনা ও তদারকি করিয়া থাকেন।
প্রকাশ থাকে যে, বিবাদী  শাহিন হোসেন ভূইয়া গত ২০০৮ সালে ১৪৫৭১/০৮ নং রেজিস্ট্রিকৃত পাওয়ার অফ এটর্নি দলিল মূলে বাদী মোঃ শহিদুল্লাহ বাহারকে রেজিষ্ট্রি করিয়া দখল বুজাইয়া দেয়। যা পরবর্তীতে শহিদুল্লা বাহার প্রায় ১২ বছর পর মো: রেজুয়ান মিয়ার নিকট রেজিস্ট্রিকৃত ২০১৯ সালে ১৭৫৯৬/১৯ নং সাফ কবলা দলিল মূলে বিক্রয় করিয়া দখল বুজাইয়া দেন। পরে রেজুয়ান মিয়া জীবিকার প্রয়োজনে বিদেশে অবস্থান করার কারণে  ২০২২ সালে রেজিস্ট্রিকৃত  ৩৪৮৫/২২ নং দলিল মূলে পাওয়ার অফ এটর্নি মূলে মোসা: কুহিনুর আক্তারকে রেজিষ্ট্রি করিয়া দখল বুজাইয়া দেয়।
এরপর মোসা: কুহিনুর বেহম ৩শত টাকা মূল্যের  নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প এর মাধ্যমে চুক্তিনামা দলিল মূলে ৪ জন বাড়াটিয়া নিয়োগ করিয়া ১৪৩০ বাংলা ১৪৩১ বাংলা ও ১৪৩২ বাংলা ভাড়া দিয়া ভোগদখল করিয়া আসিতেছেন। ইতিমধ্যে ১নং বিবাদী অসত্য উক্তিতে নরসিংদীর বিজ্ঞ যুগ্ম জেলা জজ ১ম আদালতে মামলা করিয়া অস্থায়ী নিষেধজ্ঞার আবেদন করিলে আদালত শুনানী শেষে ১১-০৯-২০২২ইং তারিখে আবেদন বাতিল করিয়া দেন। এরপর ১নং বিবাদী অতিরিক্ত জেলা মেজিস্ট্রেট আদালতে আরেকটি মামলা করেন। যাহা শুনানী শেষে ১১-১২-২০২৩ইং তারিখে খারিজ করিয়া দেন।
এরপর ১নং বিবাদী নরসিংদী জেলা জজ আদালতে মিস আপিল করেন। মাননীয় জেলা জজ আদালত উভয় পক্ষের শুনানী শেষে গত ০৭-১১-২০২৩ ইং তারিখে আদেশ প্রদান করেন যে, বর্তমান দখল বজায় রেখে সাব জজ ১ এর মামলা চূড়ান্ত নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত সর্ব প্রকার স্থিতী অবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ প্রদান করেন উভয় পক্ষকে। কিন্তু উক্ত বিবাদীগণ আরও অজ্ঞাত নামা ২০/২৫ জন সন্ত্রাসী নিয়া কোর্টের রায় অমান্য করিয়া, কোর্টের রায়ের প্রায় সাড়ে ৫ মাস পর অর্থাৎ ২৩-০৪-২০২৪ইং তারিখে অতর্কিত ভাবে শহিদুল্লাহ বাহার এর  স্ত্রীর মালিকানাধীন ও দখলীয় দোকান ঘরে হামলা চালায়। তখন শহিদুল্লাহ বাহার বাদী হয়ে ২৯-০৫-২০২৪ইং তারিখে আইন শৃঙ্খল বিঘ্নকারি অপরাধ দমন (দ্রুত বিচার) আদালতে বিবাদীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে।
বিজ্ঞ আদালত নরসিংদী মডেল থানাকে তদন্তের নির্দেশ দেন। নরসিংদী মডেল থানা পুলিশ তদন্ত করে বিজ্ঞ আদালতে রিপোর্ট প্রদান করেন যে, ঘটনার সত্যতা পাওয়া গিয়েছে এবং ৪/৫ ধারার অপরাধ সংঘটিত করিয়াছে। পরবর্তীতে আদালত আবেদন আমলে নিয়া বিবাদীদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেন। বিবাদীরা আদালতে আত্ম সর্মপণ করে জামিন লাভ করিয়া পুনরায় তাহার স্ত্রীর দখলীয় দোকান ঘরের সামনে এবং আসে পাশে প্রতি নিয়ত মহড়া দিয়া ভয় ভীতি প্রদর্শন করিয়া আসিতেছে এবং তারা দোকানে রক্ষিত সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ এর মেশিন জোরপূবর্ক ছিনাইয়া নিয়া ফুটেজ ডিলিট করিয়া তাহাদের অপকর্মের প্রমাণপত্র বিনষ্ট করিয়া মেশিন ফেরত দিয়া যায়।
তখন সাথে সাথে শাহিন ভুইয়া ও তার দুই পুত্র শুভ ও সাফিমের নামে নরসিংদী মডেল থানায় একটি সাধারণ  ডাইরি করেন, পরে মডেল থানা পুলিশ তদন্ত করিরা ঘটনার সত্যতা পেয়ে শহিদুল্লাহ বাহার এর পক্ষে আদালতে রিপোর্ট প্রদান করেন। বর্তমানে বিবাদীরা আবারো বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়া বেড়াইতেছে এবং লোকমুখে শুনিতে পাইতেছে যে ৩০শে চৈত্র ১৪৩১ বাংলা শহিদুল্লাহ
বাহার সাহেবের  স্ত্রীর দখলীয় দোকান ঘরে হামলা করিয়া,দোকান ঘরের তালা ভেঙ্গে তাদেরকে বেদখলের অপচেষ্টা করিবে। বাদা দিতে গেলে তাদেরকে প্রানে মেরে ফেলবে। এব্যাপারে শহিদুল্লাহ বাহার ও তার স্ত্রী কোহিনুর বেগম তাদের জান মালের নিরাপত্তা ও দোকান ঘর রক্ষার জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, পুলিশ, ডিবি পুলিশ ও র‍্যাব পুলিশের সাহায্য কামনা করেছেন।

পিআর পদ্ধতি সহ ৫ দফা দাবিতে গাইবান্ধায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর বিক্ষোভ মিছিল ও স্মারকলিপি প্রদান

শাহ্ পারভেজ সংগ্রাম, গাইবান্ধা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: রবিবার, ১২ অক্টোবর, ২০২৫, ১১:৪৬ অপরাহ্ণ
   
পিআর পদ্ধতি সহ ৫ দফা দাবিতে গাইবান্ধায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর বিক্ষোভ মিছিল ও স্মারকলিপি প্রদান

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর জুলাই জাতীয় সনদের ভিত্তিতে ও ফেব্রুয়ারিতে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন সহ পাঁচ দফা দাবিতে জেলা প্রশাসকের নিকট স্মারকলিপি প্রদান করেছে গাইবান্ধা জেলা শাখা।

‎বিকেলে জেলা জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে স্থানীয় পৌর পার্কে এক সমাবেশের আয়োজন করা হয়। পরে সেখান থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে গিয়ে জেলা প্রশাসক চৌধুরী মোয়াজ্জম আহমেদের হাতে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
‎জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর আব্দুল করিম সরকারের সভাপতিত্বে স্মারকলিপি পূর্ব সমাবেশে বক্তব্য দেন জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল ওয়ারেছ, মো. মাজেদুর রহমান, জেলা সেক্রেটারি মাওলানা জহুরুল হক সরকার, নায়েবে আমীর মাওলানা নজরুল ইসলাম লেবু, সহকারী সেক্রেটারি সৈয়দ রোকনুজ্জামান ও ফয়সাল কবির রানা, পৌর জামায়াতের আমীর মো. ফেরদৌস আলম এবং মাওলানা নুরুল ইসলাম মণ্ডল প্রমুখ।
‎বক্তারা বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অনেক রক্ত ও ত্যাগের বিনিময়ে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তাই জনগণের প্রত্যাশা পূরণে জুলাই সনদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি, পিআর পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচন, সকল দলের জন্য সমান সুযোগ তৈরি ও খুনি-ফ্যাসিস্টদের বিচার নিশ্চিত করতে হবে।
‎তারা আরও বলেন, অধিকাংশ রাজনৈতিক দলের ঐকমত্যের ভিত্তিতে রাষ্ট্র কাঠামোর সংস্কার ঘটানো গেলে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব হবে। বক্তারা জনগণের গণদাবি বাস্তবায়নে সরকারকে বাধ্য করতে দলীয় নেতাকর্মীসহ দেশবাসীর প্রতি ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের আহ্বান জানান।

গাইবান্ধায় হত্যা মামলায় ইউপি চেয়ারম্যানসহ চারজনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত

শাহ্ পারভেজ সংগ্রাম, গাইবান্ধা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: রবিবার, ১২ অক্টোবর, ২০২৫, ১১:৪২ অপরাহ্ণ
   
গাইবান্ধায় হত্যা মামলায় ইউপি চেয়ারম্যানসহ চারজনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত

গাইবান্ধা সদর উপজেলায় হত্যা মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান মোসাব্বিরসহ চারজনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

রোববার (১২ অক্টোবর) দুপুরে গাইবান্ধার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক জাহাঙ্গীর আলম এই নির্দেশ দেন। মোসাব্বির সদর উপজেলার রামচন্দ্রপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান।
এবিষয়ে অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের পেশকার হাফিজুর রহমান জানান, আজ রোববার মামলার চার্জশিট শুনানির দিন ধার্য্যে ছিল। মোট ১৬ জন আসামির মধ্যে ১৪ জন আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন। আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাদের চারজনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। তারা হলেন ইউপি চেয়ারম্যান মোসাব্বির হোসেন, সুলভ মিয়া খাজা, শাহআলম ও লিটন মিয়া।
এর আগে চেয়ারম্যান মোসাব্বির ২০২১ সালে উচ্চ আদালত থেকে আট সপ্তাহের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পান। তবে ওই বছরের ৫ ডিসেম্বর গাইবান্ধার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক ফেরদৌস ওয়াহিদ তাঁকে প্রথম দফায় কারাগারে পাঠান।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ১৭ জুন গাইবান্ধা সদর উপজেলার রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের বালুয়া বাজারে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সাইকেল পার্টস ব্যবসায়ী রোকন সরদারকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। এ সময় ইউপি সদস্য আশিকুজ্জামান ও জিল্লুর রহমান আহত হন। নিহত রোকন সরদার ওই ইউনিয়নের ভগবানপুর গ্রামের আবদুর রউফ সরদারের ছেলে।
ঘটনার পর নিহতের ভাই রোমান সরদার বাদী হয়ে চেয়ারম্যান মোসাব্বিরসহ ১৬ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও ১০–১২ জনকে আসামি করে সদর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

জনবল সংকটে ব্যাহত চাঁদপুর ডিএনসি’র মাদকবিরোধী কার্যক্রম

সাইদ হোসেন অপু চৌধুরী, চাঁদপুর
প্রকাশিত: রবিবার, ১২ অক্টোবর, ২০২৫, ১১:৪০ অপরাহ্ণ
   
জনবল সংকটে ব্যাহত চাঁদপুর ডিএনসি’র মাদকবিরোধী কার্যক্রম
মাদক একটি ভয়াবহ সামাজিক ব্যাধি। নিমিষেই যেকোনো পরিবার মাদকের ছোবলে ধ্বংস হয়ে যেতে পারে।

বিশেষত যুব সমাজ এ বিপদের প্রধান শিকার হয়ে পড়ছে। মাদকের এই ভয়াল থাবা থেকে সমাজকে রক্ষা করতে সরকারি সংস্থা হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি)। চাঁদপুর জেলায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি) নিরলসভাবে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে মাদক নির্মূলে। তবে জনবল সংকটের কারণে কার্যক্রমে মারাত্মক বেগ পেতে হচ্ছে প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তাদের। বর্তমান সরকারের আন্তরিকতায় আশানুরূপ ফল মিলবে বলে আশাবাদী কর্মকর্তারা।

পাশাপাশি অভিযানের সময় আত্মরক্ষার্থে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারের অনুমতিও শিগগির পাওয়া যাবে বলে প্রত্যাশার কথা জানান চাঁদপুর জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি) এর সহকারী পরিচালক মো. মিজানুর রহমান। সম্প্রতি ডিএনসি সূত্রে জানা যায়, চাঁদপুর জেলায় মোট ৮টি উপজেলা রয়েছে। এই ৮ উপজেলাকে একটি অফিস থেকেই নিয়ন্ত্রণ করতে হচ্ছে।

বর্তমানে ২৬ জন জনবলের মধ্যে ১৮ জন কর্মকর্তা রয়েছেন। মাঠ পর্যায়ের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ১৪ জন কর্মকর্তার মধ্যে মাত্র ২ জন সিনিয়র ইন্সপেক্টর ও ১ জন সাব-ইন্সপেক্টর আছেন, যাঁরা টিম লিডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। কিন্তু বিভিন্ন জেলায় মামলার সাক্ষ্য প্রদানের কাজে ব্যস্ত থাকতে হয় প্রায় ১২ থেকে ১৫ দিন। এছাড়াও ১টি গাড়ী ও ১ জন চালক দিয়েও পুরো জেলায় অভিযান নিয়ন্ত্রণ করতেও অনেক বেগ পেতে হচ্ছে। ফলে অভিযান পরিচালনার কার্যক্রম মারাত্মক ভাবে ব্যাহত হচ্ছে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি) এর সহকারী পরিচালক মো. মিজানুর রহমান বলেন, আমাদের ইচ্ছা ও সক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও অনেক সময় দক্ষ ও সাহসী জনবলের অভাবে অভিযান পরিচালনা কঠিন হয়ে পড়ে।

এজন্য আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে জনবল বৃদ্ধির আবেদন জানিয়েছি। বর্তমান সরকার মাদক নিয়ন্ত্রণে অত্যন্ত আন্তরিক। যদি প্রতি উপজেলায় অন্তত ১৫ সদস্যবিশিষ্ট একটি করে কার্যালয়ের অনুমোদন দেওয়া হয়, তবে মাদক নিয়ন্ত্রণ অনেক সহজ হয়ে যাবে।

আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি প্রসঙ্গে মো. মিজানুর রহমান বলেন, “আমরা অনেক সময় অত্যন্ত দুর্ধর্ষ মাদক কারবারির বিরুদ্ধে অভিযান চালাই। আত্মরক্ষার্থে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি না থাকায় কিছু সময় বিপদের মুখে পড়তে হয়। এজন্য আত্মরক্ষার স্বার্থে এবং সফল অভিযানের জন্য অনুমতি চেয়েছি। ইতিমধ্যে আমাদের প্রশিক্ষণও শুরু হয়েছে, আশা করছি শিগগিরই অনুমতি পেয়ে যাবো। অন্যদিকে জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি) সূত্রে আরো জানা যায়, গত মার্চ থেকে আগস্ট পর্যন্ত ছয় মাসে মোট ৭২৫টি অভিযান পরিচালনা করে ৭২টি মামলা দায়ের এবং ৭৪ জন আসামি গ্রেফতার করা হয়। অভিযানে ৭,৫১৫ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ৮ কেজি ৮৮০ গ্রাম গাঁজা, ২ লাখ ২৩ হাজার ৩০ টাকা নগদ অর্থ, ৮টি মোবাইল ফোন ও মাদক সেবনের বিভিন্ন উপকরণ জব্দ করা হয়েছে। এছাড়াও মাদকের কুফল ও ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে সচেতনতা গড়ে তুলতে জেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, যেমন হাজীগঞ্জ পাইলট বালিকা, লেডি দেহলভী, এম এম নুরুল হক, ডি এন, বলাখাল চন্দ্রবান বালিকা, আইনগিরী উচ্চ বিদ্যালয়, বাবুরহাট উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ, গল্লাক দারুচ্ছুন্নাত আলিম মাদ্রাসা,পুরান বাজার ডিগ্রি কলেজ এবং কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে জনসচেতনতামূলক প্রচারণা, অভিভাবক সমাবেশ, মাদকবিরোধী প্রীতি ফুটবল ম্যাচসহ নানা কর্মসূচি আয়োজন করা হয়েছে। চাঁদপুর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন বলেছেন, আমি জনবল সংকটের ব্যাপারটা অবগত আছি। আসলে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের এটা একটা বড় সমস্যা।

আমি বিভাগীয় সভা গুলোতেও এ ব্যাপারে আলোচনা করেছি। এছাড়াও ডিসি সম্মেলনেও এ ব্যাপার নিয়ে আলোচনা করবো। আশাকরি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। চাঁদপুর ডিএনসি’র কর্মকর্তারা জানান, জনবল সংকট নিরসন ও পর্যাপ্ত সরঞ্জাম সরবরাহ পেলে মাদকমুক্ত চাঁদপুর গড়ে তুলতে আরও কার্যকরভাবে কাজ করা সম্ভব হবে।